টর্ক

টর্ক (ইংরেজি: Torque) বা বলের ভ্রামক বলতে একটি বস্তুকে কোন বল কোন অক্ষ,অবলম্বন বা পিভটের চারদিকে ঘোরানোর প্রবণতা বোঝায়। বল দ্বারা যেমন ধাক্কা বা টান বোঝায় তেমনি টর্ক বলতে অক্ষের চারদিকে কোন বস্তুর ঘূর্নন প্রবণতা বোঝানো হয়ে থাকে।গাণিতিকভাবে টর্ক হল কোন অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ননশীল বস্তুর উপর ক্রিয়ারত বল এবং অক্ষ থেকে ঐ বস্তুর দুরত্তের ভেক্টর গুনফল।

সহজভাবে বলতে গেলে টর্ক দ্বারা কোন অক্ষের চারদিকে কোন বস্তুর ঘূর্নন প্রবণতার পরিমাপ বোঝানো হয়ে থাকে।ঊদাহরনস্বরুপ, কোন যন্ত্রে আটকানো একটি নাট বা বল্টু খুলতে হলে তাতে রেঞ্চ আটকিয়ে এর ঘোরানোর সময় রেঞ্চের হাতলে টর্ক সৃষ্টি হয়।

সংজ্ঞাঃ কোনো অক্ষরের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত বস্তুর উপর যে বিন্দুতে বল ক্রিয়াশীল ঐ বিন্দুর অবস্থান ভেক্টর ও প্রযুক্ত বলের গুণফলকে ঘূর্ণন বল বা টর্ক বলে ৷

টর্ককে সাধারনত গ্রিক অক্ষর τ (টাউ) দ্বারা সূচিত করা হয়। তবে যখন এটিকে ভ্রামক বা বলের ভ্রামক হিসেবে বর্ণনা করা হয় তখন এটিকে M দ্বারা সূচিত করা হয়ে থাকে।

টর্কের মান তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ প্রযুক্ত বল (F), ব্যসার্ধ ভেক্টর (r) এবং বলের দিক ও ব্যসার্ধ ভেক্টরের মধ্যবর্তী কোণ (θ)।

বল, টর্ক, রৈখিক ভরবেগ ও কৌণিক ভরবেগের সম্পর্ক। গাণিতিক ভাবেঃ

τ হল টর্ক বা বলের ভ্রামক,
r ঘূর্ণন অক্ষ থেকে বলের প্রয়োগবিন্দুর দূরত্ব বা ব্যাসার্ধ ভেক্টর,
F বস্তুর উপর ক্রিয়ারত বল,
P বস্তুর কৌণিক ভরবেগ;
× দ্বারা ভেক্টর গুণন বা ক্রস গুণফল প্রকাশ করা হয়েছে,
θ দ্বারা F এবং r এর মধ্যবর্তী কোণ।[1]

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.