টম লরি

টমাস (টম) কোলম্যান লরি (ইংরেজি: Tom Lowry; জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৮ - মৃত্যু: ২০ জুলাই, ১৯৭৬) হক’স বে’র ফার্নহিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাত টেস্টে অংশ নেন তিনি। সবগুলোই ছিল নিউজিল্যান্ডের প্রথমদিকের টেস্ট ও প্রত্যেকটিতেই দলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন টম লরি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন তিনি।

টম লরি
১৯৩১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে টম লরি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৮৯৮-০২-১৭)১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮
ফার্নহিল, হক'স বে, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু২০ জুলাই ১৯৭৬(1976-07-20) (বয়স ৭৮)
হ্যাস্টিংস, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
২৬ জানুয়ারি ১৯১৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৬ নভেম্বর ১৯৩৭ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৯৮
রানের সংখ্যা ২২৩ ৯৪২১
ব্যাটিং গড় ২৭.৮৭ ৩১.১৯
১০০/৫০ ০/২ ১৮/৪৭
সর্বোচ্চ রান ৮০ ১৮১
বল করেছে ১২ ৩০০৩
উইকেট - ৪৯
বোলিং গড় - ২৭.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ৪/১৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/- ১৮৮/৪৯
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রারম্ভিক জীবন

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকধারী টমাস হেনরি লরি তার বাবা ছিলেন। নর্থ আইল্যান্ডের হক’স বে অঞ্চলের ওকাওয়ার লরি জমিদারীর অধীনে ২০,০০০ একর সম্পত্তির মালিক ছিলেন।[1] ১৮৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেমস ওয়াটের কন্যা হেলেন (মার্সি) ওয়াটের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[2]

টমাস হেনরি লরি’র ক্রিকেটের প্রতি দারুণ অনুরাগ ছিল। তিনি হক’স বে দলের পক্ষে একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ও নিজ ভূমিতে দ্য গ্রুভ নামীয় ক্রিকেট মাঠের অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করেন যা অদ্যাবধি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[3] শীর্ষস্থানীয় পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার আলবার্ট ট্রটজ্যাক বোর্ডের ন্যায় খেলোয়াড়দেরকে স্থানীয় খেলোয়াড়দেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য হক’স বে ক্রিকেট সংস্থাকে সহায়তা করেন।[4] এছাড়াও, লরি জমিদারীর উন্নয়নে অগ্রসর হন যা মূলতঃ ভেড়া ও গবাদিপশুর খামার ছিল।

১৮৯৮ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে টমাস হেনরি ও মার্সি দম্পতির পাঁচ সন্তান জন্মগ্রহণ করে।[3] তন্মধ্যে, টম, জিম (ওকাওয়ায় ফিরো আসার পূর্বে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেনিসে ব্লু লাভ করেন),[5] রাল্ফ (কেমব্রিজের রাগবি ইউনিয়ন ব্লুধারী, কৃষক, তাইহ্যাপ, বি হ্যাপি, ডাই হ্যাপি গ্রন্থের লেখক),[5] বিট নামে পরিচিত গারট্রুড (টমের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক পার্সি চ্যাপম্যানকে বিয়ে করেন)[6] ও ম্যারিয়ন (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলনেতা ও পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ডে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ রেগ বেটিংটনকে বিয়ে করেন)।[7]

শিক্ষাজীবন

১০ বছর বয়স পর্যন্ত গৃহে অধ্যয়ন করেন। এরপর হ্যাস্টিংসের বালকদের উপযোগী হেরেতাউঙ্গা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে জ্যাক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ক্রিকেটে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[8] পিতার অধীত পুরনো বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের পর ১৯১২ সালে ক্রাইস্টচার্চের ক্রাইস্টস কলেজে পড়াশোনা করেন।[9] ১৯১৫ ও ১৯১৬ সালে প্রথম একাদশ ক্রিকেট দলে এবং ১৯১৬ সালে রাগবি প্রথম পঞ্চদশ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের হেভিওয়েট বক্সিংয়ের শিরোপা জয় করেন। ক্রাইস্টস কলেজে তিনি জেমস লরেন্স, হ্যারল্ড লাস্ক ও টম কার্লটনের ন্যায় প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটারের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[10] এছাড়াও, তিনি গ্রীক, লাতিন ও ইংরেজির জন্যও পুরস্কার পেয়েছেন।[9]

ইতিহাস বিষয়ে বিএ ডিগ্রি লাভ করলেও পড়াশোনার চেয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষানুক্রমিক কর্মকাণ্ডের দিকেই তার বিরাট আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।

খেলোয়াড়ী জীবন

অকল্যান্ডে অবস্থানকালে লরি ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। জানুয়ারি, ১৯১৮ সালে অকল্যান্ডের উইকেট-রক্ষক হিসেবে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে খেলেন। খেলায় অকল্যান্ড হেরে যায়। কিন্তু, লরি, ২৮ ও ১০ রান তুলেন। কেবলমাত্র আর একজন খেলোয়াড়ই তার তুলনায় অধিক রান তুলতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, দুই ক্যাচ ও এক স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজের নামকে যুক্ত করেন।[11]

কর্মক্ষেত্র থেকে ছাড়পত্র পাবার পর ইংল্যান্ডে অবস্থান করতে থাকেন। ১৯২০ সালে তিন সন্তানকে কেমব্রিজে ও দুই কন্যাকে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের প্রেক্ষিতে তার পরিবার ইংল্যান্ডে চলে আসে।[12] কেমব্রিজে প্রথম বছর শুরুর পূর্বেই আগস্ট ও সেপ্টেম্বর, ১৯২০ সালে ইনকগনিটি ক্রিকেট দলের সাথে উত্তর আমেরিকা সফরে যান। ১৯ বছর বয়সী ডগলাস জারদিনও ঐ দলে ছিলেন।[13]

ক্রিকেটে পরিষ্কার ধারণা থাকা স্বত্ত্বেও কেমব্রিজে প্রথম দুই বছর তাকে প্রথম শ্রেণীর দলে অংশগ্রহণের জন্য বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছিল। তবে তিনি তার ব্লু লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। সমারসেটের পক্ষে কিছু খেলায় অংশ নেন তিনি।

১৯২২-২৩ মৌসুমে আর্চি ম্যাকলারেনের নেতৃত্বে এমসিসি দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৪, ৬১, ১৩ ও ১৩০ রান তুলেন। তন্মধ্যে ১৩০ রানের মনোজ্ঞ সেঞ্চুরিটি ১৬৭ মিনিটে তুলেন যা তার প্রথম সেঞ্চুরি ছিল।[14] ১৯২৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরূপে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ১৭০ মিনিটে ১৬১ রান তুলে মৌসুম শুরু করেন।[15] এরফলে বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে স্থান লাভ নিশ্চিত হয়। এ মৌসুমে কেমব্রিজ, সমারসেট ও লর্ডসে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে নিজস্ব সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন তিনি। এ সময়ে তিনি ৩৫.৫৪ গড়ে ১৫৬৪ রান তুলেন।[16]

১৯২৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলকে নেতৃত্ব দেন। লর্ডসে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিপক্ষে বার্ষিকী আকারে অনুষ্ঠিত খেলায় দলকে জয়লাভে সহায়তা করেন তিনি।[17] ডিগবি জেপসন তার অধিনায়কত্বের বিষয়ে মন্তব্য করেন যে, ‘মাঠে দল পরিচালনায় তিনি কোন খুঁত রাখেননি, কোন জড়তার ভাব রাখেননি। প্যাভিলিয়নে অবস্থান করে যে-কোন দর্শকই অনুধাবন করবেন যে একজন ব্যক্তি দশজনের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করে রেখেছেন।’[18] ইংরেজ মৌসুম শেষ হবার পর তিনি পুনরায় ইনকগনিটির সাথে উত্তর আমেরিকা সফরে যান।

১৯২৪ সালে তার পরিবার নিউজিল্যান্ডে ফিরে আসে। তিন ভাইয়ের প্রত্যেকেই কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের ডিগ্রী লাভ করেছেন। ওকাওয়ার কাছাকাছি এলাকায় ২৭০০ একর ও ৬০০০ একরের দুইটি খামার ক্রয় করেন টম। ১৯৪৪ সালে পিতার মৃত্যুর পর টম ওকাওয়ায় বসতি স্থাপন করেন।[19]

১৯২৪-২৫ মৌসুমে কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেননি তিনি। ১৯২৫-২৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য মনোনীত হন। চারটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সবকটিতেই অংশ নেন। তন্মধ্যে, মাত্র ৯০ মিনিটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৩ রান তুলেন।[19]

১৯২৭ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কাউন্সিল ইংল্যান্ডে পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলার জন্য দল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে ১৯২৬-২৭ মৌসুমে প্লাঙ্কেট শীল্ডে অভিষেক ঘটে লরি'র। ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলে ৬৪.২৫ গড়ে ২৫৭ রান তুলে শীর্ষস্থান দখল করেন।[20] ওয়েলিংটনের পক্ষে অধিনায়কত্ব না করা স্বত্ত্বেও ১৯২৭ সালে নিউজিল্যান্ড দলকে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফরে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ ঘটে তার।

অবসর

১৯৩১ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান টম লরি। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা জয়ে ওয়েলিংটনকে নেতৃত্ব দেন। তবে, তিন খেলায় তিনি মাত্র ৫৩ রান উঠাতে পেরেছিলেন। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ওয়েলিংটনকে নেতৃত্ব দেয়ার পর অবসর নেন।

১৯৩৩ সালে প্রতিবেশী মার্গট রাসেলের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিউজিল্যান্ড অঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল স্যার অ্যান্ড্রু হ্যামিল্টন রাসেলের তিন কন্যার একজন ছিলেন মার্গট। এ দম্পতির দুই কন্যা অ্যান ও ক্যারল এবং দুই পুত্র টম ও প্যাট ছিল।

অবসর নেয়ার পরও লরি ক্লাব ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। হক কাপের খেলায় রঙ্গিটিকেই থেকে আগত দলের অধিনায়কত্ব করে উভয় ইনিংসেই সর্বোচ্চ রান তুলেন। ১৯৩৭ সালে ইংল্যান্ড সফরের আয়োজনের জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও সংরক্ষিত উইকেট-রক্ষকের দ্বৈত ভূমিকায় অবতীর্ণ করা হয়। এ সময় মার্গট তার সাথে সফরে যান। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ষষ্ঠ জর্জের অভিষেক অনুষ্ঠানে এ দম্পতি আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। ১২ খেলায় অংশ নিয়ে ২৭.২৬ গড়ে ৪০৯ রান তুলেন। আট ক্যাচ ও ১২ স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। তন্মধ্যে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করেন। ১২১ রানের ঐ ইনিংসে ১৮ চার ও এক ছক্কা হাঁকান তিনি।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯২০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্রশাসক জ্যাক ফিলিপস মন্তব্য করেন যে, লরি তার সময়কালে নিউজিল্যান্ডের সেরা অধিনায়ক ছিলেন। ক্রিকেট মাঠের একদিকে ১১ খেলোয়াড় থাকলে অন্যদিকে লরি একা। আমি মনে করি যে, অধিকাংশ লোকই তাই বলবে। ঠিক আছে তিনিই অধিনায়ক। শূন্যে আদেশ প্রদানের মাধ্যমে তিনি অগ্রসর হতেন। নিউজিল্যান্ড স্পোর্টস হল অব ফেমের ১৩জন ক্রিকেটারের একজন মনোনীত হন টম লরি।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রয়্যাল ফ্লাইং কোরে যোগদানকল্পে ১৯১৭ ও ১৯১৮ সালে অকল্যান্ডের আকাশে বিমান চালনা শেখেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। যুদ্ধ শেষ হবার তিনমাস পর ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯ সালে রয়্যাল এয়ার ফোর্স থেকে সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট পদলাভ করেন।[21] প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তরুণ অবস্থায় যুদ্ধ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণের চেষ্টা চালালেও সম্মুখ সমরে তাকে বাদ দেয়া হয় মূলতঃ ৪১ বছর হয়ে যাওয়ায়।

২০ জুলাই, ১৯৭৬ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে হ্যাস্টিংসে টম লরি’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. Bill Francis, Tom Lowry: Leader in a Thousand, Trio, Wellington, 2010, p. 25.
  2. Francis, p. 23.
  3. Francis, p. 25.
  4. Francis, p. 31.
  5. Francis, p. 157.
  6. Francis, pp. 55-67.
  7. Francis, pp. 68-80.
  8. Francis, pp. 31-32.
  9. Francis, p. 33.
  10. Francis, p. 34.
  11. Auckland v Wellington 1917-18
  12. Francis, p. 40.
  13. Incogniti in North America 1920
  14. New Zealand v MCC 1922-23
  15. Cambridge University v Lancashire 1923
  16. Tom Lowry batting by season
  17. Oxford University v Cambridge University 1924
  18. Digby Jephson writing in The Cricketer, quoted in Francis, p. 54.
  19. Francis, p. 81.
  20. Plunket Shield batting averages 1926-27
  21. Francis, pp. 37-39.

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
প্রথম নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯২৯/৩০-১৯৩১
উত্তরসূরী
কার্লি পেজ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.