টম বার্ট
টমাস ব্রাউনিং বার্ট (ইংরেজি: Tom Burtt; জন্ম: ২২ জানুয়ারি, ১৯১৫ - মৃত্যু: ২৪ মে, ১৯৮৮) ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টমাস ব্রাউনিং বার্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড | ২২ জানুয়ারি ১৯১৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৮ মে ১৯৮৮ ৭৩) ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ভাই: নোয়েল বার্ট ভ্রাতৃষ্পুত্র: ওয়েন বার্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪০) | ২১ মার্চ ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ মার্চ ১৯৫৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ জুলাই ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন টম বার্ট।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৪৩-৪৪ মৌসুম থেকে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুম পর্যন্ত টম বার্টের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ক্যান্টারবারির পক্ষে শেষ পাঁচটি খেলায় এমসিসির বিপক্ষে খেলেন। জনি ওয়ারডলের এক ওভারে ২৪ রান তুলেছিলেন তিনি।[1]
প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় ১৭ বছর বয়সে ওতাগোর পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে নোয়েল ম্যাকগ্রিগর প্রথম বলেই তার কাছ থেকে চার মেরে যাত্রা শুরু করেন। এরপর, ঐ একই ওভার থেকে আরও দুইটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি।[2]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বমোট ৮৪ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। অধিকাংশই ছিল ক্যান্টারবারির পক্ষে। ১৯৪৩ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে ২২.১৯ গড়ে ৪০৮ উইকেট দখল করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন টম বার্ট। ২১ মার্চ, ১৯৪৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৬ মার্চ, ১৯৫৩ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে সংগৃহীত ১২৮ উইকেট নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।[3] উইজডেনের চার্লস ব্রে মন্তব্য করেন যে, অফ স্ট্যাম্প বরাবর নিখুঁতভাবে বল ফেলে প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানদেরকে সর্বদাই ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিলেন।"[4]
ছয় বছরের অধিক সময় নিয়ে দশটি টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল তার। একনাগাড়ে দীর্ঘ সময়ে ধরে বোলিং করতে পারতেন, উইকেটও পেয়েছেন প্রচুর। নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে কার্যকরী রান তুলতেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলার পর বাদ পড়েন। বার্ট সাটক্লিফের আত্মজীবনীকার রিচার্ডে ব্রুক উল্লেখ করেন যে, ঐ সময়ে অতিরিক্ত ওজনের শিকারে পরিণত হওয়া বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের অন্যতম ছিলেন তিনি।[5] পরবর্তী মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে উপেক্ষার পাত্রে পরিণত হন। অভিজ্ঞতাবিহীন এরিক ডেম্পস্টার, ম্যাট পুর ও বিল বেলকে দলে নেয়া হয়। এরপর আর তাকে টেস্টে আঙ্গিনায় খেলতে দেখা যায়নি।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৩৭ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ড জাতীয় হকি দলে খেলেছেন।[3] ২৪ মে, ১৯৮৮ তারিখে ৭৩ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় টম বার্টের দেহাবসান ঘটে। স্বীয় ভ্রাতা নোয়েল বার্ট ও ভ্রাতৃষ্পুত্র ওয়েন বার্ট ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন।
তথ্যসূত্র
- R.T. Brittenden, New Zealand Cricketers, A.H. & A.W. Reed, Wellington, 1961, p. 38.
- R.T. Brittenden, New Zealand Cricketers, A.H. & A.W. Reed, Wellington, 1961, p. 110.
- "Player Profile: Tom Burtt"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৮।
- Charles Bray, "Story of New Zealand Cricket", Wisden Cricketers' Almanack 1958, p.102.
- Richard Boock, The Last Everyday Hero, Longacre, Auckland, 2010, p. 100.
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টম বার্ট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টম বার্ট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)