টমাস বেয়ারিং, প্রথম আর্ল অব নর্থব্রুক
টমাস বেয়ারিং, প্রথম আর্ল অব নর্থব্রুক GCSI PC FRS (২২ জানুয়ারি ১৮২৬ – ১৫ নভেম্বর ১৯০৪), একজন ব্রিটিশ রাজনীতিক যিনি লিবারেল পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৮৭২ থেকে ১৮৮৬ পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের গুনগত মান উন্নত করা ছিল অন্যতম প্রধান অবদান। তিনি দূর্ভিক্ষ পীড়িত জনগনের জন্য বৃহৎ পরিসরে ত্রান বিতড়নের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া তিনি জনগনের উপর আরোপিত কর ও আমলাতন্ত্রের জটিলতা হ্রাস করেন।[1] ১৮৮০ থেকে ১৮৮৫ পর্যন্ত তিনি ফার্ষ্ট লর্ড অব এডমিরালটি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
দ্যা রাইট অনারেবল আর্ল অব নর্থব্রুক GCSI PC FRS | |
---|---|
![]() | |
ভারতের গভর্ণর-জেনারেল | |
কাজের মেয়াদ ৩ মে ১৯৭২ – ১২ এপ্রিল ১৮৭৬ | |
সার্বভৌম শাসক | রানী ভিক্টরিয়া |
পূর্বসূরী | ১০ম লন্ড অব নেইপার |
উত্তরসূরী | লর্ড লিটন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২২ জানুয়ারি ১৮২৬ |
মৃত্যু | ১৫ নভেম্বর ১৯০৪ ৭৮) Stratton Park, Hampshire | (বয়স
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
রাজনৈতিক দল | লিবারেল পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | এলিজাবেথ স্টার্ট(১৮২৭–১৮৬৭) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ক্রাইস্ট চার্চ, অক্সফোর্ড |
পটভূমি ও শিক্ষা
নর্থব্রুকের পিতার নাম ১ম ব্যারন, নর্থব্রুক ফ্রান্সিস বেয়ারিং। মাতার নাম জেন। তিনি তাদের প্রথম সন্তান। তিনি Twyford স্কুল এবং ক্রাইস্ট চার্চ, অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করেন।[2] ১৮৪৬ সালে সেখান থেকে তিনি সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
রাজনৈতিক জীবনে নর্থব্রুক হেনরী লবুচেরী, স্যার জর্জ গ্রে, এবং স্যার চার্লস উডের ব্যক্তিগত সেক্রেটারী ছিলেন। ১৮৪৭ সালে ব্রিটিশ রিলিফ কমিটিতে কাজ করেন। ১৮৫৭ সালে তিনি হাউজ অব কমন্সের সদস্য হিসাবে পুনারায় নির্বাচিত হন। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানকার সদস্য ছিলেন। ১৮৬১ সালে তিনি আন্ডার সেক্রেটারি অব ওয়ার এবং ১৮৬৪ সালে আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৭২ সালে তিনি ভারতের ভাইস-রয় হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
পরিবার ও বিবাহ
১৮৪৮ সালে লর্ড নর্থব্রুক লর্ড এলিংটনের ভগিনী এলিজাবেথ স্টার্টকে বিয়ে করেন। তাদের দুইটি সন্তান ছিল। এলিবাবেথ ১৮৬৭ সালে মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা যান। লর্ড নর্থব্রুক আমৃত্যু বিপত্নীক ছিলেন। ১৯০৪ সালে ৭৮ বছর বয়সে তিনি হাম্পশায়ারের স্টারটনে মৃত্যু বরণ করেন।[3] তার মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ্য পুত্র ফ্রান্সিস বেরিং, ২য় আর্ল অব নর্থব্রুক আর্লডোমের উত্তরাধিকারী হন। তার কন্যা নর্থব্রুকের অধীনস্থ রাজা লাল মালা নামক এক ভারতীয়কে বিয়ে করেন। [2]
স্মৃতি
১৮৭৪ সালে লর্ড নর্থব্রুক ঢাকায় আগমন করেন। তার এই আগমনকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য ভাওয়াল রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী এবং আরো কয়েকজন ধনাঢ্য ব্যক্তি ১৮৭৯ সালে তার নামে একটি টাউন হল নির্মাণ করেন।[4] ভবনটি নর্থব্রুক হল নামে পরিচিত।
তথ্যসূত্র
- James S. Olson and Robert S. Shadle, Historical Dictionary of the British Empire (1996) p 116
- "thepeerage.com"। thepeerage.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৯।
- "Geograph"। Geograph। ২০১২-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৯।