টক্কর (২০০৮-এর চলচ্চিত্র)

টক্কর স্বপন সাহা পরিচালিত ২০০৮ সালের একটি বাংলা চলচ্চিত্র।ছবিটি বক্স অফিসে হিট ছিল।

টক্কর
পরিচালকস্বপন সাহা
প্রযোজকসুভাশ চন্দ্র গোয়েল
রচয়িতাএন.কে সলিল
শ্রেষ্ঠাংশেপ্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
রচনা ব্যানার্জী
অরিন্দম রায়
বর্ষা প্রিয়দর্শিনী
সুরকারঅশোক ভদ্র
মুক্তি
  • ১৮ জুলাই ২০০৮ (2008-07-18)
দৈর্ঘ্য১৪৫ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা

পটভূমি

ধনী মেয়ে চৈতালী চৌধুরী তার বড় ভাই এবং পিসির ইচ্ছার বিরুদ্ধে দরিদ্র অজয় ​​(প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী) কে বিয়ে করে। তবে দু'মাসের মধ্যে চৈতালী (রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং ​​অজয়ের মধ্যে অজয়ের প্রিয় ভাগ্নে অরুণকে (অরিন্দম রায়) নিয়ে ঝগড়া হয়। অজয় চৈতালীকে তার ভাই জয়দেবের (সুদীপ মুখার্জি) বন্ধু শেখরের (দিগন্ত বাগচি) সামনে চড় মারে। অজয় তার বউকে তার মা এবং তাঁর বিধবা বোন দিপার সাথে থাকার অনুরোধ করার পরেও চৈতালী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এই ঘটনার পরে অজয় ​​একজন দরিদ্র ব্যক্তি থেকে ধনী ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়। অন্যদিকে জয়দেব, পিসি এবং শেখর চৈতালিকে অজয়ের নামে কান ভারি করে ।১৫ বছর পার হয়ে যায়। তারা এখনও একে অপরকে ভালবাসে।কিন্তু সামাজিক বাঁধার কারণে তারা আর এক হতে পারে না। এদিকে অরুণ বড় হয়ে বিগড়ে যাওয়া ছেলেতে পরিণত হয়েছে। এত সবের মধ্যেও মামা-ভাগ্নের বন্ধন অবিচল থেকে যায়। অরুণ তিথির (বার্সা প্রিয়দর্শিনী) প্রেমে পড়ে যায়। যে কিনা জয়দেবের একমাত্র মেয়ে। রঞ্জন একজন গরিব ও ইতিবাচক লোক (ভাস্বর চ্যাটার্জি) যে এই দুই পরিবারের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। অন্যদিকে শেখর একটি পরিকল্পনা করে। সে জয়দেবকে দিয়ে অজয়কে মারার জন্য খুনিদের পাঠায়। অজয় সাহসিকতার সাথে লড়াই করলেও আহত হয়। অরুণ এই খবর শুনে জয়দেব এবং শেখরকে রেগে হত্যা করতে ছুটে যায়। কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে সে দরিদ্র রঞ্জনের বাম হাত কেটে ফেলে। এই ঘটনার পরে সবকিছু জটিল হয়ে যায়। কিন্তু রঞ্জন যখন অরুণের উপর মামলা প্রত্যাহার করে তখন সে ভাল মানুষ হতে চায়। সে তার মামা এবং মামিকে এক করার শপথ নেয়। তিথি এই মিশনে অরুণকে আন্তরিকভাবে সহায়তা করে। শেষ পর্যন্ত অসংখ্য ঘটনার পরে জয়দেব জোর করে চৈতালীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষ মুহুর্তে অজয় ​​সেই জায়গায় উপস্থিত হয়। অরুণও তার মামা আর মামিকে বাঁচাতে পৌঁছয়। শেখর চৈতালির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তখন সে নিজের সম্মান রক্ষার জন্য শেখরকে হত্যা করে। অরুণ এই দোষ নিজের ঘাড়ে নেয় ।তাকে ৪ বছরের জন্য কারাগারে যেতে হয়। মুক্তি পাওয়ার পর অজয় ​​ অরুণ ও তিথিকে সঙ্গে নিয়ে জয়দেবের বাড়িতে আসে। সেখানে প্রতিটি সত্য প্রকাশিত হয়। জয়দেব এবং পিসি (অর্পিতা বেকার) ভাল মানুষে পরিণত হয়।সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। অজয় এবং চৈতালী দীর্ঘ ব্যবধানের পরে পুনরায় এক হয়।[1]

শ্রেষ্ঠাংশে

  • প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী অজয় হিসেবে
  • অরিন্দম রায় অরুণ চরিত্রে
  • বর্ষা প্রিয়দর্শিনী তিথি হিসেবে
  • রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চৈতালী চৌধুরী হিসেবে
  • অর্পিতা বেকার পিসির চরিত্রে
  • সুদীপ মুখার্জি জয়দেব চৌধুরী হিসেবে
  • ভাস্বর চ্যাটার্জী রঞ্জন হিসেবে
  • দিগন্ত বাগচী শেখর জয়দেবের ব্যবসায়ের অংশীদার হিসেবে
  • কল্যাণী মন্ডল অজয়ের মা হিসেবে
  • সুভদ্রা মুখোপাধ্যায় দীপা অজয়ের বোন হিসেবে

বৃন্দ

  • 'পরিচালক' : স্বপন সাহা
  • 'প্রযোজক' ': সুভাষ চন্দ্র গোয়েল
  • 'সংগীত পরিচালক' : অশোক ভদ্র
  • 'লিরিক্স' ':: গৌতম সুস্মিত
  • 'চিত্রনাট্য' : এন. কে সলিল
  • 'সংলাপ' : এন. কে সলিল
  • 'চিত্রগ্রাহক' : দেব রাজন
  • 'সম্পাদক' : সুরেশ
  • 'অ্যাকশন ডিরেক্টর' ': জুডো-রামু

তথ্যসূত্র

  1. Cinema, Zee Bangla। "TAKKAR"Zee Bangla Cinema (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.