টংকাবতী ইউনিয়ন
টংকাবতী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত বান্দরবান সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
টংকাবতী | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৫নং টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদ | |
টংকাবতী টংকাবতী | |
স্থানাঙ্ক: ২২°০′১০″ উত্তর ৯২°১৪′৪৪″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | বান্দরবান জেলা |
উপজেলা | বান্দরবান সদর উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মাংয়ং ম্রো (প্রদীপ)। |
আয়তন | |
• মোট | ১৫২.৬৭ বর্গকিমি (৫৮.৯৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫,৭৭১ |
• জনঘনত্ব | ৩৮/বর্গকিমি (৯৮/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ১১.১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৬০০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
আয়তন
টংকাবতী ইউনিয়নের আয়তন ৩৭,৭২৬ একর (১৫২.৬৭ বর্গ কিলোমিটার)।[1] এটি বান্দরবান সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী টংকাবতী ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৫,৭৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩,০০৭ জন এবং মহিলা ২,৭৬৪ জন। মোট পরিবার ১,০৬৮টি।[1]
অবস্থান ও সীমানা
বান্দরবান সদর উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে টংকাবতী ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ২৪ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের উত্তরে সুয়ালক ইউনিয়ন; পূর্বে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন ও রুমা উপজেলার গ্যালেংগ্যা ইউনিয়ন; দক্ষিণে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন, পদুয়া ইউনিয়ন ও সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়ন অবস্থিত।
ইতিহাস ও নামকরণ
১৯৮৪ সালে তৎকালীন বৃহত্তর তারাছা ইউনিয়ন থেকে ৩০৮নং উত্তর হাঙ্গর, ৩০৯নং দক্ষিণ হাঙ্গর, ৩১০নং টংকাবতী, ৩১১নং হরিণঝিরি এবং ৩১২নং টাকের পানছড়ি এই ৫টি মৌজার সমন্বয়ে টংকাবতী ইউনিয়ন গঠন করা হয়। টংকাবতী খালের নামানুসারে ইউনিয়নের নামকরণ করা হয়।[2]
প্রশাসনিক কাঠামো
টংকাবতী ইউনিয়ন বান্দরবান সদর উপজেলার আওতাধীন ৫নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বান্দরবান সদর থানার আওতাধীন। এ ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ৩০০নং নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য বান্দরবান এর অংশ। এটি ৫টি মৌজায় বিভক্ত।[3]
ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের মৌজাসমূহ হল:[3]
ওয়ার্ড নং | মৌজার নাম |
---|---|
১নং ওয়ার্ড | উত্তর হাঙ্গর |
২নং ওয়ার্ড | উত্তর হাঙ্গর |
৩নং ওয়ার্ড | উত্তর হাঙ্গর |
৪নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ হাঙ্গর |
৫নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ হাঙ্গর |
৬নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ হাঙ্গর |
৭নং ওয়ার্ড | টংকাবতী |
৮নং ওয়ার্ড | হরিণঝিরি |
৯নং ওয়ার্ড | টাকের পানছড়ি |
শিক্ষা ব্যবস্থা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী টংকাবতী ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ১১.১%।[1] এ ইউনিয়নে ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়[4]
- চিম্বুক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- টংকাবতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ব্রীক ফিল্ড বাজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভাইট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- রমজুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- হাতির ডেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
যোগাযোগ ব্যবস্থা
টংকাবতী ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল বান্দরবান-লামা সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম জীপ গাড়ি।
খাল ও নদী
টংকাবতী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে টংকাবতী খাল এবং হাঙ্গর খাল।[5]
হাট-বাজার
টংকাবতী ইউনিয়নের প্রধান হাট-বাজার হল টংকাবতী বাজার।[6]
দর্শনীয় স্থান
জনপ্রতিনিধি
- বর্তমান চেয়ারম্যান: প্লুকান ম্রো[8]
তথ্যসূত্র
- "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯।
- "ইউনিয়নের ইতিহাস - টংকাবতী ইউনিয়ন - টংকাবতী ইউনিয়ন"। tongkabotyup.bandarban.gov.bd। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "গ্রামভিত্তিক লোকসংখ্যা - টংকাবতী ইউনিয়ন - টংকাবতী ইউনিয়ন"। tongkabotyup.bandarban.gov.bd। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "Schools/Colleges in BANDARBAN SADAR - Bangladesh School, College Directory"। edu.review.net.bd।
- "খাল ও নদী - টংকাবতী ইউনিয়ন - টংকাবতী ইউনিয়ন"। tongkabotyup.bandarban.gov.bd। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "হাট বাজারের তালিকা - টংকাবতী ইউনিয়ন - টংকাবতী ইউনিয়ন"। tongkabotyup.bandarban.gov.bd।
- "দর্শনীয়স্থান - টংকাবতী ইউনিয়ন - টংকাবতী ইউনিয়ন"। tongkabotyup.bandarban.gov.bd। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "বাবু প্লুকান ম্রো - টংকাবতী ইউনিয়ন - টংকাবতী ইউনিয়ন"। tongkabotyup.bandarban.gov.bd। ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।