ঝাংঝুং

ঝাংঝুং বা শাংশুং পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম তিব্বতের বোন ধর্মাবলম্বী এক প্রাচীন রাজ্য।

ঝাংঝুং
তিব্বতি নাম
তিব্বতি ཞང་ཞུང་
চীনা নাম
ঐতিহ্যবাহী চীনা 象雄、羊同、楊同
সরলীকৃত চীনা 象雄、羊同、杨同

বিস্তার

ঝাংঝুং স্গোব-বা (বহিরাঞ্চল), বার-বা (মধ্যাঞ্চল) ও ফুগ-বা (ভেতরের অঞ্চল) এই তিনটি পৃথক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। বহিরাঞ্চলটি পশ্চিমে গিলগিট থেকে পূর্বে গ্নাম-ম্ত্শো হ্রদের নিকটে দংস-রা-খ্যুং-র্দ্জোং পর্যন্ত এবং উত্তরে খোটান থেকে দক্ষিণে চু-মিগ-ব্র্গ্যাদ-সু-র্ত্স-গ্ন্যিস পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মধ্যাঞ্চলটির নাম র্গ্যা-ম্খার-বার-চদ এবং ভেতরের অঞ্চলটির নাম স্তাগ-গ্জিগ ছিল। ভেতরের অঞ্চলটির সঙ্গে ব্যাক্ট্রীয়া অঞ্চলের সামঞ্জস্য পাওয়া গেলেও মধ্যাঞ্চলের এলাকা সম্বন্ধে এখনো জানা যায়নি।[1][2] ঝাংঝুং রাজ্যের রাজধানী খ্যুং-লুং দ্ঙ্গুল-ম্খার টি-সে পর্বতের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ছিল। [3] ঝাংঝুং সত্যই এতো বড়ো রাজ্য ছিল কিনা এনিয়ে দ্বিমত থাকলেও একথা অনস্বীকার্য যে তারা স্বাধীন রাজ্য হিসেবে সমগ্র পশ্চিম তিব্বত রাজত্ব করতেন। [n 1]

ইতিহাস

৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বত সাম্রাজ্যের অধীনে ঝাংঝুং

তিব্বত সম্রাট স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো বা খ্রি-ল্দে-স্রোং-ব্ত্সানের মধ্যে কে ঝাংঝুং আক্রমণ করেছিলেন, সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। [5] যদিও রল্ফ আলফ্রেড স্টেইনের মতে এই আক্রমণ ৬৪৫ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছিল[6] কিন্তু জিউ ট্যাংশু গ্রন্থে বলা হয়েছে যে ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ইয়াংটং বা ঝাংঝুং ও অন্যান্য কিয়াং জাতি তিব্বতের অধীনস্থ হয়। এরপর ঝাংঝুংয়ের রাজ্য ও নিজের রাজ্যকে মিলিত করে তুয়ুহুন রাজ্যকে পরাজিত করেন।

ঝাংঝুং আক্রমণের ইতিহাস সম্বন্ধে পুরাতন তিব্বতী গ্রন্থে বলা হয় যে, রাজনৈতিক সন্ধির উদ্দেশ্যে তিব্বত সম্রাট স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো এবং ঝাংঝুংয়ের রাজা লিগ-ম্যি-র্হ্যা পরস্পরের বোনকে বিবাহ করেন। কিন্তু লিগ-ম্যি-র্হ্যার তিব্বতী স্ত্রী ও স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর বোন সদ-মর-কর তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ করলে দুই রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে এবং রাজা লিগ-ম্যি-র্হ্যা নিহত হন। এরফলে এই দুই সাম্রাজ্যকে মিলিত করে বোদ র্গ্যাল-খব নাম রাখা হয়। [7][8]

স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর উত্তরাধিকারী খ্রি-মাং-স্লোন-র্ত্সানের মৃত্যুর পরে তিব্বত সম্রাট খ্রি-দুস-স্রোং-ব্ত্সনের রাজত্বকালে ঝাংঝুং বিদ্রোহ ঘোষণা করলে সেই বিদ্রোহ দমন করা হয়। .[9]

পাদটীকা

  1. “…Then further west, The Tibetans encountered a distinctly foreign nation. - Shangshung, with its capital at Khyunglung. Mt. Kailāśa (Tise ) and Lake Manasarovar formed part of this country., whose language has come down to us through early documents. Though still unidentified, it seems to be Indo European. …Geographically the country was certainly open to India, both through Nepal and by way of Kashmir and Ladakh. Kailāśa is a holy place for the Indians, who make pilgrimages to it. No one knows how long they have done so, but the cult may well go back to the times when Shangshung was still independent of Tibet. How far Shangshung stretched to the north , east and west is a mystery…. We have already had an occasion to remark that Shangshung, embracing Kailāśa sacred Mount of the Hindus, may once have had a religion largely borrowed from Hinduism. The situation may even have lasted for quite a long time. In fact, about 950, the Hindu King of Kabul had a statue of Vişņu, of the Kashmiri type (with three heads), which he claimed had been given him by the king of the Bhota (Tibetans) who, in turn had obtained it from Kailāśa.”[4]

তথ্যসূত্র

  1. Karmey, Samten G. (1979). A General Introduction to the History and Doctrines of Bon, p. 180. The Toyo Bunko, Tokyo.
  2. Stein, R. A. (1972). Tibetan Civilization. Stanford University Press, Stanford, California. আইএসবিএন ০-৮০৪৭-০৮০৬-১ (cloth); আইএসবিএন ০-৮০৪৭-০৯০১-৭.
  3. Allen, Charles. (1999). The Search for Shangri-La: A Journey into Tibetan History. Abacus Edition, London. (2000), pp. 266-267; 273-274. আইএসবিএন ০-৩৪৯-১১১৪২-১.
  4. Stein, R. A. (1972). Tibetan Civilization. Stanford University Press, Stanford, California. আইএসবিএন ০-৮০৪৭-০৮০৬-১ (cloth); আইএসবিএন ০-৮০৪৭-০৯০১-৭.
  5. Karmey, Samten G. (1975). "'A General Introduction to the History and Doctrines of Bon", p. 180. Memoirs of Research Department of The Toyo Bunko, No, 33. Tokyo.
  6. Stein, R. A. (1972). Tibetan Civilization, p. 59. Stanford University Press, Stanford California. আইএসবিএন ০-৮০৪৭-০৮০৬-১ (cloth); আইএসবিএন ০-৮০৪৭-০৯০১-৭.
  7. Norbu, Namkhai. (1981). The Necklace of Gzi, A Cultural History of Tibet, p. 30. Information Office of His Holiness The Dalai Lama, Dharamsala, H.P., India.
  8. Allen, Charles. The Search for Shangri-La: A Journey into Tibetan History, pp. 127-128. (1999). Reprint: (2000). Abacus, London. আইএসবিএন ০-৩৪৯-১১১৪২-১.
  9. Beckwith, Christopher I. The Tibetan Empire in Central Asia. A History of the Struggle for Great Power among Tibetans, Turks, Arabs, and Chinese during the Early Middle Ages, 1987, Princeton: Princeton University Press. আইএসবিএন ০-৬৯১-০২৪৬৯-৩, p. 43.

আরো পড়ুন

  • Bellezza, John Vincent. (2010). "gShen-rab Myi-bo, His life and times according to Tibet’s earliest literary sources." Revue d’Etudes Tibétaines Number 19 October 2010, pp. 31–118.
  • Blezer, Henk. (2010). "Greatly Perfected, in Space and Time: Historicities of the Bon Aural Transmission from Zhang zhung." In: The Tibet Journal, Special issue. Autumn 2009 vol XXXIV n. 3-Summer 2010 vol XXXV n. 2. "The Earth Ox Papers", edited by Roberto Vitali, pp. 71–160.
  • Zeisler, Bettina (2010). “East of the Moon and West of the Sun? Approaches to a Land with Many Names, North of Northern India and South of Khotan.” In: The Earth Ox Papers. Special Issue. The Tibet Journal, Autumn 2009 vol XXXIV n 3-Summer 2010 vol. SSSV n. 2. Edited by Roberto Vitali. Library of Tibetan Works and Archives, Dharamsala, H.P., India. pp. 371–463.
  • Bellezza, John Vincent: Zhang Zhung. Foundations of Civilization in Tibet. A Historical and Ethnoarchaeological Study of the Monuments, Rock Art, Texts, and Oral Tradition of the Ancient Tibetan Upland. Denkschriften der phil.-hist. Klasse 368. Beitraege zur Kultur- und Geistesgeschichte Asiens 61, Verlag der Oesterreichischen Akademie der Wissenschaften, Wien 2008.
  • Hummel, Siegbert. (2000). On Zhang-zhung. Edited and translated by Guido Vogliotti. Library of Tibetan Works and Archives. Dharamsala, H.P., India. আইএসবিএন ৮১-৮৬৪৭০-২৪-৭.
  • Zeisler, Bettina. (2010). "Ëast of the Moon and West of the Sun? Approaches to a Land with Many Names, North of Ancient India and South of Khotan." In: The Tibet Journal, Special issue. Autumn 2009 vol XXXIV n. 3-Summer 2010 vol XXXV n. 2. "The Earth Ox Papers", edited by Roberto Vitali, pp. 371–463.
  • Stein, R. A. (1961). Les tribus anciennes des marches Sino-Tibétaines: légends, classifications et histoire. Presses Universitaires de France, Paris. (In French)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.