জ্যানেট লেই
জ্যানেট লেই (জন্ম জিনেট হেলেন মরিসন; ৬ জুলাই ১৯২৭ - ৩ অক্টোবর ২০০৪) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী ও লেখিকা। তার কর্মজীবনের ব্যপ্তি ছিল পাঁচ দশকের অধিক সময়। ক্যালিফোর্নিয়ার স্টকটনে বেড়ে ওঠা লেইকে আবিষ্কার করেন নর্মা শিয়েরার, তখন তার বয়স ছিল ১৮। শিয়েরার তাকে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ করাতে সাহায্য করেন। লেই শুরুতে কয়েকটি বেতার অনুষ্ঠানে কাজ করেন এবং এরপর নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র দ্য রোম্যান্স অব রোজি রিজ (১৯৪৭)-এ দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে।
জ্যানেট লেই | |
---|---|
Janet Leigh | |
![]() ১৯৪৯ সালে লেই | |
জন্ম | জিনেট হেলেন মরিসন ৬ জুলাই ১৯২৭ মার্সড, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | অক্টোবর ৩, ২০০৪ ৭৭) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স
সমাধি | ওয়েস্টউড ভিলেজ পার্ক মেমোরিয়াল সেমাট্রি |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইউনিভার্সিটি অব দ্য প্যাসিফিক |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৪৭-২০০৪ |
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্র্যাটিক |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | কেলি কার্টিস জেমি লি কার্টিস |
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি এমজিএমের কয়েকটি বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে অ্যাক্ট অব ভায়োলেন্স (১৯৪৮), লিটল উইমেন (১৯৪৯), অ্যাঞ্জেলস ইন দ্য আউটফিল্ড (১৯৫১), স্ক্যারামুশ (১৯৫২), দ্য নেইকড স্পার (১৯৫৩), ও লিভিং ইট আপ (১৯৫৪) চলচ্চিত্রগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। লেই ১৯৫০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে মূলত নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে সাফারি (১৯৫৬) এবং অরসন ওয়েলসের নোয়া চলচ্চিত্র টাচ অব ইভল (১৯৫৮), কিন্তু তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন অ্যালফ্রেড হিচককের সাইকো (১৯৬০) চলচ্চিত্রে ম্যারিয়ন ক্রেন চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
জ্যানেট লেই ১৯২৭ সালের ৬ই জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার মার্সডে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম জিনেট হেলেন মরিসন।[1] তার মাতা হেলেন লিটা (বিবাহপূর্ব ওয়েস্টারগার্ড) এবং মাতা ফ্রেডরিক রবার্ট মরিসন। তিনি তার পিতামাতার একমাত্র সন্তান। তার মাতামহ-মাতামহী ডেনমার্ক থেকে অভিবাসিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।[2] তার পিতা স্কটস-আইরিশ ও জার্মান বংশোদ্ভূত।[3] লেইয়ের জন্মের কিছুদিন পর তারা সপরিবারে স্টকটনে চলে যান, সেখানেই তার শৈশবে কাটে। তার শৈশবে দৈন্যের মধ্য দিয়ে কাটে।[4] তার পিতা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন এবং মহামন্দা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সংসারের খরচ চালাতেন।[5]
পুরস্কার ও মনোনয়ন
পুরস্কার | বিভাগ | বছর | মনোনীত কর্ম | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|---|
একাডেমি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | ১৯৬০ | সাইকো | মনোনীত | [6] |
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র | ১৯৬০ | বিজয়ী | [6] | |
লরেল পুরস্কার | সেরা নারী পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় | ১৯৬০ | ২য় স্থান | ||
সেরা নারী রম্য অভিনয় | পিপ | ১ম স্থান | |||
হুজ দ্যাট লেডি? | ৪র্থ স্থান | ||||
তথ্যসূত্র
- কাপুয়া ২০১৩, পৃ. ৪।
- লেই ১৯৮৪, পৃ. ৬।
- "German ancestry Politicians in California"। দ্য পলিটিক্যাল গ্রেইভইয়ার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০।
- কাপুয়া ২০১৩, পৃ. ৪–৬, ৮।
- কাপুয়া ২০১৩, পৃ. ৫–৭।
- কাপুয়া ২০১৩, পৃ. ১০৫।
উৎস
- কাপুয়া, মাইকেলেঞ্জেলো (২০১৩)। Janet Leigh: A Biography। ম্যাকফারল্যান্ড। আইএসবিএন 978-0-786-47022-8।
- লেই, জ্যানেট (১৯৮৪)। There Really Was a Hollywood। ডাবলডে। আইএসবিএন 978-0-385-19035-0।
বহিঃসংযোগ

- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জ্যানেট লেই (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে জ্যানেট লেই (ইংরেজি)