জোসে মরিনহো

জোসে মারিও দস সান্তোস মরিনহো ফেলিক্স, সাধারনভাবে জোসে মরিনহো নামে পরিচিত, GOIH (জন্ম ২৬ জানুয়ারি ১৯৬৩) একজন পর্তুগিজ ফুটবল ম্যানেজার ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি বর্তমানে রোমা এর কোচ ।

হোসে মরিনহো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম জোসে মারিও দস সান্তোস মরিনহো ফেলিক্স
উচ্চতা ১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি)[1]
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
রোমা (২০২১–)
পরিচালিত দল
বছর দল
২০০০
২০০১–২০০২
২০০২–২০০৪
২০০৪–২০০৭
২০০৮–২০১০
২০১০–২০১৩
২০১৩–২০১৫
২০১৬–২০১৮
২০১৯–২০২১
২০২১–
বেনফিকা
ইউ.ডি. লেইরিয়া
এফ.সি. পোর্তো
চেলসি
ইন্টার মিলান
রিয়াল মাদ্রিদ
চেলসি
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
টটেনহাম
রোমা

মরিনহো পরপর চারটি লিগ শিরোপা (পোর্তোর পক্ষে দুটি এবং চেলসির পক্ষে দুটি) এবং পোর্তোর হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগউয়েফা কাপ জিতেছেন। পরপর দুবছর (২০০৪ ও ২০০৫) মরিনহো আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সংস্থার বিচারে শ্রেষ্ঠ ফুটবল কোচ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অনেক সময়েই বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত ছিলেন।

ক্যারিয়ার

প্রাথমিক জীবন

জোসে মরিনহোর পিতা ফেলিক্স মরিনহো ছিলেন পর্তুগিজ ফুটবল দলের গোলরক্ষক ও ফুটবল ম্যানেজার এবং মা মারিয়া জুলিয়া ছিলেন একজন বিদ্যালয় শিক্ষিকা। তার ধনী গডফাদার ছিলেন ভিক্টোরিয়া দি সেন্তুবাল ফুটবল দলের চেয়ারম্যান, যেটি ছিল অত্র এলাকার নামী ফুটবল দল। ছোটবেলাতেই তিনি তার ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা দেখাতে শুরু করেন। এসময় তিনি তার পিতার দলের ম্যাচ রিপোর্ট ও ডোসিয়ে লিখতেন। মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা করার সময় গণিতের শিক্ষকের সাথে তার বিরোধ ঘটে এবং তিনি বিদ্যালয় ছেড়ে দেন। তবে তিনি পুনরায় বিদ্যালয়ে ফেরত আসেন এবং তার ১২তম গ্রেড সম্পন্ন করেন। এসময় মরিনহো পর্তুগালের একটি শারিরীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষকের সাথে বিরোধের কারণে তার যে কিছুটার সময় নষ্ট হয়েছিল তাই সে বছর তিনি সেখানে ভর্তি হতে পারেননি। তার মা শারীরিক শিক্ষার বদলে মরিনহোকে ব্যবস্থাপনা পড়াতে চেয়েছিলেন এবং বেসরকারী ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে মরিনহোর জন্য আবেদন পত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু মরিনহো সেই বিষয়ে আগ্রহ পাননি এবং ভর্তির পর প্রথম দিনেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেছিলেন। এরপর মরিনহো তার পিতার সাথে ভিলা দে কোন্দে তে চলে আসেন, যেখানে ফেলিক্স মরিনহো রিও অ্যাভে এফ.সি. ক্লাবের কোচ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরের বছর মরিনহো আইএসইএফ (পর্তুগালের একটি শারীরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) এ ভর্তি হন এবং পাঁচ বছর পর তিনি শারীরিক শিক্ষায় ডিগ্রি লাভ করেন। তার ফল ছিল বেশ ভাল। তিনি স্পোর্ট মেথডলজিতে বিশেষত্ব অর্জন করেন। পরে তিনি স্কটল্যান্ডে আসেন এবং উয়েফা ফুটবল কোচ কোর্স করেন। পরে তিনি পর্তুগালে ফিরে গিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন।[2]

জোসে মরিনহোর ফুটবল খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার বেশি দীর্ঘ বা সফল কোনটাই হয় নি। তিনি কয়েকটি ছোট ও মাঝারি পর্তুগিজ ক্লাবে কয়েকবছর খেলেছেন, যখন তিনি পড়াশোনা করতেন। তিনিবেলেনেনসেস ক্লাবে ও পরে রিও অ্যাভে এফ.সি. দলের পক্ষে খেলেছেন। এর পরে তিনি আবার লিসবনে ফেরৎ আসেন এবং বেলেনেনসেস ক্লাবে যোগ দেন। কোনরুপ সাফল্য ছাড়া খেলোয়াড় হিসেবে তিনি সেসিমব্রা ও কমেরসিও ই ইন্ডাসট্রিয়া ক্লাবের মত ছোট দলে থেকে খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটান।

বিদ্যালয়ের কোচ হবার পর তিনি এস্ত্রেলা দা আমাদোরা ক্লাবের তৎকালীন কোচ মানুয়েল ফের্নান্দেজ এর আমন্ত্রনে ক্লাবটিতে একটি চাকরি পান। তিনি তার নিজ শহরে ভিক্টোরিয়া দি সেন্তুবাল ক্লাবে যোগ দেন ১৯৯০ দশকের শুরুতে। পরে তিনি স্যার ববি রবসনের অধীনে স্পোর্টিং এবং এফসি পোর্তোর পক্ষে দোভাষীর চাকরি করেন। এ সময় তার ডাকনাম হয়ে গিয়েছিল ট্রাডুটর (অনুবাদক)।

১৯৯৬ সালে তিনি রবসনের সাথে বার্সেলোনা ক্লাবে যোগ দেন, এখানে তিনি ক্যাটালান ভাষা শেখেন। রবসন পিএসভি ক্লাবে চলে গেলেও মরিনহো ন্যু ক্যাম্পে থেকে যান এবং রবসনের পরবর্তী বার্সেলোনার ডাচ কোচ লুইস ভ্যান গালের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। মরিনহোর ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের কারণ তিনি তা মূল কাজের বাইরে বিভিন্ন কোচিং ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা নিতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মরিনহো এফসি বার্সেলোনা বি দলের কোচ নির্বাচিত হন।

বেনফিকা এবং ইউনিয়াও দি লেইরিয়া

ম্যানেজার হবার প্রথম সুযোগ তিনি পান ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে। এ সময় লিসবনের দল বেনফিকার ম্যানেজার জাপ হেইঙ্কেস লিগ শুরু হবার চতুর্থ সপ্তাহে চলে গেলে তিনি সহকারী কোচ থেকে পূর্ণ ম্যানেজার পদে পদোন্নতি পান। তিনি এসময় অবসরপ্রাপ্ত বেনফিকা ডিফেন্ডার কার্লোস মোজার কে তার সহকারী হিসেবে নির্বাচন করেন।

এই জুটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল, বিশেষত চির-প্রতিদ্বন্দ্বী স্পোর্টিংকে ৩-০ গোলে হারানোর পর। বেনফিকার ক্লাব প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোয়াও ভালে ই আযেভেদো হেরে যান এবং নতুন প্রেসিডেন্ট হন মানুয়েল ভিলারিনহো, যিনি আরেকজন কিংবদন্তি বেনফিকা খেলোয়াড় টনিকে কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। যদিও ভিলারিনহো মরিনহোকে তাক্ষনিৎভাবে বরখাস্ত করতে চাননি তবে মরিনহো মৌসুমের মাঝেই তার কাছে তার চুক্তির সম্প্রসারণ দাবি করেন। ভিলারিনহো তাতে সম্মত না হলে মরিনহো বেনফিকা ত্যাগ করেন ২০০০ সালের ৫ ডিসেম্বর (মাত্র ৯টি লিগ খেলার পর)। ভিলারিনহো পরে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন মরিনহো যদি মৌসুমে লিগ শিরোপা জিততেন তবে তিনি তার চুক্তি সম্প্রসারণ করতেন।

মরিনহো দ্রুতই নতুন ম্যানেজারের চাকরি পেয়ে যান ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে। তিনি মধ্যমসারির একটি দল ইউনিয়াও দি লেইরিয়া এর ম্যানেজার হন এবং তাদেরকে পঞ্চম অবস্থানে উন্নীত করেন যা ছিল তাদের সেরা লিগ অবস্থান। মরিনহো এ সময় বেনফিকার ঠিক ওপরেই লিগ শেষ করেছিলেন।

এফ.সি. পোর্তো

মরিনহো এরপর ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে যোগ দেন পোর্তো ক্লাবে। পোর্তো ক্লাবের তৎকালীন অবস্থা ছিল বেশ নাজুক। তারা লিগ শিরোপা তো দূরে থাকুক কোন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দীতা করার সুযোগ না পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল। তিনি তৎকালীন ম্যানেজার অক্টাভিও মাছাদোর স্থলাভিষিক্ত হন। মরিনহো দলকে সে বছর তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত করেন। তিনি ১৫ টি খেলার মধ্যে ১১ জয়, ২ ড্র ও ২পরাজয়ের মাধ্যমে এ অবস্থানে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার দল পরবর্তী উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে (যাতে ভবিষ্যতে তার দল চ্যাম্পিয়ান হবে)।

তিনি দ্রুত কিছু খেলোয়াড়কে চিহ্নিত করেন যারা আসলে দলের মেরুদন্ড এবং একটি শ্রেষ্ঠ পোর্তো দল গঠন করার অধিকারী। এদের মধ্যে রয়েছেন বাইয়া, রিকার্ডো কারভালহো, কস্তিনহা, দেকো, দিমিত্রি আলেনিচেভপস্তিগা। তিনি ছয়মাস ধারে চার্লটন অ্যাথলেটিকে থাকা (মাচাদোর সাথে বাকবিতন্ডার কারণে) অধিনায়ক জর্জ কস্তা কে দলে ডেকে আনেন। এছাড়া তিনি নুনো ভ্যালান্তে, দেরলেই কে লেইরিয়া, পাওলো ফেরেইরা কে ভিক্টোরিয়া সেতুবাল, পেড্রো এমানুয়েলকে বোয়াভিস্তা এবং এডগারাস জ্যাঙ্কাউস্কাস ও মানিশ কে বেনফিকা থেকে কেনেন।

মৌসুমপূর্ব প্রস্তুতির সময় মরিনহো ক্লাবের ওয়েবসাইটে দলের প্রশিক্ষনের ওপর রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এই রিপোর্টে তিনি প্রচলিত শব্দের বদলে প্রাতিষ্ঠানিক শব্দ ব্যবহার করেন, যেমন ২০কিমি জগিং এর বদলে তিনি দীর্ঘায়িত অ্যারোবিক ব্যায়াম ব্যবহার করেন। তার এ নবউদ্ভাবিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি পর্তুগালে বেশ সাড়া ফেলে। মরিনহোর খেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি খেলায় বেশি চাপ প্রয়োগ করতেন। শক্তিশালী ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডারগণ যেমন, দেরলেই, মানিশ ও ডেকো আক্রমণ ভাগ থেকেই চাপ প্র্যোগ করে খেলতেন এবং বিপক্ষ দলকে বল ছেড়ে দেয়া বা লম্বা পাসে প্ররোচিত করতেন।

২০০৩ সালে মরিনহো প্রথম সুপার লিগা জেতেন ২৭-৫-২ (জয়-ড্র-হার) রেকর্ডে। তিনি বেনফিকার তুলনায় ১১ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন, যে দলকে তিনি আগে প্রশিক্ষন দিতেন। তিনি ১০২ পয়েন্টের ভিতর ৮৬ পয়েন্ট জেতেন যা প্রতি জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ম চালু করার পর সর্বোচ্চ পয়েন্ট জেতার নতুন পর্তুগিজ রেকর্ড। পূর্ববরতী রেকর্ড ছিল ১৯৯৬/৯৭ মৌসুমে পোর্তোরই ৮৫ পয়েন্ট। মরিনহো এছাড়া পর্তুগিজ কাপ জেতেন লেইরিয়া ক্লাবের বিপক্ষে এবং উয়েফা কাপ জেতেন সেল্টিকের বিপক্ষে ২০০৩ সালের মে মাসে।

পরবর্তী মৌসুমগুলোতে তিনি আরো সাফল্য পান যদিও খেলার মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। পোর্তো তাদের ২০তম সুপার লিগা খেতাব অর্জন করে। ক্লাবটির নিজ মাঠে খেলার ফল ছিল খুবই ভাল। এছাড়া তারা আট পয়েন্ট এগিয়ে থাকে এবং পরপর অনেকগুলো খেলায় অপরাজিত থাকে যা কেবল ভিসেন্তের বিপক্ষে শেষ হয়। মৌসুম শেষের পাচ সপ্তাহ আগেই তারা শীর্ষস্থান দখল করে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগেও ব্যস্ত সময় কাটায়। পোর্তো বেনফিকার কাছে ২০০৪ সালের মে মাসে পর্তুগিজ কাপ হেরে বসে। কিন্তু মরিনহো তার চরম সাফল্য পান যখন তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেন। জার্মানির অ্যারেনা আফসালকে মাঠে মোনাকোর বিপক্ষে তার দল ৩-০ গোলে জেতে। ফাইনালে ওঠার পথে ক্লাবটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, অলিম্পিক লিওনেসদেপোর্তিভো দে লা করুনা কে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করে দেয়। ক্লাবটি কেবল গ্রুপ পর্যায়ের একটি খেলায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজিত হয়েছিল।

পোর্তোয় থাকার সময় মরিনহোর সাথে কয়েকটি শীর্ষ ইউরোপীয় দলের কথাবার্তা চলার গুজব ছিল। এসব দলের মধ্যে রয়েছে লিভারপুল এবং চেলসি। মরিনহো জনসম্মুখে চেলসির চেয়ে লিভারপুলের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "লিভারপুল এমন একটি দল যেটি সকলের আগ্রহ জাগায় এবং চেলসি আমার আগ্রহ জাগায় না কারণ এটি নতুন প্রকল্প যাতে অঢেল অর্থের বিনিয়োগ রয়েছে। আমার মনে হয় এটি এমন একটি প্রকল্প যাতে ক্লাব সবকিছু বিজয়ে ব্যর্থ হলে, আব্রাহামোভিচ অবসর নিবে এবং ক্লাব থেকে অর্থ প্রত্যাহার করে নেবে। এটা একটা অনিশ্চিত প্রকল্প। একজন কোচের কাছে ভাল খেলোয়াড় কেনার অর্থ থাকাটা আনন্দের কিন্তু আপনি কখনই জানেন না যে এই ধরনের প্রকল্প সফল হবে।"[3]

চেলসি

মরিনহো চেলসিতে যোগদেন ২০০৪ সালের জুন মাসে এবং প্রতি বছরে ৪.২ মিলিয়ন পাউন্ড বেতনের ফলে ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ম্যানেজারের খাতায় নাম লেখান। ২০০৫ সালে এ বেতন বেড়ে হয় ৫.২ মিলিয়ন পাউন্ড।[4]

এই দলে যোগ দেয়ার পর মরিনহো সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ান এবং বিশেষ একজন বলে বর্ণনা করেন।[5]

মরিনহো তার পোর্তোতে থাকাকালীন সহযোগীদেরকে চেলসিতে নিয়োগ করেন। এসব নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন সহকারী ম্যানেজার বাল্টিমার ব্রিটো, ফিটনেস কোচ রুই ফারিয়া, প্রধান স্কাউট আন্দ্রে ভিলাস এবং গোলরক্ষন কোচ সিলভিনো লোউরো। তিনি চেলসির পুরনো খেলোয়াড় স্টিভ ক্লার্ক কে বহাল রাখেন যিনি পূর্ববর্তী ম্যানেজারের সহকারীর মত কাজ করতেন। খরচের দিক থেকে মরিনহো পূর্ববর্তী ম্যানেজার যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করেন। তিনি ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তিয়াগো মেন্দেজ (১০ মিলিয়ন পাউন্ড) বেনফিকা থেকে, দিদিয়ের দ্রগবা (২৪ মিলিয়ন পাউন্ড) অলিম্পিক মার্সেই থেকে, মাটেজা কেজম্যান (৫.৪ মিলিয়ন পাউন্ড) পিএসভি আইন্দোভেন থেকে এবং এফসি পোর্তো থেকে রিকার্ডো কারভালহো (১৯.৮ মিলিয়ন পাউন্ড) এবং পাওলো ফেরেইরা (১৩.৩ মিলিয়ন পাউন্ড) প্রভৃতি খেলোয়াড়কে কেনেন।

১২ আগস্ট ২০০৭ তারিখে চেলসি নিজস্ব মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বার্মিংহামকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে এবং নিজস্ব মাঠে অপরাজিত থাকার নতুন ইংরেজ রেকর্ড অর্জন করে। ক্লাবের পরপর ৬৪ খেলায় অপরাজিত থাকার রেকর্ড লিভারপুলের ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভং করেছে।[6]

সম্মাননা

পর্তুগিজ জাতীয় দল

মরিনহো জনসম্মুখে বলেছেন যে তিনি তার ক্যারিয়ারের কোন মুহুর্তে পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ হতে চান। চেলসির হয়ে যে ম্যাচে তিনি দ্বিতীয় শিরোপা জেতেন সে ম্যাচে তিনি পর্তুগালের একটি স্কার্ফ পরেছিলেন, এবং সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেনঃ "এর অর্থ আমি একজন পর্তুগিজ। আমি অন্য কোন দেশের স্কার্ফ পড়ব না। আমি আমার দেশের গন্ধ পাই, অনুভব করি এখনও কিছু ইদুর আছে যারা আমার ভুল উদ্‌যাপন করার জন্য অপেক্ষা করে আছে। কিন্তু যখন আমি চিন্তা করি অন্য ১০.৫ মিলিয়ন পর্তুগিজ সারা বিশ্বে কাজ করছে তখন আমি জানি আমি তাদের কাছে কি অর্থ বহন করি। আমি জানি তারা আমি যা করছি তা নিয়ে গর্বিত।" [7]

ব্যক্তিগত জীবন

সন্তানের সাথে মরিনহো

১৯৮৯ সালে মরিনহো মাটিল্ডের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যাকে তিনি শৈশব থেকে চিনতেন। তাদের দু'সন্তানঃ মাটিল্ডে ও জোসে জুনিয়র।

তার দৃঢ় ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি পরিচিত। এছাড়া তিনি সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন উক্তির জন্যও বিখ্যাত। তিনি ইউরোপে স্যামসাং, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার প্রাতিষ্ঠানিক আত্মজীবনী পর্তুগালে বেস্ট সেলার হয়েছিল।

জোসে মরিনহো বিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত। ইসরায়েলি ও প্যালেস্টাইনি শিশুদের নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। এছাড়া নিজ দেশের শিশুদের সাথেও তিনি জড়িত।[8] ২০০৭ সালের ১৬ মে মরিনহোর তার কুকুরকে পুলিশ নিতে চাইলে বাধা দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[9]

"It's like having a blanket that is too small for the bed. You pull the blanket up to keep your chest warm and your feet stick out. I cannot buy a bigger blanket because the supermarket is closed. But the blanket is made of cashmere!"

"For me, pressure is bird flu. I'm feeling a lot of pressure with the problem in Scotland. It's not fun and I'm more scared of it than football"

"It is omelettes and eggs. No eggs - no omelettes! It depends on the quality of the eggs. In the supermarket you have class one, two or class three eggs and some are more expensive than others and some give you better omelettes. So when the class one eggs are in Waitrose and you cannot go there, you have a problem"

“If I wanted to have an easy job... I would have stayed at Porto - beautiful blue chair, the Uefa Champions League trophy, God, and after God, me.”

ব্যবস্থাপনার ইতিহাস

দল জাতীয়তা থেকে পর্যন্ত রেকর্ড
খেলাজয়পরাজয়ড্রজয়ের হার %
এস.এল. বেনফিকা পর্তুগাল সেপ্টেম্বর ২০ ২০০০ ডিসেম্বর ৫ ২০০০ ১০৬০
ইউ.ডি. লেইরিয়া পর্তুগাল জানুয়ারি ২০০১ জানুয়ারি ২০০২
এফ.সি. পোর্তো পর্তুগাল জানুয়ারি ২৩ ২০০২ মে ২৬ ২০০৪ ১২৩৮৭১৫২১৭০.৭৩
চেলসি ইংল্যান্ড জুন ২ ২০০৪ সেপ্টেম্বর ২০ ২০০৭ ১৮৫১২৪২১৪০৬৭.০৩

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.