জোনবিরি

জোনবিরি ভারতের আসাম প্রদেশে তৈরি একপ্রকার অসমীয়া অলঙ্কার যা মূলত নারীদের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।[1][2][3] অসমীয়া ভাষায় 'জোন' অর্থ চাঁদ এবং 'বিরি' হল জোনবিরির চারপাশের নকশা।[4] এই অলঙ্কারের নকশাগুলি বাদ্যযন্ত্র, প্রকৃতি এবং আসামের গৃহস্থালীর পণ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত। সাধারণত আসামের আদিবাসী স্বর্ণকাররা কাঁচা স্বর্ণ দিয়ে এটি তৈরি করে, স্থানীয়ভাবে এইসব আদিবাসীরা থলু নামে পরিচিত। অলঙ্কারগুলি দেখতে অনেকটা চন্দ্রাকৃতির[5][6] বা অর্ধচন্দ্রাকৃতির মত হয়ে থাকে। উৎসব-পাৰ্বন, বিয়ে-শাদি ও বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে অসমীয়া মহিলারা এই অলংকার পরিধান করে। রঙালী বিহুতে বিহু নাচের সময় নর্তকীরাও এই অলঙ্কারটি পড়ে থাকে।

জোনবিরি

অলঙ্কার তৈরি করার পদ্ধতি

অসমীয়া গহনা তৈরি করার পদ্ধতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ ও জাতির গহনা তৈরির পারম্পরিক পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলা চলে। বিভিন্ন সরঞ্জামাদি যেমন:হাতুড়ি, বাটুল, নিয়ারি, ডাইচ, ফলি, কৰ্ষণী, কাঁটি, নোবনি, লেপ, থিনা/ঠিনা, বাখর আদির সাহায্যে এইসব গহনাবিশেষ তৈরি করা হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন নিম্নমানের ধাতুর সমন্বয়ে এসব গহনা তৈরি করে সোনা গলিয়ে 'স্প্ৰে' যন্ত্ৰের সাহায্য নিয়ে তার ওপরে একটি নিৰ্দিষ্ট অনুপাতে সোনার প্ৰলেপ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিকে স্থানীয় অসমীয়রা সোণপানী চরোবা বলে আভিহিত করে থাকে। সাধারণত অসমীয়া গহনার আকার-আকৃতি বা রূপাংকরণ জৈবিক বৈচিত্ৰ্য ও অসমীয়া বাদ্যযন্ত্ৰের আকৃতি থেকে অনুপ্ৰাণিত। জোনবিরি অলঙ্কারটিও একইরকম পদ্ধতিতে প্ৰস্তুত করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "Assamese Jewellery | ASSAM GOVERNMENT"assam.gov.in। ২০২০-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০
  2. "About Assamese Traditional Jewellery"www.angana-jewellery.com। ২০২১-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০
  3. "Assam Jewelry - Traditional Assamese Jewelry, Assamese Gems & Jewellery"www.bharatonline.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০
  4. zerokaata (২০১৮-০৬-২২)। "Assamese Jewellery: Making and Traditonal Styles"ZeroKaata Studio (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০
  5. "কেৰু, মণি, থুৰিয়াৰ কথাৰে (মঞ্জুলী ৰাহাঙ) | Xahitya.Org" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০
  6. Dey, Munmun (২০১৬-০২-১৯)। "Nature inspired traditional Assamese jewelleries"Medium (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.