জোড়াবাগান বিধানসভা কেন্দ্র

জোড়াবাগান বিধানসভা কেন্দ্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা জেলার একটি অধুনালুপ্ত বিধানসভা কেন্দ্র।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, জোড়াবাগান বিধানসভা কেন্দ্রটি ২০১১ সালে অবলুপ্ত হয়েছে।[1]

এই বিধানসভা কেন্দ্রটি কলকাতা উত্তর পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।[2]

ফলাফল

১৯৭৭-২০০৯

২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১৪২ নং জোড়াবাগান বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআই (এম)-এর পরিমল বিশ্বাস নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের সঞ্জয় বক্সিকে পরাজিত করেন। ২০০৪ সালে উপনির্বাচনে সিপিআই (এম)-এর পরিমল বিশ্বাস জাতীয় কংগ্রেসের রাজেশ কুমার সিনহাকে পরাজিত করে এই আসন থেকে নির্বাচিত হন। উপনির্বাচন হয়েছিল এখানকার স্থানীয় বিধায়ক সুধাংশু শীল লোকসভায় নির্বাচিত হয়ে চলে যাওয়ার জন্য। ২০০১ সালে সিপিআই (এম)-এর সুধাংশু শীল তৃণমূল কংগ্রেসের সঞ্জয় বক্সিকে পরাজিত করেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের সঞ্জয় বক্সি সিপিআই (এম)-এর সরলা মাহেশ্বরীকে পরাজিত করেছিলেন। কংগ্রেসের সুব্রত মুখোপাধ্যায় ১৯৯১ সালে বিজেপির শান্তিলাল জৈনকে ১৯৮৭ ও ১৯৮২ সালে সিপিআই (এম)-এর সরলা মাহেশ্বরীকে এখান থেকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির হরিপদ ভারতী এখান থেকে সিপিআই (এম)-এর হরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন।[3]

১৯৫১-১৯৭২

জোড়াবাগান বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের ইলা রায়, ১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের নেপালচন্দ্র রায়, ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের আর কে পোদ্দার, ১৯৬২ ও ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের নেপালচন্দ্র রায়, ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের রামলগন সিংহ জয়ী হন। [4]

পাদটীকা

  1. "Delimitation Commission Order No. 18 dated 15 February 2006" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০১০-০৯-১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫
  2. "Statistical Report on General Elections, 2004 to the 14th Lok Sabha" (পিডিএফ)Volume III Details For Assembly Segments Of Parliamentary Constituencies (ইংরেজি ভাষায়)। ভারতের নির্বাচন কমিশন। ২০১০-১০-০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫
  3. "142 - Jorabagan Assembly Constituency"১৯৭৭ থেকে দল অনুযায়ী তুলনা (ইংরেজি ভাষায়)। ভারতের নির্বাচন কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫ অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. "Statistical Reports of Assembly Elections"সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল এবং পরিসংখ্যান (ইংরেজি ভাষায়)। ভারতের নির্বাচন কমিশন। ২০১০-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.