জেমস পি. এলিসন

জেমস পি এলিসন (জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৪৮)[5] হচ্ছেন আমেরিকান প্রতিষেধকবিশেষজ্ঞ। তিনি এম.ডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার এর প্রতিষেধক-থেরাপি এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক এবং প্রতিষেধক বিভাগের প্রধান ও অধ্যক্ষ। তার আবিষ্কার প্রাণঘাতী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে নব চিকিৎসার সুচনা করে। তিনি ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিউট বিজ্ঞান পরিষদ কাউন্সিলের পরিচালক। তিনি প্রথম টি-কোষ এন্টিজেন রিসেপ্টর কমপ্লেক্স প্রোটিনকে পৃথক করেন।[6] তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ তে তাসাকু হনজো এর সাথে যুগ্নভাবে যথাক্রমে ঔষুধপ্রস্তুত বিজ্ঞানে ট্যাঙ পুরস্কার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।[7][8]

জেমস পি. অ্যালিসন
২০১৫ তে জেমস পি. অ্যালিসন
জন্ম (1948-08-07) ৭ আগস্ট ১৯৪৮
এলাইস, টেক্সাস
জাতীয়তাআমেরিকান
মাতৃশিক্ষায়তনটেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সাস
পরিচিতির কারণক্যান্সারের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়ানো সংক্রান্ত গবেষণা
দাম্পত্য সঙ্গীপদ্মমনি শর্মা, এমডি, পিএইচডি[1]
পুরস্কারব্রেকথ্রু পুরস্কার, লাইফ সায়েন্স (২০১৪)
ট্যাঙ পুরস্কার (২০১৪)[2]
লুইসা গ্রোস হরউইটজ পুরস্কার (২০১৪)
হারভে পুরস্কার (২০১৪)
গারিদনার ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার (২০১৪)
লাস্কের-ডিবাকে ক্লিনিক্যাল মেডিক্যাল রিসার্চ পুরস্কার (২০১৫)[3]
ওল্ফ পুরস্কার (২০১৭)
বালজান পুরস্কার (রবার্ট ডি. স্ক্রিবারের সাথে যুগ্নভাবে, ২০১৭)
দ্য সজোবার্গ পুরস্কার (এন্থনি আর. হান্টার)
কিং ফয়সাল ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার (২০১৮)
আলবেনি মেডিক্যাল সেন্টার পুরস্কার (২০১৮)
ড. পল জ্যাবসেন এওয়ার্ড ফর বাইওমেডিক্যাল রিসার্চ (২০১৮)[4]
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল (২০১৮)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপ্রতিষেধকের উপর
প্রতিষ্ঠানসমূহএম.ডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার
ক্যালফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে
ডক্টরাল উপদেষ্টাজি. ব্যারি কিটো

প্রাথমিক জীবন

তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট জেমস এলিসন ৭ আগস্ট ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আলবার্ট ও কন্সট্যান্স এলিসনের সন্তান। ৮ম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় তার গণিত শিক্ষককে দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন। তখনি সিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানের দুনিয়াতেই নিজের পেশা বাছাই করবেন।[9] ১৯৬৯ সালে এলিসন মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতক করেন। সেখানে তিনি ডেল্টা কাপ্পা এপসিলন সম্মেলনের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি জীববিজ্ঞানের উপর পিএইচডি করেন। তার পিএইচডি উপদেষ্টা ছিলেন জি. ব্যারি কিটো।

পেশা

১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার রিসার্চ পরীক্ষাগারের প্রধান এবং প্রতিষেধক বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৪ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক শহরের মেমরিয়াল স্লোন কেটারিনফ ক্যান্সার সেন্টারে চলে যায় এবং লুইডগ সেন্টার ফর ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপির পরিচালক ও ইমিউনোলজি প্রোগ্রামের প্রধান হন। তিনি ২০১২ সাল পর্যন্ত হওয়ার্ড হুফস মেডিক্যাল ইন্সটিউটের ইনভেস্টিগেটর ছিলেন এবং এরপর এম.ডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারে ২০১২ তেই যোগদান করেন। তিনি এম.ডি এন্ডারসনে প্রতিষেধক বিভাগের প্রধান হিসেবেই নিয়োগ পান।[10]

তিনি ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্সইন্সটিউট অব মেডিসিনের সদস্য এবং আমেরিকান একাডেমী অব মাইক্রোবায়োলজিআমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের ফেলো। তিনি ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিউট বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পর্ষদের পরিচালক। পুর্বে তিনি মার্কিন প্রতিষেধবিজ্ঞানীদের সংস্থার সভাপতি ছিলেন।

সম্মাননা

২০১১ সালে এলিসন জৈবপ্রযুক্তি এবং ঔষধী বিভাগ থেকে জ্যাকব হেসকেল গ্যাবে পুরস্কার [11] এবং আমেরিকান এসোসিয়েশন প্রতিষেধকবিজ্ঞানী লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান।[12] ২০১৩ সালে তিনি যুগ্নভাবে নোভার্টিস পুরস্কার পান। ২০১৪ সালে তিনি জৈবওষুধ বিভাগ থেকে তাসুকু হনজোর সাথে যুগ্নভাবে ট্যাং পুরস্কার পান। তিনি ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ থেকে ক্যান্সার গবেষণায় অবদানের জন্য নবম বার্ষিক সেন্ট গ্রিওরী পুরস্কার পান। ৩ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ব্রেকথ্রু প্রাইজ ইন লাইভ সায়েন্স পান, অর্জন করেন কানাডা গাইরডনার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার অর্জন করেন।[13] the Louisa Gross Horwitz Prize,[14] and the Harvey Prize [15] of the Technion Institute of Technology in Haifa. In 2015, he received the Lasker-DeBakey Clinical Medical Research Award.[3] For 2017 he received the Wolf Prize in Medicine [16] and the Balzan Prize for Immunological Approaches in Cancer Therapy (this prize jointly with Robert D. Schreiber).[17] In 2018 he received the King Faisal International Prize in Medicine[18], the Jessie Stevenson Kovalenko Medal and the Albany Medical Center Prize in Medicine and Biomedical Research.[19] He was awarded the Nobel Prize in Physiology or Medicine in 2018 jointly with Tasuku Honjo for their discovery of cancer therapy by inhibition of negative immune regulation.[20][21]

ব্যক্তিগত জীবন

এলিসন এমডি এন্ডারসনে তার সহকর্মী পদ্মমনি শর্মাকে বিবাহ করেন। এলিসনের মা এলিসন ১১ বছর বয়সে লিম্ফোমাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং তার ভাই ২০০৫ সালে প্রস্টেট ক্যান্সারে মারা যান। তিনি চেকপয়েন্ট নামক প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ ও টিউমার বিশেষজ্ঞ দ্বারা গঠিত ব্যান্ডে হারমোনিকা নামক একধরনের মাউথ অর্গান বাজান। তিনি চেকমেট নামক স্থানীয় ব্যান্ডেও এই বাদ্যযন্ত্রটি বাজান।[1]

তথ্যসূত্র

  1. Ackerman, Todd (৩০ ডিসেম্বর ২০১৫)। "For pioneering immunotherapy researcher, the work is far from over"। Houston Chronicle। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  2. "First Tang Prize for Biopharmaceutical Science Awarded to James P. Allison, PhD, and Tasuku Honjo, MD, PhD"www.tang-prize.org। ASCO Post। ১০ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  3. Foundation, Lasker। "Unleashing the immune system to combat cancer | The Lasker Foundation"The Lasker Foundation। Lasker Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  4. "James Allison wins 2018 Dr. Paul Janssen Award for Biomedical Research"। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  5. "James P. Allison – Facts – 2018"NobelPrize.org। Nobel Media AB। ১ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৮
  6. "James Allison"Cancer Research Institute। Cancer Research Institute। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  7. "2014 Tang Prize in Biopharmaceutical Science"। Archived from the original on ২০১৭-১০-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-১৮
  8. Devlin, Hannah (২০১৮-১০-০১)। "James P Allison and Tasuku Honjo win Nobel prize for medicine"the Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০১
  9. Cavallo, Jo (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Immunotherapy Research of James P. Allison, PhD, Has Led to a Paradigm Shift in the Treatment of Cancer - The ASCO Post"www.ascopost.com। ASCO Post। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  10. "James P. Allison, Ph.D. - Immunology - Faculty - MD Anderson Cancer Center"faculty.mdanderson.org। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  11. "Past winners"brandeis.edu। Brandeis University। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৮
  12. "Past Recipients"The American Association of Immunologists। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  13. Ackerman, Todd (৪ এপ্রিল ২০১৪)। "The scientist who just might cure cancer"। Houston Chronicle। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  14. "Louisa Gross Horwitz Prize 2014"। ৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৮
  15. "Harvey Prize 2014"। ২০১৫-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০১
  16. Jerusalempost Wolf Prizes 2017
  17. "Balzan Prize 2017"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৮
  18. "King Faisal International Prize 2018"। ১৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৮
  19. Albany Medical Center Prize 2018
  20. "Discovery of cancer therapy by inhibition of negative immune regulation" (পিডিএফ)। The Noble Assembly। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৮
  21. Hannah, Devlin। "James P Allison and Tasuku Honjo win Nobel prize for medicine"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৮

বহিঃসংযোগ



This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.