জেন ফন্ডা
জেন সিমোর ফন্ডা (ইংরেজি: Jane Seymour Fonda;[1] জন্ম: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৩৭)[2] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা, রাজনৈতিক কর্মী ও প্রাক্তন ফ্যাশন মডেল ও শরীরচর্চা গুরু। তিনি দুইবার একাডেমি পুরস্কার ও দুইবার বাফটা পুরস্কার বিজয়ী। ২০১৪ সালে তিনি আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে এএফআই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।
জেন ফন্ডা | |
---|---|
Jane Fonda | |
জন্ম | জেন সিমোর ফন্ডা ২১ ডিসেম্বর ১৯৩৭ |
নাগরিকত্ব | মার্কিন |
পেশা | অভিনেত্রী, লেখক, সমাজকর্মী |
কর্মজীবন | ১৯৬০–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সঙ্গী | রিচার্ড পেরি (২০০৯–২০১৭) |
সন্তান | ৩: ট্রয় গ্যারিটি ম্যারি লুয়ানা উইলিয়ামস (দত্তক) |
পিতা-মাতা | হেনরি ফন্ডা ফ্রান্সেস ফোর্ড সিমোর |
আত্মীয় | পিটার ফন্ডা (ভাই) ব্রিজেট ফন্ডা (ভাইজি) |
ব্রডওয়ে থিয়েটারের ১৯৬০ সালে মঞ্চনাটক দেয়ার ওয়াজ আ লিটল গার্ল দিয়ে ফন্ডার অভিনয়ে অভিষেক হয়। এই নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি তার প্রথম দুটি টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। একই বছর টল স্টোরি দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি ১৯৬০ এর দশকে পিরিয়ড অব অ্যাডজাস্টমেন্ট (১৯৬২), ওয়াক অব দ্য ওয়াইল্ড সাইড (১৯৬২), সানডে ইন নিউ ইয়র্ক (১৯৬৩), ক্যাট বালৌ (১৯৬৫), বেয়ারফুট ইন দ্য পার্ক (১৯৬৭) এবং বার্বারেলা (১৯৬৮) চলচ্চিত্র দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। বার্বারেলা চলচ্চিত্রের পরিচালক রজার ভাদিম ছিলেন তার প্রথম স্বামী। ১৯৬৯ সালে দে শুট হর্সেস, ডোন্ট দে? চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের মত একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি আরও ছয়টি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, যার মধ্যে ক্লুট (১৯৭১) ও কামিং হোম (১৯৭৮) চলচ্চিত্রের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার অভিনীত একাডেমি পুরস্কারের মনোনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ হল জুলিয়া (১৯৭৭), দ্য চায়না সিনড্রোম (১৯৭৯), অন গোল্ডেন পন্ড (১৯৮১), এবং দ্য মর্নিং আফটার (১৯৮৬)। এছাড়া তিনি ১৯৮৪ সালে দ্য ডলমেকার টেলিভিশন চলচ্চিত্রের জন্য একটি এমি পুরস্কার, জুলিয়া ও দ্য চায়না সিনড্রোম চলচ্চিত্রের জন্য দুইবার বাফটা পুরস্কার এবং চারবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
জেন সিমোর ফন্ডা ১৯৩৭ সালের ২১শে ডিসেম্বর নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।[2] তার পিতা হেনরি ফন্ডা (১৯০৫-১৯৮২) ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও অভিনেতা এবং মাতা ফ্রান্সেস ফোর্ড সিমোর (১৯০৮-১৯৫০) ছিলেন একজন কানাডীয়-বংশোদ্ভূত সমাজকর্মী। তার পিতার মতে, তাদের উপনাম ফন্ডা এসেছে তাদের ১৫০০ এর দশকে ইতালীয় পূর্বসূরিদের নাম থেকে, যারা নেদারল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।[3] সেখানে তারা অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৬৫০ সালে নিউ ইয়র্কে আসা জেনের প্রথম ফন্ডা পূর্বসূরির নামানুসারে পরিবারটি ওলন্দাজ উপনাম ব্যবহার শুরু করেন।[lower-alpha 1][6][7] এছাড়া তার পূর্বসূরিদের মধ্যে ইংরেজ, স্কটিশ, ও ফরাসি রয়েছেন। জেনের নাম রাখা হয় অষ্টম হেনরির স্ত্রী জেন সিমোরের নামানুসারে, যার সাথে তার মায়ের দিক থেকে সম্পর্ক রয়েছে।[8] তার ছোট ভাই পিটার ফন্ডা একজন অভিনেতা, এবং তার বৈমাত্রেয় বোন ফ্রান্সেস ডি ভিলার্স ব্রোকৌ। ব্রোকৌর কন্যা পিলার কোরিয়াস লন্ডনের পিলার কোরিয়াস চিত্রশালার মালিক।[9]
১৯৫০ সালে ফন্ডার যখন বারো বছর বয়স তখন তার মা নিউ ইয়র্কের বিকনে ক্রেইগ হাউজ মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আত্মহত্যা করেন।[10][11] পরের বছর তার পিতা সুজান ব্ল্যানচার্ডকে বিয়ে করেন। সুজান তখন জেনের থেকে মাত্র নয় বছরের বড় ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে জেন নিউ ইয়র্কের ফায়ার আইল্যান্ড পাইনসে নৃত্য শিখেন।[12] তিনি কানেক্টিকাটের গ্রিনউইচ একাডেমিতে পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে তিনি নিউ ইয়র্কের ট্রয়ের এমা উইলার্ড স্কুল ও পাউকিপসির ভাসার কলেজে পড়াশুনা করেন।[13] অভিনয় জীবন শুরুর পূর্বে তিনি মডেল ছিলেন এবং তাকে দুইবার ভোগ সাময়িকীর প্রচ্ছদে দেখা গিয়েছিল।[14]
গ্রেফতার
১১ অক্টোবর ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। জেন ফন্ডা বিক্ষোভে অংশ নেয়ার সময় উজ্জ্বল লাল রঙের ওভারকোট পরিহিত ছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।[15] এ অবস্থায় পুলিশ তার দ দু‘হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে বিক্ষোভকারী দল থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। [16]
পাদটীকা
- The Fonda immigrant ancestor came from Eagum (also spelled Augum or Agum), a village in Friesland, a northern province of the Netherlands. Jellis Douwe Fonda (1614–1659), a Dutch immigrant from Friesland, immigrated and first went to Beverwyck (now Albany) in 1650; he was the founder of the City of Fonda, New York.[4][5]
তথ্যসূত্র
- Davidson, Bill (১৯৯০)। Jane Fonda: An Intimate Biography (ইংরেজি ভাষায়)। Dutton। পৃষ্ঠা 39। আইএসবিএন 9780525248880।
Jane was christened Jane Seymour Fonda and, as a child, was known as Lady Jane by her mother and everyone else.
- "Jane Fonda Biography: Actress (1937–)" (ইংরেজি ভাষায়)। Biography.com (FYI / A&E Networks)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- Fonda, Henry (১৯৮১)। My Life (ইংরেজি ভাষায়)। New York: Dutton।
- "Descendants of Jellis Douw Fonda (1614–1659)" (ইংরেজি ভাষায়)। fonda.org।
- "Ancestry of Peter Fonda" (ইংরেজি ভাষায়)। genealogy.com। মার্চ ১৫, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Kiernan, Thomas (১৯৭৩)। 'Jane: An Intimate Biography of Jane Fonda। Putnam। পৃষ্ঠা 12।
- Andersen, Christopher P. (১৯৯১)। Citizen Jane: The Turbulent Life of Jane Fonda (ইংরেজি ভাষায়)। Dell। পৃষ্ঠা 14।
- Fonda, 2005, p. 41.
- Craven, Jo (১২ অক্টোবর ২০০৮)। "Pilar Corrias: a new gallery for a new era"। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। London। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "The Craig House Institute / Tioranda, Beacon" (ইংরেজি ভাষায়)। Roadtrippers। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- Fonda, 2005, pp. 16–17.
- "SAGE Nets $35K at Annual Pines Fête" (ইংরেজি ভাষায়)। Fire Island News। ২৫ জুন ২০০৮। ডিসেম্বর ৫, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- Sonneborn, Liz (২০০২)। A to Z of American women in the performing arts (ইংরেজি ভাষায়)। New York: Facts on File। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 0-8160-4398-1।
- Browne, Pat; Browne, Ray Broadus (২০০১)। The guide to United States popular culture (ইংরেজি ভাষায়)। Bowling Green, OH: Bowling Green State University Popular Press। পৃষ্ঠা 288। আইএসবিএন 0-87972-821-3।
- "US actress Jane Fonda arrested at climate protest" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৪।
- "অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেন ফন্ডা আটক"। jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৪।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জেন ফন্ডা (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে জেন ফন্ডা (ইংরেজি)