জিয়ানগর ইউনিয়ন

জিয়ানগর ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ভৌগোলিক পরিচিতি কোড (জিও কোড) হল ৫০.১০.৩৩.৮১।[2]

জিয়ানগর
ইউনিয়ন
ডাকনাম: জিয়ানগর ইউপি
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাবগুড়া জেলা
উপজেলাদুপচাঁচিয়া উপজেলা 
আসনবগুড়া-৩
আয়তন[1]
  মোট২২.১১ বর্গকিমি (৮.৫৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারী অনুসারে)[1]
  মোট২০,৫১৮
  জনঘনত্ব৯৩০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৪৭.১%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস

আনুমানিক ১০৫০ সালের দিকে এখানে ছোট একটা বসতি গড়ে ওঠে, তারপরে পালা বদল হতে হতে ১৭৮০ শতকের দিকে যাতায়াত সেবার জন্য রাস্তা কাটা হয় দুপচাচিঁয়া-আক্কেলপুর পর্যন্ত, স্থানীয় জমিদাররা খাজনা আদায়ের জন্য এখানে একটা দেওঘর স্থাপন করেন, ইংরেজদের অবসানের পর মোটামুটিভাবে পাকিস্তান আমলে এখান থেকেই ৩৩ টি গ্রামের রিলিফ বিতরণ খাজনা আদায় করা হত।

নামকরণঃ জনশ্রুতি মতে শহিদ পীর জিয়াউদ্দিন আহসানের মাজার বাজার সংলগ্ন মিঞাপাড়া গ্রামে অবস্থিত আর তাহার নাম অনুসারে বাজারের নামকরণ করা হয় জিয়ানগর বাজার।

ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন

দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর হতে পশ্চিম দিকে অবস্থিত এ ইউনিয়নের মোট আয়তন ৫৪৬৩ একর বা ২২.১১ বর্গকিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকা

জিয়ানগর ইউনিয়ন মৌজা/গ্রাম নিয়ে গঠিত। মৌজা সমুহ ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত। গ্রামসমূহ হল —

জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জিয়ানগর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ২০৫১৮ জন[1], যার মধ্যে পুরুষ হল ১০০০৮ জন এবং নারী হল ১০৫১০ জন।

শিক্ষা ও সংস্কৃতি

জিয়ানগর ইউনিয়নের গড় সাক্ষরতা হার ৪৭.১%। তার মধ্যে নারী শিক্ষার হার ৪৩.০% এবং পুরুষ শিক্ষার হার ৫১.৪%। এখানকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেঃ

  1. জিয়ানগর উচ্চ বিদ্যালয়,
  2. জিয়ানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
  3. জিয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  4. মর্তুজাপুর কলেজ,
  5. মর্তুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় এছাড়াও একটি দাখিল মাদ্রাসা এবং একটি আলিম মাদ্রাসা রয়েছে যথাক্রমে মিঞাপাড়া এবং মাধায়মুরি তে, জিঃসঃপ্রাঃ সহ মোট দশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

অর্থনীতি

জিয়ানগর ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এছারও বাজারকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষিপ্রধান এলাকা হিসাবে ব্যবসা গুলো সাধারনত কৃষি কেন্দ্রিক, ধানের আরদ, কীটনাশক, সার, আলু, নেট বাণিজ্য এখান কার প্রধান, এখানে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৭-৮ গুণ ধান এবং ৪০-৭০ গুণ আলু উৎপাদিত হয়!

যোগাযোগ

জেলার শেষপ্রন্তে অবস্থান হবার কারণে, জেলা শহরে যাওয়ার জন্য ৩২ কি.মি পথ পারি দিতে হয় এই এলাকার মানুষদের, কিন্তু খুব একটা ভোগান্তির শিকার হতে হয়না, কারণ আক্কেলপুর - দুপচাচিঁয়া - বগুড়া রুটে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে বাস আসা জাওয়া করে, তাছারাও উপজেলা শহরে যাতায়াতের জন্য CNG চালিত রিক্সা সেবা দিয়ে থাকে। রাজধানী তে যাতায়াতের জন্য শাহ-ফতে -আলী,বাস সকাল ১০ এবং রাত ১০ টার সময় জিয়ানগরে ১০ মিনিট টপিক দেয়।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ২: ইউনিয়ন পরিসংখ্যান। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  2. "Rajshahi Division" (পিডিএফ)www.bbs.portal.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.