জিন পুল
জিন পুল হলো যে কোনো জীবসমাজের সুনির্দিষ্টভাবে কোনো প্রজাতির জিন বৈচিত্রের যোগফল বা কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতির কোনো নির্দিষ্ট জীবসমষ্টিতে মোট জিনগত সংকেত। অর্থাৎ জীন পুল হলো সুনির্দিষ্ট প্রজাতির সবরকম জিনের মিলিত ভাণ্ডার।[1]
বর্ণনা
একটি বড় জীবগোষ্ঠী মানে একটি বিশাল জিন পুল; যার অর্থ সেই জীবগোষ্ঠীতে থাকবে জিনগত বৈচিত্র ও বিশাল জিনগত পার্থক্য। ফলে সেই জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক নির্বাচনের উপর্যোপরি ধাক্কা সামলাতে পারে। কিন্তু যেখানে অন্তঃপ্রজনন ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কারণে জিন বৈচিত্র অনুপস্থিত, সেই প্রজাতিতে টিকে থাকার সামর্থ্য কমে যেতে পারে, এমনকি সেই প্রজাতি বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে। জিন প্রবাহের ফলে যে জিন বৈচিত্র ও বাড়তি সুবিধা সৃষ্টি হতে পারত, ক্ষুদ্র জীবসংখ্যার কারণে তা অকার্যকর হয়।
যখন কোনো জীবগোষ্ঠীর সব সদস্যের বাহ্যিক দেহকাঠামোর কোনো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য একরকম হয়, তখন তাকে সমরুমী বা 'মনোমর্ফিক' জীবসমষ্টী বলে। আবার যখন দেহকাঠামোর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রকমের হয়, তখন তাকে বহুরুপী বা পলিমর্ফিক জীব সমষ্টি বলে। জিন পুল হলো সেই মৌলিক ধাপ, যেখানে বিবর্তনীয় পরিবর্তন গুলো ঘটে।[1]
ইতিহাস
রাশিয়ান জিন প্রকৌশলী আলেক্সান্দার সেগ্রিভিচ সেরেব্রোভিস্কি ১৯২০ সালে প্রথম জিনফোন্ড (জিন তহবিল) নামে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে থিওডোসিয়াস ডবঝানস্কি এই শব্দ ইংরেজিতে জিন পুল নামে উল্লেখ করেন।[2]
আরো দেখুন
- Biodiversity
- Conservation biology
- Founder effect
- Gene flow
- Genetic drift
- Small population size
- Australian Grains Genebank