জিনাত আমান

জিনাত আমান (জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৯৫১) বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ভারতের বিশিষ্ট পেশাদার সুপারমডেল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৭০ সালে মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন। এক্ই বছরে মিস এশিয়া প্যাসিফিকে অংশ নিয়ে শিরোপা জয় করেন। এরফলে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী হিসেবে এ শিরোপা জয় করেছেন। বলিউডে পারভীন ববি'র সাথে পশ্চিমা ঢংয়ে নিজস্ব ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন ও সমগ্র কর্মজীবনে যৌনতার প্রতীকে পরিণত হন।[1][2][3]

জিনাত আমান
জিনাত আমান IIJW ২০১১ সালে সাওয়ান্সুখা জুয়েলার্সের অনুষ্ঠানে
জন্ম (1951-11-19) ১৯ নভেম্বর ১৯৫১
মাতৃশিক্ষায়তনইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া,
লস অ্যাঞ্জেলেস
পেশাঅভিনেত্রী, মডেল
কর্মজীবন১৯৭১১৯৮৯, ২০০৩বর্তমান
উচ্চতা১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি)
উপাধি১৯৭০ ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া এশিয়া প্যাসিফিক
১৯৭০ মিস এশিয়া প্যাসিফিক
দাম্পত্য সঙ্গীমাজহার খান (১৯৮৫১৯৯৮, মৃত্যুবরণ)
সন্তানজাহান খান
আজান খান
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় শিরোপাধারী
প্রধান
প্রতিযোগিতা
১৯৭০ ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া
(১৯৭০ ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া এশিয়া প্যাসিফিক)
(মিস ফটোজেনিক)
১৯৭৩ মিস এশিয়া প্যাসিফিক
(বিজয়ী)
(মিস ফটোজেনিক)

প্রারম্ভিক জীবন

১৯৫১ সালে মুসলিম বাবা আমানুল্লাহ খান ও হিন্দু মাতা সিন্ধার গর্ভে জিনাত আমানের জন্ম হয়। মুগল-ই-আজম, পাকিজা’র ন্যায় চলচ্চিত্রে তার বাবা পাণ্ডুলিপি লেখক ছিলেন। জিনাতের বয়স ১৩ বছর থাকাকালীন বাবা মৃত্যুবরণ করেন। ফলে তার মা পুনরায় জার্মান নাগরিক হেইঞ্জের সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেখানে তার মা হেইঞ্জের চলচ্চিত্রবিষয়ক সাময়িকীতে মিসেস হেইঞ্জ নামে পরিচিতি পান। জিনাতের মা জার্মান নাগরিকত্ব পেলেও দাম্পত্যজীবনে অসুখী ছিলেন। ফলে জিনাতের ১৮ বছর বয়সে ভারতে ফিরে আসেন। রাজা মুরাদ তার চাচাতো ভাই ও মুরাদ সম্পর্কে তার নাতি হয়।

মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে স্নাতক ডিগ্রী লাভ শেষে আরও পড়াশোনার জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ভারতে ফিরে এসে ফেমিনায় সাংবাদিকতার চাকরি নেন। পরবর্তীতে মডেলিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হন। মিস ইন্ডিয়ায় দ্বিতীয় রানার আপ মনোনীত হয়ে ১৯৭০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিক প্রতিযোগিতায় শিরোপা লাভ করেন।

কর্মজীবন

লস অ্যাঞ্জেলেসে অধ্যয়নকালীন মিস এশিয়া প্যাজিয়েন্ট জয় করেন ও মডেলিংয়ে সাফল্য লাভ করার প্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালে ও. পি. রালহানের হালচাল চলচ্চিত্রে ছোট্ট ভূমিকায় অংশগ্রহণ করেন। হাঙ্গামা চলচ্চিত্রে দ্বিতীয় সারির ভূমিকায় নামেন যাতে কিশোর কুমার কণ্ঠ দিয়েছিলেন। দু’টি চলচ্চিত্রই ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়। ফলে তিনি ভারত ছেড়ে মায়ের সাথে জার্মানি চলে যান।

তথ্যসূত্র

  1. Gulzar; Nihalani, Govind; Chatterji, Saibal (২০০৩)। Encyclopaedia of Hindi Cinema। Popular Prakashan। পৃষ্ঠা 108। আইএসবিএন 81-7991-066-0।
  2. Raheja, Dinesh (১২ নভেম্বর ২০০২)। "The A to Z of Zeenat Aman"Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১৪
  3. "DesiClub's Bollywood Top 25: The Women"। desiclub.com। ২০১০-০৪-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২৭

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

পুরস্কার ও স্বীকৃতি
পূর্বসূরী
সিও ওন-কিয়ং
মিস এশিয়া প্যাসিফিক ১৯৭০
১৯৭০
উত্তরসূরী
ফ্লোরা বাজা
পূর্বসূরী
তাসনিম ফকির মোহাম্মদ
ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া
১৯৭০
উত্তরসূরী
ঊর্মিলা সানান্দন
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.