জিওফ লসন

জিওফ্রে ফ্রান্সিস লসন, ওএএম (ইংরেজি: Geoff Lawson; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৯৫৭) নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াগা ওয়াগা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ।[1] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

জিওফ লসন
২০১৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জিওফ লসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজিওফ্রে ফ্রান্সিস লসন
জন্ম (1957-12-07) ৭ ডিসেম্বর ১৯৫৭
ওয়াগা ওয়াগা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামহেনরি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩০৯)
২৮ নভেম্বর ১৯৮০ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট৮ ডিসেম্বর ১৯৮৯ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬৩)
২৩ নভেম্বর ১৯৮০ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৭ অক্টোবর ১৯৮৯ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৮১৯৯২নিউ সাউথ ওয়েলস
১৯৭৯ল্যাঙ্কাশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৪৬ ৭৯
রানের সংখ্যা ৮৯৪ ৩৭৮
ব্যাটিং গড় ১৫.৯৬ ১১.১১
১০০/৫০ -/৪ -/-
সর্বোচ্চ রান ৭৪ ৩৩*
বল করেছে ১১১১৮ ৪২৫৯
উইকেট ১৮০ ৮৮
বোলিং গড় ৩০.৫৬ ২৯.৪৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১১ -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৮/১১২ ৪/২৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১০/- ১৮/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অস্ট্রেলীয় কবি হেনরি'র নাম অনুসরণে 'হেনরি' ডাকনামে পরিচিত জিওফ লসন মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।[2]

খেলোয়াড়ী জীবন

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে অংশ নেন।

লসন তিনবার ইংল্যান্ড সফর করেন। তন্মধ্যে ১৯৮৯ সালে অ্যাশেজ সিরিজ বিজয়ী অস্ট্রেলীয় দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে কয়েক মৌসুমে লসন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ফাস্ট বোলার ছিলেন। কিন্তু, আঘাতের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটে।

কোচিং

ক্রিকেট থেকে অবসর নেবার পর কোচ, ধারাভাষ্যকার ও ক্রীড়া লেখকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলস দলকে কোচিং করান। ১৬ জুলাই, ২০০৭ তারিখে দুই বছর মেয়াদে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ মনোনীত হন। তৃতীয় বিদেশী হিসেবে তিনি এ দায়িত্ব পান।[3]

২০ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ইজাজ বাট জানান যে, এপ্রিল, ২০০৯ সালে লসনের মেয়াদ পূর্তির পর নবায়ণের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেন। তিনি মন্তব্য করেন যে, লসনের কোন উপযোগিতা আমাদের কাছে নেই।[4] এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।[5] লাহোরে অবস্থানকালে একজন অস্ট্রেলীয় হিসেবে বেশ আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন বলে লসন জানান।[6]

অর্জনসমূহ

এবিসি রেডিও, চ্যানেল নাইন ও ফক্সস্পোর্টস ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও সিডনি মর্নিং হেরাল্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে অংশ নেন।

১৯৯০ সালে ক্রিকেটে অনবদ্য সেবা প্রদান করায় লসনকে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া ও ২০০২ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রীড়া পদক প্রদান করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর, ২০০২ তারিখে মার্ক টেলর, জন ডাইসন, ফিল এমরি, মাইক হুইটনি ও জিওফ লসনকে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ আজীবন সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.