জিওফ রাবোন
জিওফ্রে অসবর্ন জিওফ রাবোন (ইংরেজি: Geoff Rabone; জন্ম: ৬ নভেম্বর, ১৯২১ - মৃত্যু: ১৯ জানুয়ারি, ২০০৬) সাউথল্যান্ডের গোড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৫ সময়কালে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে ১২টি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। তন্মধ্যে ৫টি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জিওফ্রে অসবর্ন রাবোন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | গোড়, সাউথল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | ৬ নভেম্বর ১৯২১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৯ জানুয়ারি ২০০৬ ৮৪) অকল্যান্ড | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ-ব্রেক, লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৮) | ১১ জুন ১৯৪৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫ মার্চ ১৯৫৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড[1] ও ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে অফ-ব্রেক কিংবা লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন জিওফ রাবোন।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৪০-৪১ থেকে ১৯৫০-৫১ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ল্যাঙ্কাস্টার বোম্বার পাইলটের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বযুদ্ধের পর মাত্র ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন।
নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ৩৪০ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে অপরাজিত ১২০* রান তুলেন। সমগ্র সফরে ৩২.৯৩ গড়ে ১০২১ রান সংগ্রহ করেন। তবে ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় তার বোলিং যুৎসই ছিল না। ৩৫.৭০ গড়ে ৫০ উইকেট পান। টেস্টে মাত্র চার উইকেট পেয়েছেন।
টেস্ট ক্রিকেট
১১ জুন, ১৯৪৯ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে জিওফ রাবোনের। ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। মার্টিন ডনেলি ও বার্ট সাটক্লিফের পর রাবোনের সাধারণমানের ব্যাটিং ব্যাটিং অর্ডারের মাঝামাঝি অবস্থানকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন। গ্রীষ্মের চার টেস্টের সবকটিতেই অংশ নেন। সর্বমোট ১৪৮ রান করেন ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ৩৯।
পরবর্তী টেস্ট সিরিজ সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। এ পর্যায়েও তিনি মূলতঃ রক্ষণধর্মী ব্যাটসম্যানের ভূমিকা অব্যাহত রাখেন। ১৭৮ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে মাত্র ৩৭ রান তুলেন। এরপর মাঝারী সারিতে ব্যাটিং করে ৮৩ মিনিট অপচয় করে মাত্র নয় রান তোলেন তিনি। পরের বছর ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এবারো তিনি ২১৫ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে মাত্র ২৯ রান তুলেছিলেন।
অধিনায়কত্ব লাভ
১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে ইংল্যান্ড বাদে প্রথমবারের মতো টেস্টভুক্ত দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় নিউজিল্যান্ড দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় দলটি পাঁচ-টেস্টের সিরিজে অংশ নেয়। রাবোন দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। টেস্ট সিরিজে তার দল ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত হলেও ব্যক্তিগতভাবে বেশ সফল হন। প্রথম টেস্টে দলের ২৩০ রানের মধ্যে ছয় ঘণ্টার অধিক সময় নিয়ে ১০৭ রান তোলেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রানের মধ্যে তিনি ৬৮ রান সংগ্রহ করেন। দলের দুই ইনিংসের ব্যাপ্তি ছিল ৬৭৫ মিনিট। এতে তার অংশগ্রহণ ছিল ৫৮৫ মিনিট। খেলায় নিউজিল্যান্ড দল ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়বরণ করে। দ্বিতীয় টেস্টে কম সফল হন তিনি। ১৩২ রানে হেরে যায় তার দল।
তবে ড্র হওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ড তাদের তৎকালীন সর্বোচ্চ রান ৫০৫ তোলে। এর ফলে দলটি প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ফলো-অন এড়াতে সক্ষমতা দেখায়। ৫৬ রান তোলার পর ৬/৬৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ৩২৬ রানে অল-আউট হয়। প্রাদেশিক দলের বিপক্ষে খেলায় পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে শেষ দুই টেস্টে অংশ নিতে পারেননি জিওফ রাবোন।
পরের বছর ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ইংরেজ দল নিউজিল্যান্ড সফরে আসে। এ সিরিজেও দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ছিলেন জিওফ রাবোন। দুই টেস্টের ঐ সিরিজে দলের ফলাফল বেশ দূর্বলতর ছিল। তার অধিনায়কত্বের মান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঢেউ ওঠে। তবে রাবোনের ক্রীড়াশৈলীতে কোন প্রভাব পড়েনি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাটক্লিফ বাদে কেবলমাত্র তিনিই দুই অঙ্কের রান তুলতে পেরেছিলেন। তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে ১৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
দ্বিতীয় খেলায় নিউজিল্যান্ড তাদের ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ২৬ রানের রেকর্ডসংখ্যক ইনিংস তোলে। এবারো তিনি দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়াসহ সর্বাধিক সময় ক্রিজে অবস্থান করেন ও ৫৩ মিনিটে ৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। তবে উভয় খেলাতেই তার দল বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়।
অবসর
ঐ সিরিজের মাধ্যমেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান। এরপর অবশ্য কয়েক মৌসুম অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল জিওফ রাবোনের। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
১৯৫৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নামাঙ্কিত হন।
মৃত্যু
২০০৬-এর ১৯ জানুয়ারি ৮৪ বৎসর বয়সে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে জিওফ রাবোনের দেহাবসান ঘটে।[2]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জিওফ রাবোন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জিওফ রাবোন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মার্ভ ওয়ালেস |
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ১৯৫৩/৫৪ - ১৯৫৪/৫৫ |
উত্তরসূরী হ্যারি কেভ |