জিএসপি

জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্সেস, অথবা জিএসপি (ইংরেজি: Generalized System of Preferences, GSP) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিওটিও) এর সাধারণ নিয়ম থেকে ছাড় দেয়ার একটি প্রথাগত পদ্ধতি, (পূর্বে যা জেনারেল এগ্রিমেন্ট অফ ট্যারিফ এন্ড ট্রেড বা গ্যাট নামে পরিচিত ছিল)। বিশেষ করে, এটি সর্বোচ্চ বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত নীতি (মোস্ট ফেবারড নেশন - এমএফএন) থেকে ছাড় দেয়ার একটি আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি যেখানে এমএফএন কোনো ডব্লিওটিও সদস্যরাষ্ট্রকে অন্যসকল ডব্লিওটিও সদস্যরাষ্ট্র হতে আসা আমদানীকে সমানভাবে গণ্য করতে বাধ্য করে। প্রকৃতপক্ষে, এমএফএন অনুযায়ী সমান শুল্ক আরোপের মাধ্যমে অন্য সকল ডব্লিওটিও সদস্য রাষ্ট্র হতে আসা আমদানীর সাথে সমানভাবে আচরণে বাধ্য করে।

এছাড়াও জিএসপি ধনী রাষ্ট্রগুলোর শুল্ক না কমিয়ে, অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোর জন্য শুল্ক কমাতে এমএফএন এ ডব্লিওটিও সদস্য রাষ্ট্রকে ছাড় দিয়ে থাকে।

প্রতিক্রিয়া

আপাতদৃষ্টিকোণে মনে করা হয় যে, উন্নয়নশীল দেশগুলো দলবদ্ধভাবে জিএসপি পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসার ফলে মিশ্রভাবে সুবিধাভোগ করতে পেরেছে। অন্যদিকে অধিকাংশ ধনী দেশগুলো ওইসিডি বহির্ভূত সদস্য দেশে এ পরিকল্পনার আওতায় সুবিধা দেয়ায় বিরুদ্ধাচরণ করছে। সাধারণতঃ প্রত্যেক জিএসপি পরিকল্পনায় বেশকিছু বিধি-নিষেধ ব্যক্ত করা হয়। তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশকিছু দেশকে কৌশলগত কারণে এ সুবিধার বাইরে রেখেছে। তন্মধ্যে, ভিয়েতনামে সমাজতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান, লিবিয়াকে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা করার অভিযোগ এবং মার্কিন বুদ্ধিবৃত্তিক আইন বাস্তবায়নে সহযোগিতা না করা অন্যতম।[1]

তথ্যসূত্র

  1. ""2006 Wikileaks leaked cable from US Ambassador Sobel in Brasilia to WHA Assistant Secretary Shannon"."। ১৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.