জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অথবা এনসিটিবি বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্যে গঠিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সব সরকারি বিদ্যালয় এনসিটিবির আওতাধীন। নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও এনসিটিবি-এর পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে।[2]

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
সংক্ষেপেএনসিটিবি
প্রতিষ্ঠাতাবাংলাদেশ সরকার
ধরনসরকারি প্রতিষ্ঠান
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
অবস্থান
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা, ইংরেজি
চেয়ারম্যান
প্রফেসর মোঃ ফরহাদুল ইসলাম[1]
প্রধান অঙ্গ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
ওয়েবসাইটnctb.gov.bd
প্রাক্তন নাম
পূর্ব পাকিস্তান স্কুল পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (১৯৫৪)
জাতীয় পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নতুন বিজ্ঞান ও গণিত বই

ইতিহাস ও গঠন

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ‘পূর্ববঙ্গ স্কুল টেক্সটবুক কমিটি’ গঠন করা হয়, যার কাজ ছিল প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের অনুমোদন প্রদান করা। ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে ‘টেক্সটবুক আইন’ পাশের মাধ্যমে ‘স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত বোর্ড গঠিত হয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণির  শিক্ষার্থীদের সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত ও বিতরণ ছিল এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। পরবর্তীতে ১৯৫৬, ১৯৬১ এবং ১৯৬৩ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্নভাবে পুনর্গঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত “বাংলাদেশ স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড” কর্তৃক ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির সকল বিষয়ের সকল পাঠ্যপুস্তক নবজাত রাষ্ট্রের প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, পরিমার্জন ও পুনর্লিখন কাজ করে। ১৯৭৮–৭৯ সালে টেক্সটবুক বোর্ড নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ মাধ্যমে ‘স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড’ ও ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কেন্দ্র’কে একীভূতকরণের মাধ্যমে বর্তমান ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে “জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অধ্যাদেশ, ১৯৮৩” রহিত করে জাতীয় সংসদে “জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮” বিলটি পাশ হয়।

কার্যক্রম

  • বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার;
  • শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি এবং পাঠ্যপুস্তকের কার্যকারিতা যাচাই এবং মূল্যায়ন;
  • পাঠ্যপুস্তকের পান্ডুলিপি প্রণয়ন;
  • প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত ও প্রকাশ;
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন;
  • ডিজিটাল ও মিথস্ক্রিয় পুস্তক প্রণয়ন ও অনুমোদন;
  • পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণ, প্রকাশনা, বিতরণ এবং বিপণন;
  • সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রেণি ও স্তরসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ;
  • পাঠ্যপুস্তক, সহায়ক শিখন শেখানো সামগ্রী, পুরস্কার পুস্তক ও রেফারেন্স পুস্তক অনুমাদন।

শিক্ষাক্রম

  • প্রাক প্রাথমিক[3]
  • প্রাথমিক[4]
  • মাধ্যমিক[5]
  • উচ্চ মাধ্যমিক[6]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২০
  2. |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  3. "প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষাক্রম, এনসিটিবি"nctb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২০
  4. "প্রাথমিকের শিক্ষাক্রম, এনসিটিবি"nctb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২০
  5. "মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম, এনসিটিবি"nctb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২০
  6. "উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম, এনসিটিবি"nctb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.