বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার (পূর্বনাম রাষ্ট্রপতি কৃষি উন্নয়ন পদক) বাংলাদেশের একটি পুরস্কার। কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৭৩ সাল থেকে প্রদান করা শুরু হয়।[1]

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার
রাষ্ট্রপতি কৃষি উন্নয়ন পদকের ছবি
বিবরণকৃষি উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ
অবস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
দেশ বাংলাদেশ
পুরস্কারদাতাবাংলাদেশ সরকার
প্রথম পুরস্কৃত১৯৭৩

ইতিহাস

কৃষি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কৃষি খাতে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন, কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালনে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।[2][3]

  • ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৯/১৯৭৩ এর মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল” গঠন করা হয়
  • ১৯৭৬ সালে উক্ত আদেশ বাতিল করে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার তহবিল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ প্রবর্তন করা হয়
  • বিভিন্ন পর্যায়ে এই পুরস্কারের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন এর পর ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে ২০০৯ সনের ৩৯ নং আইন দ্বারা “জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” সংশোধন করে “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” করা হয় ।
  • ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬” পাশ হয়
  • আইন অনুযায়ী প্রতি বছর এ পুরস্কার দেয়ার বিধান থাকলেও বাংলা ১৩৮৩ (ইংরেজি ১৯৭৬-১৯৭৭) হতে কৃষি পুরস্কার প্রদান করা হয়

পুরস্কার

প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তদের পদক ও সনদের পাশাপাশি, স্বর্ণ পদকপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা, রৌপ্য পদকপ্রাপ্তদের ১৫ হাজার ও ব্রোঞ্জ পদকপ্রাপ্তদের সাড়ে ৭ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

বাছাই প্রক্রিয়া

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বোর্ড অফ ট্রাস্টের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয় “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার” প্রদান করে থাকে। পুরস্কারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মনোনয়ন প্রদানকারী যোগ্য সংস্থা ও ব্যক্তিগণ নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা উপজেলা মনোনয়ন কমিটির নিকট যাচাই বাছাইয়ের জন্য প্রেরণ করে। এরপর নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক যাচাই বাছাই করে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা জেলা মনোনয়ন কমিটির নিকট প্রেরণ করা হয়। এছাড়া সরাসরি মনোনয়ন পাওয়া পুরস্কার প্রার্থীদের নামের তালিকা একই সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জেলা মনোনয়ন কমিটির যাচাই-বাছাই শেষ হলে পুরস্কার প্রার্থীদের নামের তালিকা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিকট চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বোর্ড অফ ট্রাস্টের সম্মিলিত যাচাই-বাচাইয়ের পর “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার” বিজয়ী ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নাম ও পুরস্কার প্রদানের তারিখ, সময়, স্থান সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়।[4]

ক্ষেত্র

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করা হয় ১০ টি বিষয়েঃ[2][3]

  1. কৃষি গবেষণা অবদান
  2. কৃষি সম্প্রসারণে অবদান
  3. প্রাতিষ্ঠানিক/ সমবায়/ কৃষক পর্যায়ে উচ্চ মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারি স্থাপন।
  4. কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজ
  5. পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার
  6. কৃষিতে মহিলাদের অবদান
  7. বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার স্থাপন
  8. বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনায়ন
  9. বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগী চাষ
  10. বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষ

তথ্যসূত্র

  1. "জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলি (১৫/০৫/২০১৭)" (পিডিএফ)বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৯
  2. "বাংলাদেশের সকল জাতীয় পুরস্কার সম্পর্কে"ইচ্ছে
  3. "বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার"কৃষি মন্ত্রণালয়
  4. "বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারের মনোনয়ন প্রক্রিয়া"nhd.gov.bd। জুন ৪, ২০১৭। ২৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.