জাওরা রাজ্য
জাওরা রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ মধ্য ভারত এজেন্সির মালব এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে এটি একটি তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত রাজ্য ছিল।[1]
জাওরা রাজ্য जावरा | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৮১৭–১৯৪৮ | |||||||
মালব এজেন্সিতে অবস্থিত জাওরা রাজ্য | |||||||
আয়তন | |||||||
• ২৯০১ | ১,৪৭১ বর্গকিলোমিটার (৫৬৮ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ২৯০১ | ৮৪,২০২ | ||||||
সরকার | |||||||
• নীতিবাক্য | "দিল ও দৌলত" (হৃদয় ও ঐশ্বর্য) | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৮১৭ | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | মধ্যপ্রদেশ, ভারত |
দুটি আশ্রিত অঞ্চল পিপলোড়া ও পন্থ পিপলোড়াসহ রাজ্যটির মোট আয়তন ছিল ১,৪৭১ কিমি২ (৫৬৮ মা২)। জাওরা রাজ্য চারটি তহশীল বিভক্ত ছিল সেগুলি হল জাওরা, বরৌড়া, তাল এবং বড়খেরা। রাজ্যের মুড়ি ফলিত খাদ্যশস্য ছিল মিলেট, তুলা, পেঁয়াজ এবং ভুট্টা এবং ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রাজস্বের পরিমাণ ছিল বার্ষিক ৮,৫০,০০০ ভারতীয় মুদ্রা।
ইতিহাস
আব্দুল গফুর মোহাম্মদ খান জাওরা রাজ্যের পত্তন ঘটান। তিনি ছিলেন পাঠান নেতা মোহাম্মদ আমির খানের সেনাধ্যক্ষ। পরবর্তীকালে তিনি ইন্দোর রাজ্যের হোল্কার রাজার অধীনস্থ হন। মান্দসৌরের চুক্তি অনুসারে ব্রিটিশ সরকার (ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি) ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে এই রাজ্যটি দেশীয় রাজ্যের মর্যাদা পায়। জাওরার নবাব রাজ্যের জাওরা, সনজিত, তাল, মলহরগড়, ভরৌড়াতে ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করেন, এবং পিপলোড়াতে ব্রিটিশদের খাজনা আদায়ের অধিকারের আশ্বাস দেন। এর বিপরীতে ব্রিটিশদের তরফ থেকে নবাব প্রয়োজনে ৫০০ অশ্বারোহী বাহিনী ৫০০ পদচালিত সৈন্যবাহিনী ৪টি কামান ব্যবহারের অনুমতি পান। [1]
এই রাজ্যেরই নবাব মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন ব্রিটিশ বাহিনীর একজন গণ্যমান্য মেজর জেনারেল। নবাব মোঃ ইফতেখার আলী খাঁয়ের শাসনকালে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে পিপলোড়া পৃথক রাজ্য এবং ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে পন্থ-পিপলোড়া ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। নবাব মোহাম্মদ ওসমান আলী খাঁ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই জুন তারিখে রাজ্যটিকে ভারতীয় অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্মতি স্বাক্ষর করেন।
জাওরার জায়গীর
জাওরা রাজ্যের চোদ্দটি জায়গীর এর মধ্যে দুটি জায়গীর ছিল পাঠানো শাসিত একটি জায়গীর ছিল মহাজন শাসিত এবং বাকি এগারটি জায়গীর ছিল রাজপুত শাসিত।[2]
জাওরার নবাব
- ৬ জানুয়ারি ১৮১৭ - ৯ সেপ্টেম্বর ১৮২৫ আবদুল গফুর মহম্মদ খাঁ
- ৯ সেপ্টেম্বর ১৮২৫ – ২৯ এপ্রিল ১৮৬৫ গাউস মহম্মদ খাঁ
- ৯ সেপ্টেম্বর ১৮২৫ - ১৮২৭ মুশারফ বেগম -প্রতিনিধি- টঙ্কের মহম্মদ আয়াজ খাঁ ইউসুফজাই(স্ত্রী) -রাজপ্রতিনিধি
- জাহাঙ্গীর খাঁ
- ১৮২৭ - ১৮৪০ বোর্থউইক -রাজপ্রতিনিধি
- ৩০ এপ্রিল ১৮৬৫ - ৬ মার্চ ১৮৯৫ এহতেসাম আর-দওলা মহম্মদ ইসমাইল খান ওরফে নবাব ইসমাইল আলি খাঁ
- ৩০ এপ্রিল ১৮৬৫ - ১৮৭২ রাজপ্রতিনিধি
- - হজরত নুর খাঁ
- - পশ্চিম মালবের রাজনৈতিক প্রতিনিধি
- ৬ মার্চ ১৮৯৫ – ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ ফাখর আল-দওলা মহম্মদ ইফতেখার আলি খান (১২ ডিসেম্বর ১৯১১ থেকে ফাখর আল-দওলা স্যার ইফতেখার আলি খান)
- ১৯৪৭ - ১৯৭২ আসিফ উদ-দৌল্লা, সাহেবজাদা নবাব ওসমান আলিখান বাহাদুর সৌলৎ-এ-জঙ্গ
- ১৯৭২ - ১৯৯৯ নবাব মহম্মদ মর্তুজা আলি খান বাহাদুর সৌলৎ-এ-জঙ্গ
- ১৯৯৯ - ২০১১ নবাব সৌলৎ মনসুর আলি খান (মীনাক্ষী মুখার্জ্জীকে বিবাহ করেন)
তথ্যসূত্র
- Imperial Gazetteer of India, v. 14, p. 63., Digital South Asia Library
- Leading Famlies And Officials In The States Of Central India pg.136