জর্জ মান
ফ্রান্সিস জর্জ মান, সিবিই, ডিএসও, এমসি (ইংরেজি: George Mann; জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯১৭ - মৃত্যু: ৮ আগস্ট, ২০০১) সারের বাইফ্লিট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও মিডলসেক্সের পক্ষে খেলেছেন জর্জ মান। পাশাপাশি ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফ্রান্সিস জর্জ মান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বাইফ্লিট, সারে, ইংল্যান্ড | ৬ সেপ্টেম্বর ১৯১৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৮ আগস্ট ২০০১ ৮৩) স্টকক্রস, বার্কশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ফ্রাঙ্ক মান (পিতা), জেপি মান (ভ্রাতা), সিমন মান (সন্তান) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৪০) | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ জুন ১৯৪৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ অক্টোবর ২০১৭ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাত টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন মান। প্রত্যেকটিতেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দুই জয়ের বিপরীতে অন্য পাঁচটিতে ড্র করে ইংল্যান্ড দল। তার বাবাও প্রত্যেক টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। মান সম্পর্কে উইজডেন মন্তব্য করে যে, অধিনায়ক হিসেবে তিনি আদর্শস্থানীয় ছিলেন। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে দলকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান।
পরের গ্রীষ্মে দুই টেস্টে নেতৃত্ব দেয়ার পর পারিবারিক পানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মান, ক্রসম্যান এন্ড পলিনে ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার কারণে দল থেকে নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেন। ১৯৫৮ সালে ওয়াটনি কোম্ব এন্ড রিডের সাথে একীভূত হবার পর নতুন পরিচালনা পরিষদে প্রধান পরিচালক মনোনীত হন।[2]
অর্জনসমূহ
তার বাবা ফ্রাঙ্ক মান ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন ও দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। এরফলে, ইংল্যান্ডের পক্ষে পিতা-পুত্রের অধিনায়কত্ব করার বিষয়ে প্রথম নজির স্থাপন করেন।[3] পরবর্তীতে কলিন কাউড্রে ও ক্রিস কাউড্রে পিতা-পুত্রের অধিনায়কত্ব করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।
অবসর
এফ.জি. মান ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত টেস্ট এন্ড কাউন্টি ক্রিকেট বোর্ডের (টিসিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এ সময়কালে বিদ্রোহী দলের সফরের বিষয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৮২ সালে জিওফ বয়কট ও গ্রাহাম গুচ বিদ্রোহী দল নিয়ে তৎকালীন নিষিদ্ধ ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান।
বার্কশায়ারের স্টকক্রস এলাকায় ৮৩ বছর বয়সে ৮ আগস্ট, ২০০১ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে। ২০০৮ সালে তার সন্তান সিমন মানকে বিষুবীয় গিনিতে চৌত্রিশ বছরের জন্য কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ২০০৪ সালে সিমন অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। তবে, ২ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে তাকে মুক্তি প্রদান করা হয়।
তথ্যসূত্র
- "George Mann" (ইংরেজি ভাষায়)। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১২।
- Janes, Hurford (১৯৬৩)। The Red Barrel: A History of Watney Mann (ইংরেজি ভাষায়)। John Murray। পৃষ্ঠা 175।
- Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits (ইংরেজি ভাষায়)। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 116। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জর্জ মান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জর্জ মান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী নরম্যান ইয়ার্ডলি |
ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ১৯৪৮/৪৯–১৯৪৯ |
উত্তরসূরী ফ্রেডি ব্রাউন |
পূর্বসূরী ওয়াল্টার রবিন্স |
মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৪৮–১৯৪৯ |
উত্তরসূরী ওয়াল্টার রবিন্স |