জর্জ পার্কার
জর্জ ম্যাকডোনাল্ড পার্কার (ইংরেজি: George Parker; জন্ম: ২৭ মে, ১৮৯৯ - মৃত্যু: ১ মে, ১৯৬৯) কেপ প্রদেশের কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণে করেছিলেন।
![]() সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জর্জ পার্কার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জর্জ ম্যাকডোনাল্ড পার্কার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৭ মে, ১৮৯৯ কেপটাউন, কেপ প্রদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ মে, ১৯৬৯ থ্রেডবো, স্নোয়ি মাউন্টেইন্স, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১১) | ১৪ জুন ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ জুন ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |
দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন জর্জ পার্কার।
খেলোয়াড়ী জীবন
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটি মাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেছিল জর্জ পার্কারের। ২৮ জুন, ১৯২৪ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। মাত্র তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার মধ্যে দুটিই ছিল টেস্টে যা সবিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। কেপটাউনে জন্মগ্রহণ করার সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সরাসরি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন জর্জ পার্কার। খেলোয়াড়ী জীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই ব্র্যাডফোর্ড লীগে পার করে দেন।
১৯২৪ সালে ইংল্যান্ড গমনকারী দক্ষিণ আফ্রিকার মূল দলে অবশ্য তাকে রাখা হয়নি। তবে, ম্যাটিং পিচে দক্ষতা প্রদর্শনকারী জিমি ব্ল্যাঙ্কেনবার্গ ও বুস্টার নুপেনের ইংরেজ টার্ফ উইকেটে মানিয়ে নিতে না পারার কারণে জর্জ পার্কারকে দলে নিয়ে আসা হয়। এরপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণ করেন।[1] তবে, বৃষ্টির কারণে খেলাটি মাত্র পাঁচ ঘণ্টাখানেক চলেছিল। ঐ পিচে তিনি যথেষ্ট সফলতা পান ও ৪/৩৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।
খেলায় আর্থার জিলিগান ও মরিস টেটের নিরবচ্ছিন্ন ধ্বংসাত্মক বোলিংয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২.৩ ওভারে ৩০ রানে গুটিয়ে ফেলে। জর্জ পার্কার দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বাপেক্ষা সফলতম বোলার ছিলেন। স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৬/১৫২ পান।[2] দ্বিতীয় টেস্টেও স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল প্রথম টেস্টের ন্যায় একই ব্যবধানে ইনিংস ও ১৮ রানে জয় তুলে নেয়। একমাত্র বোলার হিসেবে ১২১ রান খরচায় ইংল্যান্ডের পতন ঘটা দুই উইকেট পান। খেলায় ইংল্যান্ড দল ৫৩১/২ করে ইনিংস ঘোষণায় চলে যায়।
তবে, কাউন্টি দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে নামেননি। প্রথম দুই টেস্টের পতনকৃত দুই-তৃতীয়াংশ উইকেট পেয়েছিলেন। এরপর তিনি আর কখনও প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেননি।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৯২৯ সালে ব্রাডফোর্ডের মার্গুরাইট গ্রেস ইলিংওয়ার্থ (পেগ) নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এরপর তারা দক্ষিণ ফিরে আসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। জীবনের শেষদিকে ভেড়া লালন-পালনের মাধ্যমে উন্নতমানের পশম উৎপাদনের গবেষণার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান।
১ মে, ১৯৬৯ তারিখে স্নোয়ি মাউন্টেইন্সের থ্রেডবো এলাকায় ৭০ বছর বয়সে জর্জ পার্কারের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- "Oxford University v South Africans 1924"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৭।
- "1st Test: England v South Africa at Birmingham, Jun 14-17, 1924"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জর্জ পার্কার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জর্জ পার্কার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)