জয়ভারতী
জয়ভারতী হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। পরে তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। তিনি একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিশেষ জুরি পুরস্কার এবং দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[1] এছাড়া তিনি একবার শ্রেষ্ঠ মালয়ালম অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ ও ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন।
জয়ভারতী | |
---|---|
জন্ম | লক্ষ্মী ভারতী |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | কৃষ জে. সতার (জ. ১৯৮৪) |
পিতা-মাতা |
|
প্রারম্ভিক জীবন
জয়ভারতীর জন্মনাম লক্ষ্মী ভারতী। তার পিতা শিবশঙ্করন পিল্লাই। মালয়ালম অভিনেতা জয়ন তার চাচাতো ভাই, তাকে জয়ভারতী চলচ্চিত্রাঙ্গনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।[2]
জয়ভারতী পাঁচ বছর বয়স থেকে কলামণ্ডলম নটরাজন, রাজারাম, ও বাজুভুর সমরাজ পিল্লাইয়ের নিকট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, এবং কৈশোর বয়সে চলচ্চিত্রে আগমন করেন।[3]
কর্মজীবন
১৯৬৯ সালে তার যখন ১৩ বছর বয়স তখন পরিচালক পি. ভাস্করনের কাট্টুকুরাঙ্গু চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৭২ সালে তিনি একাধিক চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[4] পরের বছর তিনি মাধবীকুট্টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পুনরায় কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[4] ১৯৭৮ সালে তিনি ভারতন পরিচালিত রতিনির্বেদম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে তাকে তার চেয়ে বয়সে ছোট একজনে প্রেমে পড়তে দেখা যায়। চলচ্চিত্রটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত এবং সর্বকালের অন্যতম যৌন আবেদনময়ী চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত। এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কৃষ্ণচন্দ্রন।[5] এই বছর তিনি বাডাকাক্করু হৃদয়ম চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ মালয়ালম অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি কে. নারায়ণন পরিচালিত বীণা (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে তার ভবিষ্যৎ স্বামী সতারের বিপরীতে অভিনয় করেন। পরের বছর এই যুগলকে পি. জি. বিশ্বমভরণের ইভিডে কাট্টিনু সুগন্ধম চলচ্চিত্রে পুনরায় একসাথে দেখা যায়।[6]
ব্যক্তিগত জীবন
জয়ভারতী ১৯৭৩ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক হরি পোথেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৪ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৭৮ সালে বীণা চলচ্চিত্রের সেটে অভিনেতা সতারের সাথে তার পরিচয় হয়। পরের বছর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা ছিলেন মালয়ালম চলচ্চিত্র শিল্পের প্রথমদিকের তারকা দম্পতি। ১৯৮৪ সালে তাদের পুত্র কৃষ জে. সতারের জন্ম হয়।[6] কৃষও একজন অভিনেতা, ২০১৩ সালে লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান চলচ্চিত্র দিয়ে তার অভিষেক ঘটে।[7] ১৯৮৭ সালে জয়ভারতী ও সতার দম্পতি আলাদা হয়ে যান কিন্তু আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেনি। ২০১৯ সালে সতার মৃত্যুবরণ করেন।[6]
পুরস্কার
- ১৯৯১: বিশেষ জুরি পুরস্কার - মারুপাক্কাম
- ১৯৭২: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - একাধিক চলচ্চিত্র
- ১৯৭৩: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - মাধবীকুট্টি
- ১৯৭৮: শ্রেষ্ঠ মালয়ালম অভিনেত্রী - বাডাকাক্করু হৃদয়ম
- ২০১৩: আজীবন সম্মাননা পুরস্কার
তথ্যসূত্র
- "Kerala State Film Award For The Best Actress: Records & Trivia!"। ফিল্মিবিট (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- "ഓര്മകള് മരിക്കുമോ?"। মাতৃভূমি (মালয়ালম ভাষায়)। ২৫ জুলাই ২০১৬। ১৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- "Back to her first love"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মার্চ ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- "State Film Awards"। কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র অকাদেমি। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- ""I was afraid to do those intimate scenes with Jayabharathi, It was Bharathettan who gave me confidence""। কেরালা কৌমুদী (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- "Sathar rued his split with Jayabharathi"। মনোরমা অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- "Jayabharathi's son to step into M-Town"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জয়ভারতী (ইংরেজি)