জমিয়তুল আনসার

জমিয়তুল আনসার (উর্দু: جمعية الأنصار) ভারতে ব্রিটিশদের শাসন ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য সশস্ত্র আন্দোলন পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন।[1] মাহমুদ হাসান দেওবন্দি তার ছাত্র ও অনুসারীদের নিয়ে ১৯০৯ সালের অক্টোবরে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। উবাইদুল্লাহ সিন্ধি সংগঠনটির প্রথম সচিব ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল পুরনো সংগঠন সামরাতুত তারবিয়াতের একটি নতুন রূপ[2], যার সূচনা হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর আগে ১৮৭৮ সালে। সংগঠনটিকে বাহ্যিকভাবে দারুল উলুম দেওবন্দ হতে শিক্ষাপ্রাপ্ত প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী সংগঠন এবং এর উদ্দেশ্য আলিগড় ওরিয়েন্টাল কলেজ এবং দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষক ও বিদ্যার্থীদের মধ্যে বন্ধুসদৃশ সম্পর্ক স্থাপন করা বলে অভিহিত করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি গঠনের অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে একটি মুজাহিদ বাহিনী গঠন করা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া।[3]

জমিয়তুল আনসার
جمعية الأنصار
পূর্বসূরীসামরাতুত তারবিয়াত
উত্তরসূরীনাযারাতুল মাআরিফ আল কুরআনিয়া
গঠিতঅক্টোবর ১৯০৯ (1909-10)
প্রতিষ্ঠাতামাহমুদ হাসান দেওবন্দি
বিলুপ্ত১৯১৩ (1913)
আইনি অবস্থাধর্মীয় সংগঠন
উদ্দেশ্যবাহ্যিক লক্ষ্য ছিল দারুল উলুম দেওবন্দ হতে শিক্ষাপ্রাপ্ত প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলন এবং তাদের সাথে আলিগড় ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষক ও বিদ্যার্থীদের মধ্যে বন্ধুসদৃশ সম্পর্ক স্থাপন করা, অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসন উৎখাতের জন্য একটি সশস্ত্র মুজাহিদ বাহিনী গঠন করা ও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া
সদরদপ্তরদেওবন্দ
সচিব
উবাইদুল্লাহ সিন্ধি

মাহমুদ হাসান দেওবন্দির পৃষ্ঠপোষকতা ও উবাইদুল্লাহ সিন্ধির সাচিবিক দায়িত্ব পালনের কারণে এই সংগঠনটি প্রভূত অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এ সংগঠনের মাধ্যমে দারুল উলুম দেওবন্দের খ্যাতি ও পরিচিতি উপমহাদেশ সহ বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মাহমুদ হাসান দেওবন্দি সংগঠনটির মাধ্যমে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন ছাত্রদের একই মঞ্চের আওতাধীনে আনতে সক্ষম হন। উপমহাদেশের আলেমসহ আফগান, সীমান্ত এলাকা এবং তুর্কীর অনেক আলেমগণ এই মোর্চার অন্তর্ভুক্ত হন। এসময়কালে দারুল উলুমের শিক্ষার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয় এবং এর পক্ষ হতে উসমানীয় খিলাফতের সহায়তা করা হয়। মুখতার আহমদ আনসারি, মুহাম্মদ আলি জওহর সহ প্রমুখ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে সহযোগিতা করা হয়। এগুলোই ছিল জমিয়তুল আনসারের সে সময়কার উল্লেখযোগ্য অবদান। নানা কারণে সংগঠনটি দুর্বল হয়ে যায়। যার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ১৯১৩ সালে উবাইদুল্লাহ সিন্ধি নাযারাতুল মাআরিফ আল কুরআনিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।[4]

প্রেক্ষাপট

১৯০৫ সালে রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির মৃত্যুর পর মাহমুদ হাসান দেওবন্দি দারুল উলুম দেওবন্দের নেতৃত্বে চলে আসেন। এসময় তিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসন উৎখাতের উদ্দেশ্যে দুটি পদ্ধতিতে আন্দোলন শুরু করেন। এই পদ্ধতি দুটিই ছিল সশস্ত্র এবং একইসাথে পরিচালিত হত। যথা:[3]

  1. অভ্যন্তরীণ (দেশীয়)
  2. আন্তর্জাতিক।

ভারতের অভ্যন্তরে এই আন্দোলন পরিচালনায় তার প্রধান কেন্দ্র ছিল দেওবন্দ এবং এর শাখা দিল্লী, দীনাপুর, আমরোট, কারান্জি, খেদা এবং চাকওয়াল প্রভৃতি এলাকায় বিস্তৃত ছিল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের বাইরে প্রথম পর্যায়ে ইয়াগিস্তানকে কেন্দ্র করে তিনি সশস্ত্র আন্দোলনকে সংগঠিত করেন।

১৯০৯ সালে মাহমুদ হাসান দেওবন্দি তার ছাত্র উবাইদুল্লাহ সিন্ধিকে সিন্ধু থেকে দেওবন্দে ডেকে আনেন এবং এখানে অবস্থান করে জমিয়তুল আনসার প্রতিষ্ঠা ও এর সাংগঠনিক কাজ করার নির্দেশ দেন। উবাইদুল্লাহ সিন্ধি দেওবন্দে মাহমুদ হাসানের পৃষ্ঠপোষকতায় জমিয়তুল আনসারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন। জমিয়তের কার্যক্রম পরিচালনায় মুহাম্মদ সাদিক করাচভী, আহমদ আলি লাহোরি প্রমুখ তাকে সহায়তা করেন। জমিয়তের মূল উদ্দেশ্য গোপন রেখে ১৯১০ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে ’দস্তারবন্দী’ (পাগড়ি পরিধান অনুষ্ঠান) এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে দারুল উলুম দেওবন্দের ডিগ্রিপ্রাপ্তদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০০। এ অনুষ্ঠানে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আনুমানিক ৩০ হাজার মুসলিম সুধী উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের অধিকাংশই ছিলেন আলেম। উক্ত অনুষ্ঠান থেকে ’মাসিক আল কাসিম’ পত্রিকা প্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়। এই দস্তারবন্দী সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে সিন্ধি জমিয়তুল আনসারের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঘোষণা করেন। যথা:

  1. কুরআন ও হাদিসের গূঢ় রহস্য, তত্ত্ব ও তথ্যভিত্তিক ইসলামি বিষয়সমূহ সর্বসাধারণ মুসলমানের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
  2. মুসলিম জনগণের ঈমান আক্বীদা ও আমল সংশোধনের জন্য সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে হবে এবং এ সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আলোচনা, সমালোচনা ও প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  3. ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারের উপকরণ হিসেবে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্দেশ্যে আলোচনা ও পরামর্শসভা অনুষ্ঠিত হতে হবে।
  4. উল্লেখিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহ সফল হবে যদি বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন স্থানে জমিয়তুল আনসারের পক্ষ থেকে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দস্তারবন্দী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাব্যস্ত করা হয়, জমিয়তুল আনসারের প্রথম সম্মেলন মোরাদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।[3]

প্রথম সম্মেলন

১৯১১ সালের ১৫–১৭ এপ্রিল মোরাদাবাদে তিনদিনব্যাপী এক বিরাট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে জমিয়তুল আনসার ও তার অনুসারীদের করণীয় সম্পর্কে যে ঘোষণা দেয়া হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হল:[3]

  1. জমিয়তুল আনসার সর্বদা দারুল উলুম দেওবন্দের সকল কাজে সহায়তা করবে।
  2. দারুল উলুমের প্রাক্তন ছাত্ররাই জমিয়তুল আনসারের সদস্য হবে।
  3. শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী, মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবির লেখা গ্রন্থাবলী ও আহমেদ সিরহিন্দির গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ মাকতুবাত এ সংগঠনের সকল সদস্যের পাঠ্যসূচী হবে।
  4. দারুল উলুম দেওবন্দে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্দেশ্য হবে বক্তা ও খতিব সৃষ্টি করে তাদের মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতিতে অবদান রাখা।
  5. এ সংগঠন থেকে এমন তর্কবাগীশ তৈরী করা হবে যারা রচনা ও বক্তৃতার মাধ্যমে নাস্তিক, মুশরিক ও বিদআতীদেরকে দমিয়ে প্রকৃত ইসলামকে জনগণের সামনে পেশ করতে সক্ষম হবে।
  6. সাধারণ মুসলমানদের ঈমান, আকীদা ও আমল সংশোধনকল্পে সম্মেলন করে প্রবন্ধ পাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার ও ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে আলোচনা ও পরামর্শসভা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রস্তাব গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
  7. যে জেলার জনগণ এই সংগঠনের তত্ত্বাবধানে সম্মেলন করতে আগ্রহী হয় এবং এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তথায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

মোরাদাবাদে জমিয়তুল আনসারের তিনদিনব্যাপী প্রথম সম্মেলনে প্রায় দশ হাজার লোকের সমাগম হয়। উক্ত সম্মেলনে যেসব প্রস্তাবনা গৃহীত হয় সেগুলো হল:[3]

  1. সরকারি স্কুল ও কলেজের মুসলিম শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন হলেও প্রয়োজনীয় ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। তাদের আবাসিক হলসমুহে মুসলিম ছাত্রদের ইসলামি মূল্যবোধ ও চরিত্র গঠনের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য একজন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। যার যাবতীয় দায়ভার অত্র সংগঠন বহন করবে।
  2. সরকারি স্কুল ও কলেজ নূন্যতম পঁচিশভাগ শিক্ষার্থী, যারা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আরবিকে গ্রহণ করেছে তাদের জন্য জমিয়তুল আনসার বৃত্তি প্রদান করবে এবং তাদেরকে ইসলামি শিক্ষা দেয়ার জন্য উপযুক্ত শিক্ষকের ব্যবস্থা করবে।
  3. অসহায়, নিঃস্ব, অনাথ, দরিদ্র গ্রাজুয়েট ও প্রি-গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী যারা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আরবি গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে ইসলামি শিক্ষার একটি ব্যবস্থা করা হবে এবং এসব ছাত্রদেরকে জমিয়তুল আনসার মাসিক ত্রিশ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করবে।
  4. ইসলাম বিদ্বেষীগণ ইসলামের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ, আপত্তি ও মতবিরোধ করবে তার জবাব দেয়ার জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে একটি বিভাগ খোলা হবে।
  5. কোন এলাকার লোকেরা তাদের মসজিদের জন্য ইমাম প্রার্থনা করলে জমিয়তুল আনসার এমন একজন আলিম ইমামের ব্যবস্থা করবে যে সূচারুরূপে ওয়ায ও ইমামতি করতে সক্ষম হবে।
  6. কুরআন মাজিদ ও ধর্মীয়গ্রন্থ মুদ্রণ ও মুদ্রিত ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যবসার জন্য মুসলমানদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এসকল বিষয়ে অমুসলিমদের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে।
  7. ইসলামি আকীদা বিষয়ক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বই প্রচুর পরিমাণে ছাপতে হবে; যা জনসাধারণকে শিক্ষা দেয়ার জন্য বিনামূল্যে বিতরণ করতে হবে।

দ্বিতীয় সম্মেলন

১৯১২ সালের ১৬–১৮ এপ্রিল আশরাফ আলী থানভীর সভাপতিত্বে মীরাটে তিনদিনব্যাপী জমিয়তুল আনসারের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনের উপস্থিত শ্রোতার সংখ্যা ছিল দশ সহস্রাধিক। সম্মেলনে আশরাফ আলী থানভী, শাব্বির আহমদ উসমানি এবং দেশ বরেণ্য আলেমগণ বক্তব্য রাখেন। এ সম্মেলনে মোরাদাবাদে অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সম্মেলনে দুটি প্রস্তাব গৃহিত হয়:

  1. দেশের বিভিন্ন স্থানে জমিয়তুল আনসারের ফান্ড থেকে নৈশ ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হোক।
  2. আল আনসার নামক জমিয়তুল আনসারের একটি মুখপত্র বের করা হোক।

শেষ অবস্থা

জমিয়তুল আনসারের মাধ্যমে ভারতের রাজনীতিতে উলামাশ্রেণীর উত্থানের প্রচেষ্টা ইংরেজদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই দুটি মহাসম্মেলন এবং তাতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের সমাবেশ ব্রিটিশদের সন্দিহান করে তোলে। তারা সন্দেহ করতে থাকে যে মুসলমানরা ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ কারণে সরকার দেশের বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উলামাদের মাধ্যমে একটি বড় প্লাটফর্মে সম্মিলিত হবার সুযোগ দিতে একেবারেই অনিচ্ছুক ছিল। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তারা জমিয়তুল আনসারের উপর নজরদারি করার ব্যবস্থা করে। জমিয়তুল আনসারের প্রথম সম্মেলনের সভাপতি আহমদ হাসান আমরুহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং মাহমুদ হাসান দেওবন্দির উপর উচ্চহারে করারোপের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এসময় দারুল উলুম দেওবন্দের কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সাথে উবাইদুল্লাহ সিন্ধির মতবিরোধ হয়। তারা কয়েকটি ধর্মীয় মাসআলায় তার সাথে অনৈক্য পোষণ করেন এবং বিভিন্ন কারণ দর্শিয়ে দারুল উলুমের সাথে উবায়দুল্লাহর সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু গোপনে মাহমুদ হাসান দেওবন্দির সাথে তার সম্পর্ক অটুট থাকে। রাতের আঁধারে দেওবন্দ এলাকার বাহিরে তারা উভয়ে একত্রিত হয়ে পরামর্শ করতেন এবং প্রয়োজনীয় কার্যাবলীর নির্দেশনা দিতেন।[3]

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে উবাইদুল্লাহ সিন্ধি সরে যাওয়ার পর তিনি জমিয়তুল আনসারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলশ্রুতিতে জমিয়তুল আনসার আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়। মাহমুদ হাসান দেওবন্দির পরামর্শে উবাইদুল্লাহ সিন্ধি দিল্লি চলে যান এবং নাযারাতুল মাআরিফ আল কুরআনিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।[3][4]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. হাসান, তারিক (২০১৫)। Colonialism and the Call to Jihad in British India [ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশবাদ এবং জিহাদের আহ্বান] (ইংরেজি ভাষায়)। ভারত: সেইজ পাবলিকেশন্স। আইএসবিএন 978-93-5150-262-3।
  2. খান, ইরফানুল্লাহ (২০১৭)। দি দেওবন্দ মুভমেন্ট এন্ড দি রাইজ অব রিলিজিয়াস মিলিট্যান্সি ইন পাকিস্তানপিএইচডি অভিসন্দর্ভ (ইংরেজি ভাষায়)। ইসলামাবাদ: কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১০২।
  3. শামসুজ্জামান, মুহাম্মদ (২০১৯)। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেওবন্দ মাদ্রাসার ভূমিকা (গবেষণাপত্র)। বাংলাদেশ: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১২৯–১৩৫। ৩ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২২
  4. হাসান, তুরাবুল; আহমদ, খলিল; হাসান, শহিদ (২০১৫)। "The Role of Deobandi Ulema in Strengthening the Foundations of Indian Freedom Movement (1857-1924)" [ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি শক্তিশালীকরণে দেওবন্দি ওলামাদের ভূমিকা (১৮৫৭-১৯২৪)] (পিডিএফ)পাকিস্তান জার্নাল অব ইসলামিক রিসার্চপাকিস্তান: বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫: ৪১।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.