জন মর্টিমোর
জন ব্রায়ান মর্টিমোর (ইংরেজি: John Mortimore; জন্ম: ১৪ মে, ১৯৩৩ - মৃত্যু: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪) ব্রিস্টলের সাউথমিড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন ব্রায়ান মর্টিমোর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সাউথমিড, ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড | ১৪ মে ১৯৩৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ৮০) | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৯২) | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৩ জুলাই ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ নভেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন জন মর্টিমোর।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৫০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জন মর্টিমোরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কাউন্টি ক্রিকেটে সতীর্থ অফ স্পিনার ডেভিড অ্যালেনের সাথে ব্যাট ও বল উভয় ক্ষেত্রেই সফল হয়েছিলেন। মর্টিমোর তুলনামূলকভাবে বলকে কম তীক্ষ্ণতা সহকারে স্পিন করাতেন; অপরদিকে অ্যালেন চাতুর্য ও নিখুঁততার দিকে মনোনিবেশ ঘটাতেন। তিনি বেশ ধূর্ততার সাথে ও নিখুঁত ভঙ্গীমায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বলকে ফেলতেন। এরফলে, প্রায়শঃই তাদের মধ্যকার পার্থক্য গড়ে তুলতো।[1]
নিজ কাউন্টি দল গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে থাকাকালীন ১৯৬২ সালে চেল্টেনহাম উৎসবে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে পাঁচ বলে চার উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ১৯৬৩ সালে নটিংহ্যামে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, দুই ঘণ্টা বাইশ মিনিটে চ্যাম্পিয়নশীপে মর্টিমোর তার প্রথম শতরানের ইনিংসটি দূর্দান্তভাবে করেন। তিনি ১৪৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[2] ঐ একই খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রান তুলে গ্লুচেস্টারশায়ারকে পাঁচ উইকেটের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। এ পর্যায়ে রে হোয়াইটের সাথে ৪০ মিনিটে ১০৯ রানের জুটি গড়েন।
অধিনায়কত্ব লাভ
১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত গ্লুচেস্টারশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।[1]
ব্রিস্টলে ২৬ বছর একাধারে অবস্থান করেন এবং তিন মৌসুম কাউন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। পনেরো হাজারের অধিক রান সংগ্রহসহ এক হাজার আটশতের অধিক উইকেট লাভ করেন।[1] তিন মৌসুমে শত উইকেটের সন্ধান পান ও পাঁচ মৌসুমে সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, ১৯৫৯, ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে ডাবল লাভ করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জন মর্টিমোর। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৩ জুলাই, ১৯৬৪ তারিখে ম্যানচেস্টারে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫৮-৫৯ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে পিটার মে’র নেতৃত্বাধীন দলটি আঘাতে জর্জড়িত হয়ে পড়লে তাকে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে পাঠানো হয়। সিরিজে একবার মাত্র ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৫.০০ গড়ে ৫৫ রান তুলে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে ঐ সময়ে ইংল্যান্ড দলে রে ইলিংওয়ার্থ, ফ্রেড টিটমাস ও ডেভিড অ্যালেনের ন্যায় অফ স্পিনারগণ সকলেই ব্যাটিংয়ে দক্ষ ছিলেন। তারা ২০-২৫ গড়ে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে নিয়ে ৩০-৩২ গড়ে উইকেট লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, তাদের দাপটে জন মর্টিমোরের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন সীমিত হয়ে আসে।[1]
ভারত গমন
১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে জন মর্টিমোর ভারত গমন করেন। নিম্নমূখী রান সংগ্রহের ঐ সিরিজের তিন টেস্টে অংশ নেন তিনি। কানপুরের পঞ্চম টেস্টটি উইজডেনের ভাষায় বিলুপ্ত পিচ হিসেবে অভিহিত হয়।[3] খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৭২-৪৫-৬৭-১। দূর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৬৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খেলানো হয়। এ পর্যায়ে ১২৭১ রান সংগ্রহের বিপরীতে মাত্র ১৮ উইকেটের পতন ঘটেছিল। ৪৯ ওভারে ১২২ খরচ করেও তিনি কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। এরপর আর তাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি।
টেস্ট অঙ্গনে নিজেকে কখনো পুরোপুরিভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ব্যাট হাতে নিয়ে ২৪ গড়ে রান সংগ্রহ ও বল হাতে নিয়ে ৫৬ গড়ে উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।
অবসর
১৯৫০ সাল থেকে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলা শুরুর পর ১৯৭৫ সালে দুই খেলায় অংশ নেয়ার পর ৪২ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। প্রথম খেলায় টম গ্রেভেনি ও কেন গ্রেভেনি ভ্রাতৃদ্বয়ের সাথে একত্রে খেলেন।[4] শেষ খেলায় কেন গ্রেভেনির পুত্র ডেভিড গ্রেভেনি’র সাথে খেলেছিলেন তিনি।[5]
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে ৮০ বছর বয়সে জন মর্টিমোরের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 124। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
- Wisden, 1964, p.526.
- Wisden, 1965, p.815.
- "The Home of CricketArchive"। Cricketarchive.com। ১৯৫০-০৮-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-১৮।
- "The Home of CricketArchive"। Cricketarchive.com। ১৯৭৫-০৮-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-১৮।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন মর্টিমোর (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন মর্টিমোর (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)