জন ট্রাইকোস
অ্যাথানাসিওস জন ট্রাইকোস (ইংরেজি: John Traicos; জন্ম: ১৭ মে, ১৯৪৭) মিশরের জাগাজিগ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ও গ্রিক বংশোদ্ভূত সাবেক ক্রিকেটার। জন ট্রাইকোস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। তন্মধ্যে জিম্বাবুয়ে দলে অধিনায়কত্ব করেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অফ স্পিন বোলিং করতেন। স্বল্প কয়েকজন ক্রিকেটারদের অন্যতম হিসেবে তিনি একের অধিক দেশে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাথানাসিওস জন ট্রাইকোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জাগাজিগ, মিশর | ১৭ মে ১৯৪৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১/২৩৫) | ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ মার্চ ১৯৯৩ জিম্বাবুয়ে বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১) | ৯ জুন ১৯৮৩ জিম্বাবুয়ে বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ মার্চ ১৯৯৩ জিম্বাবুয়ে বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-১৯৯৪ | ম্যাশোনাল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৮-১৯৭৯ | রোডেশিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ৩০ আগস্ট ২০১৭ |
প্রারম্ভিক জীবন
ট্রাইকোস রোডেশিয়ায় তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। এ সময় প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল তার দেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলায় সুযোগ লাভ করেন। নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ট্রেভর গডার্ড তাকে প্রশিক্ষণ দেন।[1] ২৪ জুন, ১৯৬৭ তারিখে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। সাউথ আফ্রিকান ইউনিভার্সিটিজের পক্ষাবলম্বন করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানে ৫ উইকেট দখল করেন। এরপর তিনি আরও দুইয়ের অধিকবার অংশগ্রহণ করেন। ২৭ জানুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে রোডেশিয়ার পক্ষে তার অভিষেক ঘটে।[2]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ সালে ডারবানের সাহারা স্টেডিয়াম কিংসমিডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক আলী বাখেরের অনুরোধক্রমে তার এ সুযোগ ঘটে।[3] অভিষেক টেস্টেই তিনি চারটি ক্যাচসহ তিন উইকেট পান। কিন্তু তিন টেস্টের ঐ সিরিজের পর বর্ণবৈষম্যবাদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিষিদ্ধতা আসায় তিনি আর খেলতে পারেননি।
এরপর রোডেশিয়ার পক্ষে খেলতে থাকেন তিনি। জিম্বাবুয়ে স্বাধীনতা লাভ করলে ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালের আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এরফলে ১৯৮৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। তন্মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার দল স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[4]
১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ে দল টেস্ট খেলার সুযোগ পায়। হারারেতে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দলের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। পূর্বেকার টেস্টে অংশগ্রহণের ২২ বছর ২২২ দিন পর পরবর্তী টেস্টে অংশ নেন যা একটি রেকর্ডবিশেষ।[5] খেলায় ৫/৮৬ লাভ করে নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন তিনি। এরপর তিনি আরও তিন টেস্ট খেলেন। ৪৫ বছর ৩০৪ দিন বয়সে তিনি তার চূড়ান্ত টেস্ট খেলেন। ৩৮ বছর পূর্বেকার মিরন বক্সের গড়া সবচেয়ে বয়সী টেস্ট ক্রিকেটারের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন তিনি ও সর্বকালের জ্যেষ্ঠদের তালিকায় তার অবস্থান দাঁড়ায় দ্বাদশ।[6] তিনি এ তালিকায় আরও উপরে উঠে আসার সুযোগ পান ও পাকিস্তান সফরে দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। কিন্তু ব্যবসায়িক কারণে অবসর নেন।
অবসর
১৯৯৭ সালে জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে স্ব-পরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান ও পার্থে আবাস গড়ে তোলেন। তার জ্যেষ্ঠা কন্যা ক্লোই অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র পরিচালক ও সংলাপ লেখক।[7] ছোট কন্যা ক্যাথরিন গায়িকা ও গীতিকার।[8]
তথ্যসূত্র
- "Spinning at the Top"। Sport in Greece। ১৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১০।
- "First Class Matched played by John Traicos (122)"। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১২।
- Rodney Hartman, Ali: The Life of Ali Bacher, Penguin, Johannesburg, 2006, p. 132.
- "Zimbabwe stun feeble Australians"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০০৭।
- "Players and Officials – John Traicos"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০০৭।
- "Oldest Test Players"। Cricinfo। ২২ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০০৭।
- "Pleas made for Australia to abandon Zimbabwe tour"। The 7:30 report। Australian Broadcasting Corporation। ১৯ মে ২০০৪। ১২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- "Catherine Traicos: Out Of Africa"। X-Press Magazine। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১১।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন ট্রাইকোস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন ট্রাইকোস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)