জন টানিক্লিফ
জন টানিক্লিফ (ইংরেজি: John Tunnicliffe; জন্ম: ২৬ আগস্ট, ১৮৬৬ - মৃত্যু: ১১ জুলাই, ১৯৪৮) ইয়র্কশায়ারের পাডসে এলাকার লো টাউনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৮৯১ থেকে ১৯০৭ সময়কালে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।[1] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন লং জন ডাকনামে পরিচিত জন টানিক্লিফ।[2]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন টানিক্লিফ | ||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পাডসে, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ২৬ আগস্ট ১৮৬৬||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ জুলাই ১৯৪৮ ৮১) ওয়েস্টবারি, ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড | (বয়স||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | লং জন | ||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি স্লো | ||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||
১৮৯১–১৯০৭ | ইয়র্কশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ আগস্ট ২০১৫ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৭২টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয় জন টানিক্লিফের। দীর্ঘদেহের অধিকারী জন টানিক্লিফ মারকুটে ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে দেখা যায় যে, সর্বকালের অন্যতম সেরা স্লিপ ফিল্ডার ছিলেন তিনি। বেশ বয়স নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ সাল থেকে ইয়র্কশায়ার দলে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। এ দলটিতে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত খেলেন।
১৯০৩ সাল বাদে প্রত্যেক মৌসুমেই সহস্রাধিক রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, ১৮৯৮ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত হয় তার। ইনিংস প্রতি ৪১.০০ গড়ে ১,৮০৪ রান তুলেন। ঐ মৌসুমে নিজস্ব ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। চেস্টারফিল্ডের কুইন্স পার্কে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় জ্যাক ব্রাউনের সাথে ৫৫৪ রান তুলে তৎকালীন যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। তাদের এ সংগ্রহটি অদ্যাবধি প্রথম উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ও বৈশ্বিকভাবে যে-কোন উইকেটে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটিরূপে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
খেলার ধরন
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি টানিক্লিফের স্লিপ অঞ্চলের ফিল্ডিংও ততোধিক গুরুত্ব বহন করেছিল। সুদীর্ঘ বাহুযুগলের কারণে ‘লং জন পাডসে’ ডাকনামে আখ্যায়িত হয়েছেন। দীর্ঘাকার হাতের কারণে অন্য খেলোয়াড়দের সাধ্যাতীত ক্যাচ তালুবন্দী করতে না পারলেও অনায়াসেই তিনি তা করায়ত্ত করতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৯৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৬৯৫টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন তিনি।[3] খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুরদিকে ১৮৯১ ও ১৮৯২ সালে কয়েকটি খেলায় উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকেই স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯০১ সালে এক মৌসুমে ৭০ ক্যাচ নিয়েছিলেন ও তৎকালীন রেকর্ড গড়েন। পরবর্তীকালে ১৯২৮ সালে ওয়ালি হ্যামন্ড ৭৯ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ডটি নিজের করে নেন।
খেলায় তার ক্যাচ নেয়ার অনুপাত ১.৩৯৩ : ১ যা কেবলমাত্র ওয়ালি হ্যামন্ডের ১.২৯১ : ১ ও জন ল্যাংগ্রিজের ১.৩৬৫ : ১-এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। জন টানিক্লিফ ২৭.০০ গড়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২০,৩১০ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে বল হাতে নিয়ে ৫৭.৮৫ গড়ে সাত উইকেট পেয়েছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় অভিষিক্ত হন জন টানিক্লিফ।[4]
অবসর
১৯০৭ মৌসুম শেষে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্লিফটন কলেজে ক্রিকেট কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর গ্লুচেস্টারশায়ার ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। ঐ সময়ে তার সন্তান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১১ জুলাই, ১৯৪৮ তারিখে ৮১ বছর বয়সে ব্রিস্টলের ওয়েস্টবারি পার্কে জন টানিক্লিফের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 380। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4।
- "THROWBACK THURSDAY: Born 150 years two great Yorkshire players"। yorkshireccc.com। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- "John Tunnicliffe"। Espncricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১১।
- "Wisden's Five Cricketers of the Year"। ESPNcricinfo। ESPN। ২৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন টানিক্লিফ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন টানিক্লিফ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)