জন ওয়েট
জন হেনরি বিকফোর্ড ওয়েট (ইংরেজি: John Waite; জন্ম: ১৯ জানুয়ারি, ১৯৩০ - মৃত্যু: ২২ জুন, ২০১১) জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৬৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন হেনরি বিকফোর্ড ওয়েট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৯ জানুয়ারি ১৯৩০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ জুন ২০১১ ৮১) | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮১) | ৭ জুন ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স ও গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন জন ওয়েট।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
ট্রান্সভাল প্রদেশের জোহেন্সবার্গে জন ওয়েটের জন্ম। দক্ষিণ আফ্রিকার হিল্টন কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর রোডস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[2]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স ও ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সপ্রতিভ পদচারণ ছিল তার। ইস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ২১৯ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫০টি টেস্টে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয় জন ওয়েটের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫০ টেস্টে অংশগ্রহণের মাইলফলক স্পর্শ করেন। সচরাচর তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[3] সর্বমোট ১৪১টি ডিসমিসালের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন স্ব-মহিমায়। ডেভ রিচার্ডসনের অনন্য অর্জনের পূর্ব-পর্যন্ত এ ডিসমিসালগুলো দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ডরূপে টিকেছিল। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন। এরপর ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে ২৩টি ডিসমিসাল ঘটিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন।
এরপর, ১৯৬১-৬২ মৌসুমে একই দলের বিপক্ষে আবারও ২৬টি ডিসমিসাল ঘটিয়ে সৃষ্ট রেকর্ডকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ব্যাটসম্যান হিসেবেও সমান ভূমিকা পালন করেছেন জন ওয়েট। ট্রেন্ট ব্রিজে অভিষেক টেস্টেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংসে উপহার দিয়েছিলেন। ৩০ ঊর্ধ্ব গড়ে রান তুলেছেন তিনি। তন্মধ্যে চারটি শতরানের ইনিংসে রয়েছে তার।
তথ্যসূত্র
- "John Waite dies at 81"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-২২।
- Daily Telegraph obituary
- "John Waite"। The Daily Telegraph। London। ২৪ জুন ২০১১।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন ওয়েট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন ওয়েট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)