জনার্দন নবলে
জনার্দন জ্ঞানোবা নবলে (উচ্চারণ ; মারাঠি: जनार्दन नवले; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৯০২ - মৃত্যু: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের ফুলগাঁও এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারত দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জনার্দন জ্ঞানোবা নবলে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ফুলগাঁও, মহারাষ্ট্র, ব্রিটিশ ভারত | ৭ ডিসেম্বর ১৯০২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ ৭৬) পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬) | ২৫ জুন ১৯৩২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মধ্য ভারত, গোয়ালিয়র, হিন্দু, হোলকার ও রাজপুতানা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন জনার্দন নবলে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯১৮-১৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৩-৪৪ মৌসুম পর্যন্ত জনার্দন নবলে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৬ বছর বয়সে হিন্দু দলের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। একাধারে ১৬ বছর হিন্দু দলে খেলেন। অনেক বছর বোম্বে চতুর্দলীয় ও বোম্বে পঞ্চদলীয় প্রতিযোগিতায় হিন্দু দলের পক্ষে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন।
১৯২৬-২৭ মৌসুমে আর্থার জিলিগানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের বিপক্ষে খেলেন। এর নয় বছর পর জ্যাক রাইডারের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক খেলায় মুখোমুখি হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জনার্দন নবলে। ২৫ জুন, ১৯৩২ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মুম্বইয়ে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩২ সালে ভারত দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। জনার্দন নবলে ভারতের ঐতিহাসিক উদ্বোধনী টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথম বলের মোকাবেলা করেছিলেন।[1] লর্ডসে সিরিজের একমাত্র টেস্টের উভয় ইনিংসেই ব্যাটিং উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এছাড়াও উইকেট রক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
ইংল্যান্ড সফরে অনবদ্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। ঐ সফরে তিনি একচল্লিশটি ডিসমিসালের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন। তন্মধ্যে লর্ডসে টেস্টে ডগলাস জারদিনের ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন তিনি। উভয়ক্ষেত্রেই বিল বোস তার বিপক্ষে বোলিংয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন।
অবসর
এরপর ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে বোম্বেতে অপর টেস্টটি খেলেন। এ সময়ে তার বয়স ছিল ৩১। নতুনদের অগ্রাধিকার দেয়ায় তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর চিনিকলে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। এ সময়ে তিনি পুনের দুই কক্ষবিশিষ্ট ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। পুনের ভবে স্কুলের সাবেক ছাত্র ছিলেন। ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে পুনা এলাকায় জনার্দন নবলে’র দেহাবসান ঘটে।
মূল্যায়ন
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের শুরুরদিকের টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। ভারতের প্রথম টেস্ট উইকেট-রক্ষকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছেন জনার্দন নবলে। ছোটখাটো গড়নের অধিকারী ছিলেন তিনি। উইজডেনের ভাষ্যমতে তিনি অত্যন্ত উঁচুমানের উইকেট-রক্ষক ছিলেন। অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সাথে বলকে গ্লাভসবন্দী করতে নিজেকে যথাসম্ভব মেলে ধরতেন।
পরিচ্ছন্ন ক্রিকেট ও ক্ষীপ্রগতিময়তার কারণে নেভিল কারদাসের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়ান। ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্সের ‘হুজ হু অব টেস্ট ক্রিকেটার্সে’ উল্লেখ রয়েছে যে, জ্যাক হবস জনার্দন নবলেকে জর্জ ডাকওয়ার্থ ও বার্ট ওল্ডফিল্ডের সমকাতারে ফেলেছেন।
তথ্যসূত্র
- "Janardan Navle, India"। cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১০।
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জনার্দন নবলে (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জনার্দন নবলে (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)