জঙ্গলকন্যা সেতু
জঙ্গলকন্যা সেতু বা ভসরাঘাট সেতু [1][2] হল ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম-এ অবস্থিত একটি সেতু। এই সেতুটি ২০১৬ সালে চালু হয়।[2] এই সেতুটি সুবর্ণরেখা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে সেতুটি প্রায় ১.৪৭২ কিলোমিটার (০.৯১৫ মা) দীর্ঘ।এটি পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম সেতু।এত দিন নয়াগ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুর হয়ে খড়গপুর আসতে পাড়ি দিতে হত প্রায় ৯৫ কিলোমিটার রাস্তা৷ ১.৪৭২ কিমি লম্বা এই জঙ্গলকন্যা সেতু ধরে নয়াগ্রাম-কেশিয়ারি হয়ে খড়গপুর পৌঁছতে পাড়ি দিতে হবে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার পথ৷ [3]
ভসরাঘাট সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২২°০৩′ উত্তর ৮৭°১১′ পূর্ব |
বহন করে | দুটি পথ, প্রতি পথে একটি সবরকম যানবাহন চলাচলের উপযোগী লেন |
অতিক্রম করে | সুবর্ণরেখা নদী |
স্থান | নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
অফিসিয়াল নাম | জঙ্গলকন্যা সেতু |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ১.৪৭২ কিলোমিটার (০.৯১৫ মা) |
প্রস্থ | ১২ মিটার (৩৯ ফু) |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শেষ | ২০১৬ |
নির্মাণ ব্যয় | ₹ ১৭০ কোটি |
চালু | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ |
বন্ধ | না |
পরিসংখ্যান | |
টোল | না |
অবস্থান | |
নির্মানের ইতিহাস
নয়াগ্রাম ও কেশরির মাঝে বয়েচলেছে সুবর্ণরেখা।ফলে এই এলাকার যোগাযোগের প্রদান বাধা এই নদী।২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভসরাঘাট সেতু নির্মানের ঘোষণা করেন।তবে এখানে আগে থেকেই অস্থায়ী সেতু ছিল ।যা প্রতিবছর নির্মান করা হত এবং বর্ষার সময় ভেঙ্গে যেতো।এর পর কংক্রিটের সেতু নির্মান শুরু হয়।প্রায় তিন কিলোমিটার এই সেতুর নির্মান শেষ হয় ২০১৬ সালে।ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সেতুটি উদ্ভোদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দূর্ঘটনা
জেলার কেশিয়াড়ী ও নয়াগ্রাম এর সংযোগকারী জঙ্গলকন্যা সেতু গত ১১ তারিখে উদ্বোধনের ১৫ দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি (২০১৬) সেতুর পিলারে (রেলিং) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি যাত্রীবাহী বাস৷ পঞ্চাশ জন যাত্রী নিয়ে মেদিনীপুর থেকে নয়াগ্রাম যাচ্ছিল বেসরকারি বাসটি৷ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল বাসটি৷ জঙ্গলকন্যা সেতুতে ওঠার সময়ে পিলারে ধাক্কা মারে বাসটি৷[4]