জঙ্গমু বাঁধ
জঙ্গমু বাঁধ (藏 木) চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গাইকা শহরের থেকে ৯ কিমি (৫.৬ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ইয়ারলুনং জ্যাংবো / ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত একটি মাধ্যাকর্ষণ বাঁধ। এই বাঁধ ভুটান-ভারত সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নির্মিত হয়। নদী প্রযুক্তি চালানোর মাধ্যমে বাঁধের উদ্দেশ্য হল জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। [7] এটি জাঙ্গমু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অংশ এবং একটি ৫১০ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন সমর্থন করে। নির্মাণ ২০০৯ সালে শুরু হয় এবং প্রথম জেনারেটরটি নভেম্বর ২০১৪ সালে চালু হয়। [8] শেষ ১৩ ই অক্টোবর ২০১৫ তে চালু হয়েছিল। [9] এটি ব্রহ্মপুত্র / ইয়ারলুং জ্যাঙ্গবো নদীর প্রথম বাঁধ এবং এটি চীন ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। [10][11][12]
জঙ্গমু বাঁধ | |
---|---|
জঙ্গমু বাঁধ অবস্থানের গণচীন | |
আনুষ্ঠানিক নাম | জঙ্গমু বাঁধ |
অবস্থান | গাইকা, তিব্বত , চীন |
স্থানাঙ্ক | ২৯°১১′০৬″ উত্তর ৯২°৩১′০০″ পূর্ব |
অবস্থা | সক্রিয় |
নির্মাণ শুরু | ২০০৯ |
উদ্বোধনের তারিখ | ২০১৪ |
নির্মাণ ব্যয় | ৭.৯ বিলিয়ন ইউয়ান (উইএস$১.২ বিলিয়ন) [1] |
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ | |
বাঁধের ধরন | মধ্যাকর্ষন, কংক্রিট |
আবদ্ধতা | ব্রহ্মপুত্র নদ |
উচ্চতা | ১১৬ মি (৩৮১ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ৩৮৯ মি (১,২৭৬ ফু) |
প্রস্থ (চূড়ায়) | ১৯ মি (৬২ ফু)[2] |
প্রস্থ (ভিত্তিতে) | ৭৬ মি (২৪৯ ফু) |
জলাধার | |
সক্রিয় ধারণক্ষমতা | ৮,৬৬,০০,০০০ মি৩ (৭০,২০৮ acre·ft) (daily) |
অববাহিকার আয়তন | ১,৫৭,৬৬৮ কিমি২ (৬০,৮৭৬ মা২) |
সাধারণ উচ্চতা | ৩,৩১০ মি (১০,৮৬০ ফু)[3] |
পাওয়ার স্টেশন | |
সম্পাদনের তারিখ | ২০১৪-২০১৫ |
ধরন | নদীতে চালান |
জলবাহী মাথা | ৫৩.৫ মি (১৭৬ ফু) (nominal) |
ঘূর্ণযন্ত্র | ৬ x ৮৫ মেগা ওয়ার্ড (ফ্রেন্সিস টাইপ)[4] |
স্থাপিত ক্ষমতা | ৫১০ মেগা ওয়ার্ড [5] |
বার্ষিক উৎপাদন | 2.5 billion kWh est.[6] |
পটভূমি
১৯৭২ সালে চীনের একাডেমি অফ সায়েন্সেসের মাধ্যমে কুংহাই-তিব্বত প্লেটযে যৌথ বৈজ্ঞানিক অভিযান করা হয়েছিল সাংগোপো-ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকাযর অংশে। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, সর্বাধিক ১,১৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে নদী অববাহিকায় এবং শুধুমাত্র প্রধান নদী প্রবাহ থেকে ৭৯,০০০ মেগাওয়াট বিদ্র্যুৎ উৎপানক করা সম্ভব। ১৯৮০-এর দশকে আরো গভীর ভাবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য পরিদর্শন শুরু হয় যা নদী বাঁধের জন্য ১২ টি স্থান চিহ্নিত করা হয়। এটা ধারণা করা হয়েছিল যে বাঁধগুলি বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে পারবে তিব্বতের রাজধানী শহর লাসায়। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে, নদী অববাহিকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছিল প্রশাসন। [13] বর্তমানে, অববাহিকায় ২৮ টি প্রস্তাবিত বাঁধ রয়েছে, জংমু হচ্ছে একমাত্র নির্মাণের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল। [14]
২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে চীনের জিওহুবা গ্রুপকে জাঙ্গমু হাইড্রোপোয়ার প্রোজেক্টের জন্য $১৬৭ মিলিয়ন চুক্তির প্রদান করা হয়। কোম্পানির মতে, উত্তর-পূর্ব ভারতের কাছে নদী প্রবাহিত জল নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধের নকশা ও নির্মাণের জন্য চুক্তিটি রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৩,৪০০,০০০ কিউবিক মিটার কংক্রিট এবং ৮ মিলিয়ন টন নির্মান দ্রব্য প্রয়োজন হয়েছিল। [8] বাঁধের জন্য বিশেষ তথ্য উল্লেখের নিশেজ্ঞাগার, কারণ চীন থেকে অনেক তথ্য প্রদান করা হয়নি। [12] ১২ নভেম্বর ২০১০ তারিখে, নির্মাণকারী বাঁধটির নির্মান বন্ধ করে দেয়।[6] জলাধারটিতে জল ধারণ করা হয়েছিল এবং ২৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে প্রথম জেনারেটরটি চালু করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণরূপে চালু করা হয়েছিল। [9]
নকশা
জঙ্গমু বাঁধটি ১১৬ মিটার (৩৮১ ফুট) উচু এবং ৩৮৯ মিটার (১,২৭৬ ফুট) দীর্ঘ । বাঁধটি কংক্রিট দ্বারা নির্মিত মাধ্যাকর্ষণ-টাইপের।বাঁধের ডান তীরে স্পিলওয়ে, নিমজ্জিত সেতু এবং নিচ তলায় (গলি জন্য)। বাঁধের বাম দিকে বাঁধের অংশটি ৮০ মিটার (২৬২ ফুট) লম্বা এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাঁধের নিচে অবস্থান রয়েছে। পুরো বাঁধটি নিচে ভিত্তিরে অংশে ৭৬ মিটার (২৪৯ ফুট) প্রশস্ত এবং বাঁধের মাথায় ১৯ মিটার (৬২ ফুট) প্রশস্ত। ১৫৭,৬৬৮ কিলোমিটার (৬০,৮৭৬ বর্গমিটার) জলাভূমি বেষ্টন করে এবং বাঁধের জলাধারের জলধারন ক্ষমতা ৮৬,৬০০,০০০ কিউবিক মিটার (৭০,২০৮ একর ফুট)। স্বাভাবিক জলাধারের উচ্চতা ৩,৩১০ মিটার (১০,৮৬০ ফুট)। বাঁধ এর পাওয়ার স্টেশনটিতে মোট ৫১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৬ টি ৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ফ্রান্সিস টারবাইন-জেনারেটর রয়েছে। [3]
তথ্যসূত্র
- He Haining, Jiang Yannan (১৭ জানুয়ারি ২০১১)। "A new era for Tibet's rivers"। China Dialogue। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১১।
- Dhal Samanta, Pranab (১৫ অক্টোবর ২০০৯)। "China begins building dam on its side of the Brahmaputra"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১১।
- "Zangmu Dam Bid" (Chinese ভাষায়)। Chinese government procurement network। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১১।
- "Delivery of Technology to Tibet's Largest Hydropower Plant"। Rainpower। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১১।
- "India concerned over China's hydro power project on Brahmaputra"। Energy Business। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১১।
- Varma, KJM (১৬ নভেম্বর ২০১০)। "China Assures India Brahmaputra Dam Not Aimed at It"। Beijing: Outlook India। ১৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১১।
- Chellaney, Brahma (২০১১)। Water : Asia's new battleground। Washington, D.C.: Georgetown University Press। পৃষ্ঠা 160। আইএসবিএন 1-58901-771-4।
- Hao, Tong (২০০৯-০৩-০৪)। "Gezhouba wins 1.14b yuan hydropower contract"। China Daily। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১০।
- "China's first hydropower dam on Brahmaputra is fully operational"। HiLight News। ১৩ অক্টোবর ২০১৫। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৫।
- "Dammed rivers"। The Economist। ১৯ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১০।
- "India taking up China dam issue: Arunachal Min"। Zee News। ১১ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১০।
- "Yajiang Tibet into a large hydroelectric power station era marked" (Chinese ভাষায়)। China Dialogue। ১ জানুয়ারি ২০১১। ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১১।
- "Push for new dams across Brahmaputra as China faces drought"। The Hindu। ১০ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১১।