জগন্নাথ মন্দির, দীঘা

জগন্নাথ মন্দির হল জগন্নাথকে উৎসর্গ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরে পূজিত দেবতা হলেন জগন্নাথ, যা বিষ্ণুর একটি রূপ – হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ দেবত্বের ত্রিত্বের একটি। মন্দিরটি ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র সৈকত শহর দীঘায় অবস্থিত। এটির মন্দির নির্মাণের ঘোষণা ২০১৮ সালে করা হয়েছিল এবং নির্মাণ কাজ ২০২২ শুরু হয়েছিল, বর্তমানে মন্দিরটি নির্মাণাধীন রয়েছে। এটি ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।[1]

জগন্নাথ মন্দির, দীঘা
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাপূর্ব মেদিনীপুর
ঈশ্বরজগন্নাথ
অবস্থান
অবস্থানদীঘা
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
জগন্নাথ মন্দির, দীঘা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
জগন্নাথ মন্দির, দীঘা
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২১.৬২৩০০৭৬° উত্তর ৮৭.৪৯২৩৫৭২° পূর্ব / 21.6230076; 87.4923572
স্থাপত্য
ধরনকলিঙ্গ স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীহিডকো
সম্পূর্ণ হয়ডিসেম্বর,২০২৩
উচ্চতা৬৫ মি (২১৩ ফু)

মন্দিরটি হিন্দুদের বৈষ্ণব ঐতিহ্যের জন্য পবিত্র।

ইতিহাস

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় ২০১৮ সালে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। মন্দিরের বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল।[2] মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালের ২০ই আগস্ট ঘোষণা করেছিলেন যে মন্দিরের নির্মাণ দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে।[2][3][4] সমুদ্রের ধারে দীঘাস্থিত পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের জায়গাতেই নতুন মন্দির গড়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে পরিবেশগত নিষেধাজ্ঞায় সেখানে মন্দির নির্মাণ করা যায়নি। পরে দিঘা স্টেশনের পাশে মন্দির তৈরির জন্য জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ মন্দিরের জন্য ২০ একর জমি প্রদান করেছিল। মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব হিডকো-কে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজের সূচনা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি শুভ অক্ষয়তৃতীয়া তিথিতে করেছিলেন।[5] নির্মাণ কাজের ব্যয় হিসাবে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৩ সালের ৪ঠা এপ্রিল নির্মাণাধীন মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন।[6][7][8] তিনি বলেন,

‘বিরাট একটা কর্মযজ্ঞ চলছে। হাজার হাজার বছর ধরে জগন্নাথের এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত থাকবে।’

দেবতা

মন্দিরে জগন্নাথ, বলভদ্রসুভদ্রা দেবতা হিসেবে পূজিত হবেন।[1]

স্থাপত্য

মন্দিরের উচ্চতা ৬৫ মিটার (২১৩ ফুট)।[9] এই মন্দিরটি নির্মাণে রাজস্থানের বংশী পাহাড়ের বিখ্যাত বেলেপাথর ব্যবহার করা হয়েছে।[9]

তথ্যসূত্র

  1. Supratik Sengupta (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২)। "Bengal government's Rs 100-crore Jagannath Temple in Digha to be complete by December 2023"www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। Kolkata। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  2. "দু'বছরেই নয়া জগন্নাথ মন্দির"আনন্দবাজার (ইংরেজি ভাষায়)। দীঘা। ২১ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  3. Tanmay Chatterjee (২৯ আগস্ট ২০১৯)। "Bengal to build replica of Jagannath temple; oppn says Mamata wooing Hindus"www.hindustantimes.com (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  4. "Mamata Banerjee: Digha will be turned into religious tourism destination"www.indianexpress.com (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা। ২১ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  5. "জগন্নাথ মন্দিরের ভিত পুজোয় মন্ত্রী"আনন্দবাজার। দীঘা। ৪ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  6. "ফের দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী, পুরনো অনেক প্রকল্প অসম্পূর্ণই"Anandabazar। কাঁথি। ১ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  7. "কাজ দেখে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী! দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খোলা সময়ের অপেক্ষা"bengali.indianexpress.com। দীঘা। ৪ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  8. "West Bengal CM Mamata Banerjee visits new Jagannath Temple site in Digha"timesofindia.indiatimes.com (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা। ৪ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
  9. "পুরীর মন্দিরের সমান উঁচু হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির, পরিদর্শন করে জানালেন মমতা"www.thewall.in। Digha। ৪ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.