চুতাম্লা
চুত্যেণ্ফার মৃত্যুর পর ১৬৪৮ সালে তাঁর পুত্র চাওফা চ্যু-তাম-লাক রাজা করা হয়। হিন্দু প্রথামতে তিনি জয়ধ্বজ সিংহ নাম নেন। ১৬৬২ সালের মোগলদের একাদশতম আক্রমণে মোগলদেরা আহোম রাজধানী গড়গাঁও অধিকার করে। জয়ধ্বজ সিংহকেে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল বলে তাঁকে ভগনীয়া রাজা বলা হয়। ১৬৬৩ সালে আহোম এবং মোগলদের মধ্যে তিপামর ঘিলাধারী স্থানে সন্ধি হয়।এই সন্ধির শর্ত অনুসারে জয়ধ্বজ সিংহের কন্যা রমণী গাভরুকে আসামের সকল ত্যাগ করে সুদূর দিল্লীতে যেতে হয়েছিল।
চাওফা চ্যু-তাম-লা | |||||
---|---|---|---|---|---|
চাওফা | |||||
আসামের রাজা | |||||
রাজত্ব | ১৬৪৮ - ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দ | ||||
পূর্বসূরি | চুত্যেণ্ফা | ||||
উত্তরসূরি | চুপংমুং | ||||
| |||||
রাজবংশ | ছ্যু ফৈদ , আহোম রাজবংশ | ||||
ধর্ম | আহোম ধর্ম |
নাগা এবং মিরির বিরুদ্ধে অভিযান
১৬৫০ সালে লক্মা নাগার উৎপাত রোধ করতে একটি সৈন্যদল পাঠানো হয়। নাগাদের গ্রাম ইত্যাদি ধ্বংস করা হলেও নাগারা পুনরায় লুটপাত আরম্ভ করে। চারবছর পর আবার একটি দল পাঠানো হয়। নাগা যাঠী-জোঙে আক্রমণ করায় আহোম সেনার সাথে যাওয়া ডফলা সেনারা প্রতিরোধ করে। পরে নাগারা শান্তির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আলোচনা করতে যাওয়া দলটিকে তাঁরা হত্যা করে। আহোম সেনা বড়ো দল নিয়ে তাঁদের আক্রমণ করে গ্রাম, ভান্ডার ধ্বংস করায় নাগারা শান্তির প্রস্তাব নিয়ে বছরে কর দিতে রাজি হয়।
১৬৫৫ সালে মিরিরা আক্রমণ চালিয়ে দুজন আহোম লোককে হত্যা করে। প্রত্যুত্তরে আহোম সেনা প্রায় তিরিশজন মিরি লোকের প্রাণ নাশ করে এবং বারটি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। মিরিরা তখন রাজাকে বার্ষিক কর দিতে রাজী হয়।[1]
তথ্যসূত্র
- Gait, E. A (১৯০৬)। A History of Assam। Calcutta: Thacker, Spink & Co.। পৃষ্ঠা 147।