চিল্কা হ্রদ
চিল্কা হ্রদ (ওড়িয়া: ଚିଲିକା ହ୍ରଦ) একটি ঈষৎলোনা জলের উপহ্রদ যা ভারতের পূর্ব উপকূলের ওড়িশার পুরী, খুরদা ও গানজাম জেলায় বিস্তৃত। দিয়া নদীর তীরে, বঙ্গোপসাগরে এটি ১১০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি ভারতের বৃহত্তম উপকূলীয় লেগুন (উপহ্রদ) [4][5] এবং নিউ ক্যালিডোনিয়ার নিউ ক্যালিডোনিয়ার প্রবাল প্রাচীরের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপকূলীয় লেগুন।[2][6] এটিকে ইউনেস্কো (UNESCO) ভারতের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকা এনেছেন।[7]
চিল্কা | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ১৯°৪৩′ উত্তর ৮৫°১৯′ পূর্ব |
হ্রদের ধরন | ঈষৎলোনা |
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ | ভার্গভি, দয়া, মাকরা, মালাগুনি ও লুনা নদীসহ ৫২ টি স্ট্রিম[1] |
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | আরাখাকুদাতে পুরোনো নদীমুখ, সাতপাড়াতে নতুন নদীমুখ; তারপর বঙ্গোপসাগর |
অববাহিকা | ৩,৫৬০ কিমি২ (১,৩৭০ মা২) |
অববাহিকার দেশসমূহ | ভারত |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ৬৪.৩ কিমি (৪০.০ মা) |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | min.: ৯০০ কিমি২ (৩৪৭ মা২) max.: ১,১৬৫ কিমি২ (৪৫০ মা২) |
সর্বাধিক গভীরতা | ৪.২ মি (১৩.৮ ফু) |
পানির আয়তন | ৪ কিমি৩ (৩২,০০,০০০ acre·ft) |
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা | 0 – ২ মি (৬.৬ ফু) |
দ্বীপপুঞ্জ | ২২৩ কিমি২ (৮৬ মা২): বাডাকুডা, ব্রেকফারস্ট, হানিমুন, কালিজাই পাহাড়, পাখি দ্বীপ, কন্ঠপন্থ, নলবানা, নুয়াপাদা, সোমোলো এবং সানাকুডা। |
জনবসতি | পুরী এবং সাতপাড়া |
তথ্যসূত্র | [1][2] |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | 1 October 1981 |
রেফারেন্স নং | 229[3] |
বিবরণ
হ্রদটি লম্বায় প্রায় ৪০ মাইল। এর আয়তন ১১০০ বর্গ কি. মি.। অনেকগুলি ছোট বড় নদী জলধারা এতে পতিত হয়। 'দয়া' নামে একটা সরু নদী দিয়ে হ্রদটা বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। সারা ভারতে সব থেকে বড় পরিযায়ী পাখিদের সমাবেশ এইখানে। হ্রদটির চারদিকে আছে অনেক ছোট বড় গ্রাম ও শহর। মাছ আহরণের জন্য এই হ্রদকে ঘিরে ১৫০,০০০ জেলে থাকে এবং ১৩২টি গ্রাম আছে।[8][9]
একটি সমীক্ষা দেখানো হয়েছে, এই হ্রদে ৪৫ শতাংশ জলজ পাখি,৩২ শতাংশ আন্সেরিফর্মিস বর্গের পাখি এবং ২৩ শতাংশ পানিকাটা পাখি। এর উপহ্রদে ১৪ প্রজাতির শিকারী পাখি আছে। প্রায় ১৫২ প্রজাতির বিরল এবং বিপন্ন ইরাবতী ডলফিন এই হ্রদে বাস করে খবর পাওয়া গেছে।[10]
গ্যালারি
- স্যানডেরলিং
- তেরেক স্যান্ডপাইপার
- কেন্টিশ প্লবের
- ব্ল্যাক-টেইলড গডউইট
- লিম্বলেস লিজার্ড
- চিল্কাতে নৌকা
তথ্যসূত্র
- Tripati, Sila; A. P. Patnaik (১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Stone anchors along the coast of Chilika Lake: New light on the maritime activities of Orissa, India" (পিডিএফ)। Current Science। Bangalore: Indian Academy of Sciences। 94 (3): 386–390।
- Mohanty, Prof. Prafulla Kumar; Dr. Sanjaya Narayan Otta (জুন ২০০৮)। "Dolphins of Chilika" (পিডিএফ)। Orissa Review। Govt. of Orissa: 21–26। ১০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- "Chilika Lake"। Ramsar Sites Information Service। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮।
- Forest and Environment Department। "Chilika"। Wildlife Conservation in Orissa। Govt of Orissa। ২০১৩-০৭-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২১।
- "Inventory of wetlands" (পিডিএফ)। Govt. of India। পৃষ্ঠা 314–318। ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৯।
- "New Caledonia - at the heart of the world's biggest lagoon</02.11>"। www.boat-duesseldorf.com। ২০১৬-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১।
- Centre, UNESCO World Heritage। "Chilika Lake"। UNESCO World Heritage Centre (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১৯।
- Chilika Development Authority (২০০৮)। "Fish Yield Status"। ৩০ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১১।
- Chilika Development Authority (২০০৮)। "Welcome to Chilika Lagoon"। ১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৬।
- "Dolphin population rises to 152 in Chilika lake in Orissa"। The Times Of India। ২২ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২৩।