চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ইতিহাস

এই নিবন্ধটি চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ইতিহাস সম্পর্কিত।

চিরায়ত বলবিজ্ঞানের অগ্রদূত

প্রাচীন ধারণা

এরিস্টটলের গতির সূত্র। পদার্থবিজ্ঞানে তিনি বলেছেন যে, পতনশীল বস্তুর গতি তার ওজনের সমানুপাতিক এবং মাধ্যমের ঘনত্বের ব্যস্তানুপাতিক। পৃথিবীতে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কারনে বায়ু বা পানিতে চলমান বস্তুর ক্ষেত্রে এই অনুমান সঠিক।[1]

প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক, বিশেষত এরিস্টটলই প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন যে বিমূর্ত নীতি প্রকৃতিকে পরিচালনা করে। অ্যারিস্টটল তার অন দ্য হ্যাভেনস গ্রন্থে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, পার্থিব বস্তুসমূহ তাদের "প্রাকৃতিক স্থানে" উত্থিত বা পতিত হয় এবং একটি তত্ত্ব হিসাবে সঠিকভাবে বলেছিল যে, কোনও বস্তুর পতনের গতি তার ওজনের সাথে সমানুপাতিক এবং মাধ্যমের ঘনত্বের সাথে ব্যস্তানুপাতিক।[1]

এরিস্টটল যুক্তি ও পর্যবেক্ষণে বিশ্বাসী হলেও পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বিকশিত হয়েছিল আরও আঠারো শতাধিক বছর পর ফ্রান্সিস বেকনের হাতে যা তিনি ভাক্সেশন অব নেচার বলে অভিহিত করেছিলেন।[2]

এরিস্টটল প্রাকৃতিক গতি এবং জোর প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট গতির মধ্যে পার্থক্য দেখেছিলেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে 'শূন্যস্থানে' স্থির বস্তু স্থির থাকবে [3] এবং গতিশীল বস্তু সমগতিতে চলতে থাকবে।[4] এভাবে বিবেচনা করলে, এরিস্টটলই সর্বপ্রথম জড়তার সূত্রের দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে শূন্যস্থানের উপস্থিতি অসম্ভব কারণ আশেপাশের বাতাস তাড়াতাড়ি তা পূরণ করতে ছুটে আসবে। তিনি আরও বিশ্বাস করতেন যে প্রয়োগকৃৎ বল অপসারণের পর কোনও বস্তুর অপ্রাকৃতিক দিকে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তীকালে এরিস্টটোলীয়রা ধনুক থেকে নিক্ষেপের পর কেন একটি তীর বায়ুতে উড়ে যেতে থাকে তার একটি বিশদ ব্যাখ্যা তৈরি করে। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল যে ধনুক থেকে নিক্ষেপের মুহূর্তে তীর একটি শূন্যস্থান সৃষ্টি করে, যাতে বায়ু ছুটে যায় এবং পেছন থেকে তীরটিকে ধাক্কা দেয়। এরিস্টটলের বিশ্বাসগুলি স্বর্গের সুষম বৃত্তীয় গতির পরিপূর্ণতার বিষয়ে প্লেটোর শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। ফলস্বরূপ, তিনি একটি প্রাকৃতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে কল্পনা করেছিলেন যাতে স্বর্গীয় গতিসমূহ অপরিহার্যভাবে নিখুঁত যা পরিবর্তনশীল উপাদানের পার্থিব জগতের বিপরীত।

গ্যালিলিও পরে পর্যবেক্ষণ করেন যে, "বায়ুর বাঁধা দুইভাবে প্রদর্শিত হয়: প্রথমত, অধিক ঘনত্বের বস্তুর তুলনায় কম ঘনত্বের বস্তুর ক্ষেত্রে বৃহত্তর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে, এবং দ্বিতীয়ত, একই বস্তু ধীর গতিতে থাকাকালে যে বাঁধা প্রদান করে দ্রুত গতিতে থাকাকালে তার থেকে বৃহত্তর বাঁধা প্রদানের মাধ্যমে"।[5]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Rovelli, Carlo (২০১৫)। "Aristotle's Physics: A Physicist's Look"। Journal of the American Philosophical Association1 (1): 23–40। arXiv:1312.4057অবাধে প্রবেশযোগ্যডিওআই:10.1017/apa.2014.11
  2. Peter Pesic (মার্চ ১৯৯৯)। "Wrestling with Proteus: Francis Bacon and the "Torture" of Nature"। Isis। The University of Chicago Press on behalf of The History of Science Society। 90 (1): 81–94। জেস্টোর 237475ডিওআই:10.1086/384242
  3. Aristotle: On the Heavens (de Caelo) book 13, section 295a
  4. Aristotle:Physics Book 4 On motion in a void
  5. Galileo Galilei, Dialogues Concerning Two New Sciences by Galileo Galilei. Translated from the Italian and Latin into English by Henry Crew and Alfonso de Salvio. With an Introduction by Antonio Favaro (New York: Macmillan, 1914). Chapter: The Motion of Projectiles
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.