চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ন শাখা। অস্বাভাবিক আচরনের গতিপ্রকৃতি ও তার ব্যাখ্যা, মানসিক রোগের লক্ষন, কারন ও তার চিকিৎসা পদ্ধতিপ্রভৃতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান মূল বিষয়।[1]

এটি মনোবিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রায়োগির শাখা। আমেরিকান মনোবিজ্ঞানীগণের আটত্রিশ ভাগ মানসিক রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত। মনোবিজ্ঞানের এই শাখায় মনোবিকৃতির চিকিৎসা ,মানসিক রোগীদের পরামর্শদান , রোগের কারণ- উৎস ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশেও বর্তমানে কিছু চিকিৎসক মনোবিজ্ঞানী মানসিক রোগীদের সমস্যা নিয়ে কাজ করেন।

একজন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীকে সাধারণ মনোবিজ্ঞান , মনোবিজ্ঞান এবং ভেষজ শাস্ত্র শারীরবিদ্যা এসব বিষয়ে জানতেও গবেষণা করতে হয়। শারীরবিদ্যা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা তাদের জন্য আবশ্যক।য় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীগণ শিশুর আচরণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইতিহাস

মানসিক রোগ চিকিৎসার ইতিহাস বেশ পুরাতন। প্রাচীনকালে মানসিক রোগী কে স্বাভাবিক মানুষ থেকে আলাদা ভাবে দেখা হতো। মনে করা হত তাদের ওপর ডাইনি বা অশরীর শক্তি বা অপদেবতা ভর করেছে। বর্তমানে এই সকল প্রাচীন ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। ফলশ্রুতিতে গড়ে উঠেছে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান।[2]

তথ্যসূত্র

  1. কুমার মন্ডল, যোগেন্দ্র। মনোবিজ্ঞান। ঢাকা: হাসান বুক হাউস। পৃষ্ঠা ১৫।
  2. রহমান, মো: তবিউর। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান। ঢাকা, বাংলাদেশ: প্রত্যয় পাবলিকেশন্স। আইএসবিএন 9789849184386।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.