চার্লি হলোস
চার্লস হলোস (ইংরেজি: Charlie Hallows; জন্ম: ৪ এপ্রিল, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ১০ নভেম্বর, ১৯৭২) ল্যাঙ্কাশায়ারের বোল্টনের কাছাকাছি লিটল লেভার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও স্লো-লেফট আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন চার্লি হলোস।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | লিটল লেভার, ল্যাঙ্কাশায়ার | ৪ মে ১৮৯৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১০ নভেম্বর ১৯৭২ ৭৭) বোল্টন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো-লেফট আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২০৩) | ২৩ জুলাই ১৯২১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৩ জুন ১৯২৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ আগস্ট ২০১৮ |
কাউন্টি ক্রিকেট
দীর্ঘদেহের অধিকারী চার্লি হলোস ১৯২০-এর দশকে ল্যাঙ্কাশায়ারের সফলতার যুগে আক্রমণধর্মী ব্যাটিং উপস্থাপনা করে স্মরণীয় ভূমিকা রেখে গেছেন। ১৯২৭ ও ১৯২৮ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ের বছরে ইংল্যান্ডের শীর্ষ অর্ধ-ডজন ব্যাটসম্যানের অন্যতম ছিলেন। ইনিংস প্রতি ৪০-এর বেশি রান তুলেছেন চার্লি হলোস।
১৯২৮ সালে মে মাসে সহস্রাধিক রান তুলেছিলেন। এ অসামান্য অর্জন কেবলমাত্র ডব্লিউ জি গ্রেস ও ওয়ালি হ্যামন্ড করতে পেরেছিলেন।[1] মে মাসে শেষ ইনিংসে সহস্র রান পূরণের জন্য তার ২৩২ রানের দরকার ছিল। তিনি এ রান তুলতে পেরেছিলেন ও পরের বলেই আউট হন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯২৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন।[2]
টেস্ট ক্রিকেট
ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সফলতা পেলেও ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র দুইটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ১৯২১ সালে একবার ও ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। সর্বসাকুল্যে ৪২ রান তুললেও একবার মাত্র আউট হয়েছিলেন।
তবে চার বছরের মধ্যেই তার খেলার মান নিচেরদিকে গড়াতে থাকে। ৩৭ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ার দল থেকে বিতাড়িত হন। এরপর ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসের লীগ ক্রিকেটে ক্লাব দলে পেশাদারী পর্যায়ের খেলায় অংশ নেন।
অবসর
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ওরচেস্টারশায়ারের কোচের দায়িত্বে ছিলেন চার্লি হলোস। এরপর একই দায়িত্ব নিয়ে ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থান করেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ৭৪ বছর বয়সে অবসর নেন।
১০ নভেম্বর, ১৯৭২ তারিখে বোল্টনে ৭৭ বছর বয়সে চার্লি হলোসের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- Eight cricketers – W. G. Grace in 1895, Tom Hayward in 1900, Wally Hammond in 1927, Hallows in 1928, Don Bradman in 1930 and 1938, Bill Edrich in 1938, Glenn Turner in 1973 and Graeme Hick in 1988 – scored 1,000 before the end of May, but all except these three scored some of their runs in April.
- "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে চার্লি হলোস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে চার্লি হলোস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)