চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ

চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ ("সিনেমা হল", "হল" নামেও পরিচিত) বলতে এমন একটি স্থান (সাধারণত একটি ভবন) বোঝায়, যার ভেতরে অবস্থিত একটি মিলনায়তনে বা প্রদর্শনী কক্ষে বিনোদনের উপলক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও অবলোকন করা হয়। বেশির ভাগ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নির্মিত এবং এগুলিতে প্রবেশ করতে হলে দর্শনী দিয়ে প্রবেশপত্র বা টিকেট কিনতে হয়। তবে কিছু স্বল্প সংখ্যক চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ অলাভজনক সংগঠন বা সমিতি দ্বারা পরিচালিত এবং এগুলিতে ঢুকতে আলাদা প্রবেশপত্র লাগে না, তবে একটি সদস্য ফি দেওয়া লাগে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি অঙ্গরাজ্যের পপলার ব্লাফ শহরে অবস্থিত রজার্স থিয়েটার (Rodgers Theatre) নামক প্রেক্ষাগৃহ। আর্ট ডেকো শৈলীতে নির্মিত এই চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহটি ১৯৪৯ সালে চালু হয়।
অস্ট্রেলিয়ার একটি চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের অভ্যন্তরভাগ

প্রেক্ষাগৃহে একটি চলচ্চিত্র প্রক্ষেপক যন্ত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটিকে একটি বড় পর্দাতে সম্পাত করে দেখানো হয়। পর্দার সামনে মিলনায়তনের দর্শকেরা বসে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন। চলচ্চিত্রের কথোপকথন, শব্দ ও সঙ্গীতগুলি দেওয়ালে লাগানো বেশ কিছু শব্দপ্রক্ষেপক বা স্পিকারের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়। ১৯৭০-এর দশক থেকে নিম্ন কম্পাঙ্কের শব্দের জন্য সাব-উফার ধরনের শব্দপ্রক্ষেপক ব্যবহার করা হয়। ২০১০-এর দশকে এসে বেশির ভাগ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহতে ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রক্ষেপণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ভারী রিলে ফিতায় ধারণকৃত চলচ্চিত্র তৈরি ও প্রদর্শনের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।

বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহেই প্রদর্শন পর্দাবিশিষ্ট একাধিক কক্ষ বা মিলনায়তন থাকে। একটি মিলনায়তনে দর্শকের আসনগুলি একটি ঢালু মেঝের উপরে সজ্জিত থাকে, যেখানে মেঝের সর্বনিম্ন অংশটি একেবারে পর্দার সামনে এবং সর্বোচ্চ অংশটি পর্দা থেকে দূরে থাকে। অনেক সময় দর্শকদের কাছে কোমল পানীয়, ভূট্টার মুড়ি বা "পপকর্ন" এবং মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য এমনকি ঝটপট খাবারও দেওয়া হয়। কিছু প্রেক্ষাগৃহে মদ্যপানীয় বিক্রি করার অনুমতি আছে।

টীকা

    তথ্যসূত্র

      বহিঃসংযোগ

      This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.