চড়াইদেও জেলা
চড়াইদেও জেলা (অসমীয়া: চৰাইদেউ জিলা) অসমে নবগঠিত একটি জেলা। ২০১৫ সনের ১৫ই আগস্ট তারিখে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ শিবসাগর জেলার চড়াইদেও মহকুমাকে নতুন জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।
চরাইদেউ জেলা Charaideo District চে-তাম-ডয় চৰাইদেউ জিলা | |
---|---|
জেলা | |
দেশ | India |
রাজ্য | অসম |
সদর স্থান | সোণারি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় মান সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
চড়াইদেও নামের ব্যুৎপত্তি
চড়াইদেও বা আসামীয়া বানানে চরাইদেউ নামের উৎপত্তি তাই ভাষা চে-তাম-ডয় থেকে হয়েছে। লিখিত আছে যে স্বর্গদেউ চ্যাও-ল্যুং-চ্যুকাফা পাটকাই পাহাড় অতিক্রম করে এখানেই প্রথম রাজ্য স্থাপন করেছিলেন। তিনি এখানকার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে চে-তাম-ডয় নামকরণ করে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন । যার অর্থ পাহাড়ের প্রদেশ। কালক্রমে এই স্থান স্থানীয়ভাবে চরাইদেউ নামে ও বাংলায় চড়াইদেও নামে বিখ্যাত হয়ে উঠে।
যাতায়ত
স্থলপথ
ঐতিহাসিক স্থান হওয়ায় জেলাটিতে বহুপ্রাচীন রাজা নির্মিত পথ রয়েছে। যদিও মুখ্য পথরুপে ধোদর আলি ব্যবহার করা হয়। পথটি শিবসাগর জেলা, গোলাঘাট জেলা, নাজিরা, বালিঘাট, শিমলুগুরি ও নামরুপকে সংযুক্ত করেছে। তাছাড়াও ৩৭নং জাতীয় সড়ক দ্বারা পথটি সংযুক্ত। ইতিহাস মতে আহোম সাম্রাজ্যের রাজত্ব কালে পাইক প্রথার প্রচলন ছিল। পাইকের দ্বায়িত্ব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বহু অসাধু লোক ভকতের বেশে সত্রসমূহে বিনা পরিশ্রমে জীবিকা-নির্বাহ করিত। গদাধর সিংহ এই ভণ্ড ভকত বা ধোদরকে চিনাক্ত করেন ও এই পথ নির্মাণের কাজে নিয়োগ করেন[1]। ফলে গোলাঘাট জেলার কমারবন্ধা থেকে ডিব্রুগড় জেলার জয়পুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই পথটির নাম ধোদর আলি নামে নামকরণ করা হয় । আরেকটি ঐতিহাসিক পথ নাহর আলি যা সোণারি নগরে সংযুক্ত হয়েছে।
রেলপথ
শিমলুগরি জংশন চরাইদেউ জেলার প্রধান রেল জংশন। অন্যান্য স্টেশনের মধ্যে সোনারির ভজো ও নামরুপ স্টেশন উল্লেখযোগ্য।
বায়ুপথ
মোহনবাড়ি বিমনবন্দর ও ডিব্রুগড় বিমানবন্দর চরাইদেউ জেলাকে বায়ুপথ দ্বারা সংযুক্ত করেছে। পবন হংস নামক সরকারী বিমানসেবাও এখানে আছে।
তথ্যসূত্র
- "List of Mediaeval Monuments Of Jorhat"। ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ December 02, 2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)