চরফ্যাশন উপজেলা

চরফ্যাশন বাংলাদেশের ভোলা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা, যা ৫টি থানার অধীনে ১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি বরিশাল বিভাগ এর অধীনে ভোলা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত। এটি কৃষি ও জেলে ভিত্তিক অঞ্চল। কৃষি কাজের মধ্যে প্রধানত ধান, ডাল, আলু, সুপারি, নারকেল ইত্যাদির চাষ করা হয়ে থাকে।

চরফ্যাশন
উপজেলা
চরফ্যাশন
চরফ্যাশন
চরফ্যাশন
বাংলাদেশে চরফ্যাশন উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°১১′৪.৯২″ উত্তর ৯০°৪৫′৪৫.০০″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাভোলা জেলা
আসনভোলা-৪
আয়তন
  মোট১,১০৬.৩১ বর্গকিমি (৪২৭.১৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট৪,৫৬,৪৩৭
  জনঘনত্ব৪১০/বর্গকিমি (১,১০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৮৩৪০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ০৯ ২৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

এই উপজেলায় মেঘনা নদী ও তেতুলিয়া নদীর মোহনায় কয়েকশ বছর আগে জেগে ওঠা চর কুকরী মুকরীতে চর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে রয়েছে হরিণ। এ ছাড়া রয়েছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া, বন মহিষ, বানর, বনবিড়াল, উদবিড়াল, শেয়াল, বনমোরগ সহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।

উপজেলায় চিত্তাকর্ষক স্থানের মধ্যে রয়েছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত[2] এবং উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ওয়াচ টাওয়ার জ্যাকব টাওয়ার [3] বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ উপজেলা ভোলা-৪ এর অন্তর্ভুক্ত, যা চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা নিয়ে গঠিত এবং এটি ১১৮ নং সংসদীয় আসন হিসেবে চিহ্নিত।[4]

অবস্থান

চরফ্যাশন উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২২.১৮৬৭° উত্তর ৯০.৭৬২৫° পূর্ব / 22.1867; 90.7625। এটি ভোলা জেলার সর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। এ উপজেলার আয়তন ১,৪৪০.০৪ বর্গ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর মূল ভূ-খণ্ডের উচ্চতা ১১ থেকে ১৮ ফুট। এ উপজেলার উত্তরে লালমোহন উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে মনপুরা উপজেলাবঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে তেতুলিয়া নদীপটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলা ও গলাচিপা উপজেলা[5] 

ইতিহাস

১৮৮৫ সাল ১৮৮৭ পর্যন্ত সময়ে বাকেরগঞ্জ জেলার দায়িত্বশীল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর মিস্টার জে. এইচ ফ্যাশনের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৯২৯ সালে মার্চ মাসে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী বিশটি নতুন বাড়ির গোড়াপত্তন হয়। জেলা কর্তৃপক্ষ বাকেরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ভদ্র ও অভিজাত শ্রেণীর মুসলিম ও হিন্দু পরিবার কে চরফ্যাশন এনে বাড়ি ঘর বেঁধে বসবাস ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেন। মুসলিমদের আনা হয়েছে বাকেরগঞ্জ জেলার উলানিয়ার জমিদার পরিবার, পটুয়াখালী মহকুমার অন্তর্গত লোহালিয়া চৌধুরী পরিবার, মৌলানা নাসির আহমেদ খান পরিবার এবং উত্তর শাহবাজপূর মীর পরিবার থেকে। হিন্দুদের আনা হয়েছে মাধবপাশার হিন্দু রাজ বাড়ী থেকে। নয়টি মুসলিম ও এগারোটি হিন্দু মোট বিশটি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছিল ভদ্রপাড়া। এ সকল মুসলিম ও হিন্দু পরিবার এর কাজ করার জন্য দুটি মুসলিম উখরাইত পরিবার ও সাতটি হিন্দু উখরাইত পরিবার এনেছিলেন। তাদের নিয়ে গড়ে উঠেছে উখরাইত পাড়া। আমিনাবাদ ও ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝামাঝি স্থানে মুক্তিবাহিনীর ও পাকবাহিনীর মধ্যে এক যুদ্ধে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা হতাহত হয়। বরিশাল বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এটিও একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত অঞ্চল। প্রায় সকল ঘূর্ণিঝড়ে কম বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে ১৯৪১ ও ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বসে এ উপজেলার অনেক লোক মারা যায়।[6]

ভূ-প্রকৃতি

মাটির নিচের অংশ বিশ্লেষণ করে ভূতত্ত্ববিদরা অনুমান করেন অতীতে এটি দেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে একত্রে ছিল। ১৯০৫ থেকে ১৯০৮ সালে আসাম বেঙ্গল জরিপে কয়েকজন ভূ-তত্ত্ববিদের মতে এখানকার মাটি সমতল। এখানে কোন পাহাড়-পর্বত টিলা মালভূমি নেই। এখানে নদীর স্রোত থেকে থিথিয়ে পড়া মাটি বয়ে থেকে লতা-পাতা, কচুরিপানা ও আবর্জনা জমে এই ভূখণ্ডের ভিত্তি ভূমি রচিত হয়। এখানে মিশ্র ও দো-আঁশ মাটি এবং বেলে মাটির অস্থিত্ব রয়েছে। এখানে শিলা মাটি বা গ্রানাইড এর উপস্থিতি দেখা যায় না। [7]

প্রশাসন

প্রশাসন থানা সৃষ্টি করে ১৯৭০ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে। চরফ্যাশন উপজেলায় রয়েছে ১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন।

সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মোট ৪টি থানার আওতাধীন।

ক্রম নং প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকা
০১ চরফ্যাশন থানা পৌরসভা (১টি): চরফ্যাশন
ইউনিয়ন (৭টি): ১নং ওসমানগঞ্জ, ২নং আছলামপুর, ৩নং চর মাদ্রাজ, ৪নং জিন্নাগড়, ৫নং আমিনাবাদ, ১৮নং আব্দুল্লাহপুর এবং ২০নং ওমরপুর
০২ দুলারহাট থানা ইউনিয়ন (৫টি): ৬নং নীলকমল, ৭নং নুরাবাদ, ১৬নং মুজিবনগর, ১৭নং আবুবকরপুর এবং ২১নং আহম্মদপুর
০৩ শশীভূষণ থানা ইউনিয়ন (৫টি): ৮নং চর কলমী, ১০নং হাজারীগঞ্জ, ১১নং রসুলপুর,১৩নং এওয়াজপুর এবং ১৪নং জাহানপুর
০৪ দক্ষিণ আইচা থানা ইউনিয়ন (৪টি): ৯নং চর মানিকা, ১২নং কুকরী মুকরী, ১৫নং নজরুলনগর এবং ১৯নং ঢালচর

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯৯০ সালের ১৭ নভেম্বর ‘‘গ’’ শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে চরফ্যাশন পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে এটি ‘‘খ’’ ও সর্বশেষ ‘‘ক’’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়।আয়তন ১৯.৫০ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ৪০,০০০ জন। সাক্ষরতার হার ৭৫%। সর্বশেষ নির্বাচনে মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং চরফ্যাশন সংসদীয় আসনটি তৈরি করা হয়। প্রথম নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির সাদ জগলুল হায়দার। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনায়নে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ, সপ্তমঅষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম নির্বাচিত হন। নবম, দশমএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব নির্বাচিত হন।

এখানে রয়েছে অসংখ্য দ্বীপ; এর মধ্যে চর কুকরী-মুকরী, ঢালচর, চরনিজাম, চরপাতিলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চরফ্যাশন উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৪,৫৬,৪৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,২৮,৬৯৩ জন এবং মহিলা ২,২৭,৭৪৪ জন। মোট পরিবার ৯৪,৬৪৯টি।[8]

শিক্ষা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চরফ্যাশন উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪৩.৫%।[8]

উল্লেখযোগ্য প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চরফ্যাশন সরকারি কলেজ (১৯৬৮), ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজ (১৯৯৩), হাজারীগঞ্জ হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, আমিনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৮), চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৮), চরফ্যাশন সরকারি ট্যাফনল ব্যারেট (টিবি) মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩২), চরফ্যাশন চেয়ারম্যান হায়দার মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩২), চরফ্যাশন কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসা (১৯৪৫),পূর্ব ওমরাবাজ মোহাম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসা (১৯৭৯), পশ্চিম জিন্নাগড় নুরীয়া আলিম মাদ্রাসা (১৯৮৩)[9]

চরফ্যাশন উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের অন্য সব শহরের মতই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধানত পাঁচটি ধাপ রয়েছে: প্রাথমিক (১ থেকে ৫), নিম্ন মাধ্যমিক (৬ থেকে ৮), মাধ্যমিক (৯ থেকে ১০), উচ্চ মাধ্যমিক (১১ থেকে ১২) এবং উচ্চ শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদী হয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়, ৩ বছর মেয়াদী নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক শিক্ষা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়।

মূলত বাংলা ভাষায় পাঠদান করা হয় তবে ইংরেজি ব্যাপকভাবে পাঠদান ও ব্যবহৃত হয়। অনেক মুসলমান পরিবার তাদের সন্তানদের বিশেষায়িত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন মাদ্রাসাতে প্রেরণ করেন। মাদ্রাসাগুলোতেও প্রায় একই ধরনের ধাপ উত্তীর্ণ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন শিক্ষার্থী সাধারণত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। চরফ্যাশন উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারি একটি ও বেসরকারি একাধিক কলেজ রয়েছে যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স, বিএ ও এমএ ডিগ্রি প্রদান করে।

বর্তমানে এখানে সরকারী বেসরকারী প্রাথমিক হতে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

  • কলেজ - ৬টি
  • মাধ্যমিক স্কুল - ২৬টি
  • নিম্নমাধ্যমিক স্কুল - ২২টি
  • মাদ্রাসা - ৭০টি
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় (সরকারি) - ২১২টি
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় (বেসরকারি) - ৭৭টি

এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।[10]

অর্থনীতি

জনগোষ্ঠীর প্রধান আয়ের উৎস  কৃষি ৬৮.০৯%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৮১%, শিল্প ০.২৩%, ব্যবসা ১০.৪৪%, পরিবহন ও যোগাযোগ ১.৯৬%, চাকরি ৪.৪৫%, নির্মাণ ১.০৮%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৮.৩১%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, মরিচ, ডাল, চিনাবাদাম, সুপারি, পাট, তিল, তিসি, সূর্যমুখী।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, সুপারি, তরমুজ।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার ও হ্যাচারি রয়েছে।

কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠের কাজ, বেতের কাজ করে থাকে।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, মরিচ, ডাল, চিনাবাদাম, সুপারি, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ।

ব্যাংক

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জীবনীশক্তি হলো ব্যাংক এবং এই ব্যাংকগুলো দেশের মুদ্রাবাজারকে রাখে গতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে করে পরিশীলিত। চরফ্যাশন উপজেলায় অবস্থিত ব্যাংকসমূহের তালিকা উল্লেখ করা হলো:

স্বাস্থ্য

চরফ্যাশন উপজেলায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসতাপাতাল নির্মানাধীন, যা পূর্বে ৫০ শয্যা ছিল।[18] দক্ষিণ আইচা থানাদুলারহাট থানায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে।[19] এছাড়া সরকারি ২৮টি, বেসরকারী একাধিক ক্লিনিক আছে।

সংস্কৃতি

  • মসজিদ - ৭০১টি,
  • মন্দির - ৫টি,
  • সাংস্কৃতিক সংগঠন - ৪টি (শ্রাবণী খেলাঘর আসর, সেতুবন্ধন খেলাঘর আসর, দেশ থিয়েটার ও মালঞ্চ নাট্যমঞ্চ)।

ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে একাধিক।

  • প্রতি বৈশাখ মাসের প্রথমে চরফ্যাশন স্টেডিয়াম এ মেলা বসে।

উল্লেখযোগ্য স্থান

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভোলা জেলা বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপ সড়ক পথে- ঢাকা থেকে ঢাকা-গুলিস্তান/যাত্রাবাড়ি/ফার্মগেইট জাতীয় মহাসড়কে হয়ে লক্ষ্মীপুর। লক্ষ্মীপুর থেকে সি.এস.জি/অটোরিক্সা/বাইক যোগে মজুচৌধুরীর হাট। মজুচৌধুরীর হাট থেকে বাস/অটো/সি.এন.সি/মাহেন্দ্রা/ট্যাক্সি যোগে মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ড। বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি চরফ্যাশন বাস স্ট্যান্ড। ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরিঘাট। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে বরিশাল। বরিশাল থেকে স্পীড বোট অথবা লঞ্চ অথবা বাস যোগে ভোলা। ভোলা থেকে বাস/অটো/সি.এন.সি/মাহেন্দ্রা/ট্যাক্সি যোগে চরফ্যাশন উপজেলা। নদী পথে- সদরঘাট থেকে সরাসরি চরফ্যাশন বেতুয়া ও ঘোষারহাট লঞ্চ যোগে আসা যায়। দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। যাত্রাসময় প্রায় ৮ ঘণ্টা। রেল পথে চরফ্যাশন উপজেলার সাথে সরাসরি কোন যোগাযোগ নাই।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে চরফ্যাশন উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫
  2. "পাখির কলতানে মুখর ভোলার তারুয়া দ্বীপ - অন্যান্য - The Daily Ittefaq"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  3. "উপমহাদেশের সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধন জানুয়ারিতে"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  4. "আসন বিস্তারিত"। ২০২০-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  5. "ভৌগোলিক অবস্থান"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  6. "উপজেলার ইতিহাস"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  7. ভোলার জেলার ইতিহাস পৃষ্টা- ১৩
  8. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৯
  9. "অবস্থান"। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  10. "একনজরে উপজেলা চরফ্যাশন"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  11. "অগ্রণী ব্যাংক - শাখাসমূহ"agranibank.org। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। ২৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  12. "জনতা ব্যাংক, চরফ্যাশন শাখা"jb.com.bd। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। Archived from the original on ২৪ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  13. "রূপালী ব্যাংক, চরফ্যাশন শাখা"rupalibank.org। রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। ৩১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  14. "সোনালী ব্যাংক - শাখাসমূহ"sonalibank.com.bd। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। ৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  15. "ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক - শাখাসমূহ"ucb.com.bd। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  16. "মধুমতি ব্যাংক - শাখাসমূহ"modhumotibankltd.com। মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  17. "ন্যাশনাল ব্যাংক, চরফ্যাশন শাখা"nblbd.com। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  18. "হাসপাতাল ও ক্লিনিক"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  19. "জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  20. "চরফ্যাশনে নতুন এক টুকরো বাংলাদেশ"সমকাল। ২৩ জানুয়ারি ২০১৮। ১৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.