চন্দ্রপ্রভ

জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, চন্দ্রপ্রভ ছিলেন বর্তমান কালচক্রার্ধের (‘অবসর্পিণী’ যুগ) ৮ম তীর্থঙ্কর। তাঁর পিতা ছিলেন ইক্ষ্বাকু-বংশীয় রাজা মহাসেন এবং মাতা ছিলেন রানি লক্ষ্মণা দেবী। তিনি চন্দ্রপুরীতে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় পঞ্জিকা অনুসারে তাঁর জন্মতিথিটি হল পৌষ কৃষ্ণা দ্বাদশী। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, চন্দ্রপ্রভ কর্মের সকল বন্ধন ছিন্ন করে একজন ‘সিদ্ধ’ (মুক্ত আত্মা) হয়েছিলেন।

চন্দ্রপ্রভ
৮ম জৈন তীর্থঙ্কর
চন্দ্রপ্রভের মূর্তি, চন্দ্রগিরি বাটিকা, তিজারা
অন্যান্য নামচন্দ প্রভু
পূর্বসূরিসুপর্শ্বনাথ
উত্তরসূরিপুষ্পদন্ত
রাজপরিবার
রাজবংশ/বংশইক্ষ্বাকু
পরিবার
পিতামাতামহাসেন (পিতা)
লক্ষ্মণা (মাতা)
্কল্যাণক / গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
জন্ম১০২১৯ বছর আগে
চন্দ্রপুরী
মোক্ষের স্থানশিখরজি
বৈশিষ্ট্য
বর্ণসাদা
প্রতীকঅর্ধচন্দ্র
উচ্চতা১৫০ ধনুষ (৪৫০ মিটার)
বয়স১,০০০,০০০ পূর্ব (৭০.৫৬ কুইন্টিলিয়ন বছর)
কেবলকাল
যক্ষবিজয়
যক্ষিণীজ্বালামালিনী

জীবন

জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, চন্দ্রপ্রভ ছিলেন বর্তমান কালচক্রার্ধের (‘অবসর্পিণী’ যুগ) ৮ম তীর্থঙ্কর[1] তাঁর পিতা ছিলেন ইক্ষ্বাকু-বংশীয় রাজা মহাসেন এবং মাতা ছিলেন রানি লক্ষ্মণা দেবী।[1] জৈন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে তাঁর জন্মতিথিটি হল পৌষ কৃষ্ণা দ্বাদশী। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, চন্দ্রপ্রভ কর্মের সকল বন্ধন ছিন্ন করে একজন ‘সিদ্ধ’ (মুক্ত আত্মা) হয়েছিলেন।

প্রতীক

চন্দ্রপ্রভ অর্ধচন্দ্র প্রতীক, নাগ বৃক্ষ, বিজয় বা শ্যাম (দিগম্বর মতে) ও বিজয় (শ্বেতাম্বর মতে) যক্ষ এবং জ্বালামালিনী (দিগম্বর মতে) ও ভৃকুটি (শ্বেতাম্বর মতে) যক্ষীর সঙ্গে যুক্ত।[2]

প্রধান মন্দির

  1. তিজারা জৈন মন্দির – ১৯৫৬ সালে চন্দ্রপ্রভের মূর্তি আবিষ্কৃত হওয়ার পর এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
  2. সোনাগিরি জৈন মন্দির, গোয়ালিয়র
  3. জৈনিমেডু জৈন মন্দির, কেরল
  4. নালিয়া জৈন দেরাসর, নালিয়া, গুজরাত
  5. সাবির কম্বড বসডি, মুদাবিদ্রি, কর্ণাটক
  6. ভিলোদা জৈন মন্দির – এই মন্দিরটি খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়।
  7. চন্দ্রাবতী, বারাণসী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত – গঙ্গাতীরস্থ এই মন্দিরটি একটি পুরনো মন্দির। এটি ৩০০-৪০০ বছরের পুরনো বলে মনে করা হয়।
  8. সোকারপেট, চেন্নাই – শ্বেত পাথরে নির্মিত এই মন্দিরটি চেন্নাই শহরের সোকারপেট এলাকায় মিন্ট স্ট্রিটে অবস্থিত। মন্দিরটি আবু পর্বতের দিলওয়াড়া মন্দিরের আদলে নির্মিত।
  9. নাগরাজা মন্দির, কন্যাকুমারী জেলা – এই জৈন মন্দিরটির নামানুসারে নাগেরকোইল শহরটি নামাঙ্কিত। সাম্প্রতিক কালে আবিষ্কৃত উৎকীর্ণ লিপিগুলি থেকে জানা যায় যে, খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত এটি একটি জৈন মন্দির ছিল। পরে এটি হিন্দু মন্দিরে রূপান্তরিত হয়।

ছবি

আরও দেখুন

পাদটীকা

  1. Tukol 1980, পৃ. 31।
  2. Tandon 2002, পৃ. 44।

তথ্যসূত্র

  • Tukol, T. K. (১৯৮০)। Compendium of Jainism। Dharwad: University of Karnataka।
  • Tandon, Om Prakash (২০০২) [1968], Jaina Shrines in India (1 সংস্করণ), New Delhi: Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India, আইএসবিএন 81-230-1013-3
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.