ঘোড়ামারা দ্বীপ

ঘোড়ামারা দ্বীপ [1][2] হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সুন্দরবন এলাকার একটি দ্বীপ। দ্বীপটি বর্তমানে ভাঙ্গন সমস্যার সমুখিন।[3] দ্বীপটি হুগলি নদীতে মুড়িগঙ্গা নদীর উৎস মুখে অবস্থিত।

ঘোড়ামারা দ্বীপ
দ্বীপ
ঘোড়ামারা দ্বীপ ,সঙ্গে লোহাচরা দ্বীপ
ঘোড়ামারা দ্বীপ ,সঙ্গে লোহাচরা দ্বীপ
ডাকনাম: ডুবন্ত দ্বীপ
ঘোড়ামারা দ্বীপ পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ঘোড়ামারা দ্বীপ
ঘোড়ামারা দ্বীপ
ঘোড়ামারা দ্বীপ ভারত-এ অবস্থিত
ঘোড়ামারা দ্বীপ
ঘোড়ামারা দ্বীপ
ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২.০৩° উত্তর ৮৮.১৬° পূর্ব / 22.03; 88.16
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাদক্ষিণ ২৪ পরগনা
আয়তন
  মোট২৫ বর্গকিমি (১০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011)
  মোট৩,০০০
  জনঘনত্ব১২০/বর্গকিমি (৩১০/বর্গমাইল)
ভাষা
  সরকারিবাংলা ভাষা
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+৫:৩০)
ওয়েবসাইটwb.gov.in
ঘোড়ামারা দ্বীপ
ভূগোল
অবস্থানবঙ্গোপসাগর
দ্বীপপুঞ্জসুন্দরবন
প্রশাসন
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাদক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা৩০০০

ভূগোল উপাত্ত

এই দ্বীপটি গঙ্গা ব-দ্বীপ এর অংশ।দ্বীপটি সমুদ্র সমতল থেকে ১ মিটার মত বা তারও কম উচু।এটি বঙ্গোপসাগর থেকে ৪০ কিমি উজানে হুগলি নদীতে অবস্থিত।এই দ্বীপের পশ্চিমে নয়াচর অবস্থিত এবং দক্ষিণ পূর্ব দিকে সাগর দ্বীপ অবস্থিত।

জনসংখ্যা

সাগর ব্লকের ওই ঘোড়ামারা দ্বীপে আছে প্রায় বারোশো পরিবারের বাস। আছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটার আর জন সংখ্যা ৫ হাজার মত ।আছে প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল, পঞ্চায়েত অফিস, পোস্ট অফিস, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সুফলা চাষের জমি। একটা সচ্ছল জনপদে যা যা থাকে— তার সবই আছে। কিন্তু, দ্বীপের আয়তন ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে! রোজই নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে তার সম্পদ।

ভাঙ্গন সমস্যা ও সমাধানের চেষ্টা

সাগর দ্বীপের[ উত্তরে এই ঘোড়ামারা। আর দুই দ্বীপের মাঝে ছিল আরও একটা দ্বীপ, তার নাম লোহাচরা। লোহাচরা ডুবে গেছে ।এখন একই আশঙ্কায় ঘোড়ামারা। ১৯৬৯ সাল থেকেই দ্বীপের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে সামান্য ভাঙ্গন হয়, বাঁধ দিয়ে তা সামাল দেওয়া গিয়েছিল। ২০১০ সালের পর থেকে দ্বীপের উত্তর পূর্বদিক প্রবল ভাঙ্গনের কবলে। বাঁশ-বালির বস্তার বাঁধ দিয়ে সামলানো যায়নি।[4] ভাটায় মুড়িগঙ্গার প্রবল স্রোত এবং জোয়ারে সমুদ্রের ঢেউ— এই দুয়ের কবলে দীর্ঘ দিন ধরেই ভাঙনকাল চলছে এখানে। প্রশাসনের হিসেবে ১৩০ বর্গকিলোমিটার থেকে এখন ক্ষয়ে ক্ষয়ে দ্বীপের আয়তন দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৫ বর্গকিলোমিটারে। যার ১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা আবার উপকূল-সংলগ্ন। ইতিমধ্যে অনেকে দ্বীপ ছেড়ে পুনর্বাসন নিয়েছেন অন্যত্র। কেউ পালিয়েছেন আরও দূরে। দ্বীপ ক্রমশ ছোট হয়েছে।

ঘোড়ামারার ভাঙন ঠেকাতে নানাবিধ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। কখনও গাছ বসিয়ে, কখনও খাঁচা লাগিয়ে ভূমিক্ষয় আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, কাজে দেয়নি কিছুই। সম্প্রতি ক্ষয়িষ্ণু এই দ্বীপে বিশেষ ধরনের এক ঘাস ‘ভেটিভার’ লাগিয়ে মাটি ক্ষয় রোধের চেষ্টায় নেমেছে প্রশাসন। দক্ষিণ ভারত থেকে আনা এই ঘাস স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে লাগানোও হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ভেটিভার মাটির উপরে চার-পাঁচ ফুট পর্যন্ত বাড়ে। মাটির তলায় ১২-১৫ ফুট পর্যন্ত খুবই শক্তিশালী ভাবে তা শিকড় চারায়। মাটিকে আঁকড়ে রাখে।

তথ্যসূত্র

  1. "নিশ্চিহ্নের পথে বঙ্গোপসাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপ"। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  2. "ঘোয়ামারা দ্বীপের অবস্থান"
  3. "তলিয়ে যাচ্ছে ঘোড়ামারা দ্বীপ"
  4. "আজ আছি, কাল নেই"
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.