ঘোড়াঘাট উপজেলা

ঘোড়াঘাট উপজেলা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

ঘোড়াঘাট
উপজেলা
ঘোড়াঘাট রংপুর বিভাগ-এ অবস্থিত
ঘোড়াঘাট
ঘোড়াঘাট
ঘোড়াঘাট বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ঘোড়াঘাট
ঘোড়াঘাট
বাংলাদেশে ঘোড়াঘাট উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°১৪′৪৮″ উত্তর ৮৯°১৩′২″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাদিনাজপুর জেলা
আয়তন
  মোট১৪৮.৬৭ বর্গকিমি (৫৭.৪০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা [1]
  মোট১,০৩,১১৯
  জনঘনত্ব৬৯০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ২৭ ৪৩
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলার দক্ষিণের সর্বশেষ উপজেলা এটি। জেলা সদর হতে এই উপজেলার দূরত্ব ৯৬ কিলোমিটার । এ উপজেলার উত্তরে নবাবগঞ্জ উপজেলারংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলাগাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলারংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে হাকিমপুর উপজেলা। এই উপজেলার আয়তন ৫৭.৩৭ বর্গমাইল বা ১৪৮.৭৪ বর্গ কিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকা

ঘোড়াঘাট উপজেলার মোট ৪টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা রয়েছে।

ইতিহাস

দিনাজপুর জেলা সদর থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদীর তীরে ঘোড়াঘাট উপজেলা অবস্থিত। ২০.১৪ থেকে ২৬.৩৮ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮.৮৬ থেকে ৮৯.১৯ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এর ভৌগলিক অবস্থান। ত্রিভুজাকার আকৃতরি মতো এই উপজেলার মোট ভূমির পরিমাণ ৩৬,৭৩৮ একর। আয়তস ৫৭.৩৭ বর্গমাইল। প্রাচীনকালে ঘোড়াঘাট কোন রাজার অধীনের শাসিত হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। জানা যায়, মহাভারতীয় যুগ ( ৫ হাজার বছর আগে) এই ক্ষুদ্র জনপদ মৎস দেশের অধীনে ছিল। তাছাড়া এ উপজেলায় মৌর্য যুগ, গুপ্ত শাসন, পাল শাসন, সেন আমল, তুর্কী শাসন, সুলতানী আমল, পাঠান আমল, মোগল শাসন, নবাবী আমল, ইংরেজ শাসনাধীনে ছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে এ অঞ্চল মুসলিম শাসনাধীনে আসে। বহুপীর, দরবেশ, আলেম, ধর্মপ্রচারক, যোদ্ধা, জ্ঞানীগুণী ও নানা পেশার মানুষের আগমণে সমৃদ্ধ হয়ে পড়ে এ ঘোড়াঘাট উপজেলা। উল্লেখ্য মধ্যযুগে এখানকার দূর্গে অনেক ঘোড়া ছিল। ঘোড়াগুলোকে নিয়মিত গোসল করানো হতো ঘাটে। তা থেকে এ স্থানের নাম ঘোড়াঘাট হয়েছে বলে সময়ের ধারণা। ঘোড়াঘাট প্রাচীন জনপদ হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পুরাকীর্তি থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। এ উপজেলায় ঐতিহাসকি স্থান ও প্রত্নতত্ত্বেরমধ্যে ঘোড়াঘাট দূর্গ, বারপাইকের গড়, বেলোয়া, দামোদরপর, সুরা মসজিদ ওবিভিন্ন পীর আওলিয়ার মাজার উল্লেখ যোগ্য।

জনসংখ্যার উপাত্ত

এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৩৭,৩৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯,১৪১ জন এবং মহিলা ৬৮,২৩৯ জন। লোকসংখ্যার ঘনত্ব ৭৯২ জন (বর্গকিলোমিটারে)। বাতসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২৬% । এখানে মোট পরিবারের সংখ্যা ৩০,০৭৭ টি।

শিক্ষা

ঘোড়াঘাটে, ঘোড়াঘাট সরকারী কলেজ সহ বেশকিছু স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো - ঘোড়াঘাট কে.সি পাইলট হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজ, নুরজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বরাতীপুর মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, রানীগঞ্জ ২য় দ্বিমুখী সরকারী স্কুল এন্ড কলেজ, ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,রানীগঞ্জ মহিলা কলেজ, ইত্যাদি।

অর্থনীতি

ঘোড়াঘাট উপজেলা চারটি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌরসভায় বিভক্ত। দেশের অন্যান্য উপজেলার মত এখানে একক কোন অর্থনৈতিক কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। থানা প্রশাসন ঘোড়াঘাটে হলেও উপজেলা ভবনসহ অন্যান্য কাঠামো ওসমানপুরে অবস্থিত। আবার প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হচ্ছে রানীগঞ্জ বাজার।

নদীসমূহ

এ উপজেলায় মাত্র দুটি নদী আছে। একটি করতোয়া অন্যটি মইলা নদী বা মরা করতোয়া। কিন্তু করতোয়া নদী প্রস্থে অনেক বড় মহিলা নদী থেকে। করতোয়া নদীর উপর দিয়ে একটি প্রস্থ বরাবর ব্রিজ আছে যার নাম তিরমুনি ব্রিজ নামে বিখ্যাত মূলত ঘোড়াঘাট এবং পলাশবাড়ী ব্যাবসাকেন্দ্রিক হিসেবে ব্রিজ টি বেশি ব্যাবহার হয়

দর্শনীয় স্থান

আফসারাবাদ কলনি রহিম শাহ বাবা ভান্ডারির পবিত্র রওজা শরিফ

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

গণ মাধ্যম

  • নোমান টিভি
  • আর্মি ক্যাবল টিভি
  • স্নেহা টিভি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "উপজেলা সর্ম্পকিত তথ্য : এক নজরে উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.