ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।
ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
![]() ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দির | |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থান | ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন |
শহর | রাজারহাট উপজেলা, কুড়িগ্রাম জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্বত্বাধিকারী | জমিদার শরৎচন্দ্র চৌধুরী |
কারিগরী বিবরণ | |
পদার্থ | ইট,সুরকি |
ইতিহাস
মূল জমিদার বাড়ি নিশ্চিহ্ন হলেও এখনো ঐতিহ্য ও স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে আজো ভগ্নদশায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ২০০ বছরের পুরনো ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দির। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার খিতাবখাঁ গ্রামে জমিদার শরৎচন্দ্র চৌধুরী এটি নির্মাণ করেন। একসময় বছরজুড়ে দুর্গোৎসব, লক্ষ্মী, বাসন্তী, গনেশ, কার্তিক, সরস্বতী, কালী, শিতলী, শিব পূজা, রথযাত্রাসহ নানা পূজা এবং ধর্মীয় উৎসবে মুখরিত থাকত মন্দিরটি। সকাল-সন্ধ্যা বাজত শঙ্খ ধ্বনি। মন্দিরে জমিদারবাড়ীর নারীরা দল বেঁধে পূজা করত। দূরদূরান্তের পূজারিরাও এতে অংশ নিতেন। জমিদার প্রথা বিলুপ্তির পরও অনেকদিন চলেছে পূজা-অর্চনা; কিন্তু স্বাধীনতার আগে জমিদারের উত্তরসূরিরা নিজ পরিবারে ভারতে পাড়ি জমানোর পর বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের সব ধর্মীয় কার্যক্রম। ফলে এসব এখন হারানো অতীত মাত্র।[1]
ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দির
প্রায় ২০০ বছর আগে জমিদার শরৎচন্দ্র চৌধুরী প্রাসাদের সন্নিকটে ইট সুরকি দ্বারা এটি নির্মাণ করেন। ১০০ ফুট গোলাকার ও ৫০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট নিখুঁত গাঁথুনি দ্বারা তৈরি মন্দিরটির নির্মাণশৈলীতে রাজ ঐতিহ্যের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের মন কাড়ে। আট দরজাবিশিষ্ট মন্দিরের ভেতর ও বাইরে অপরূপ কারুকার্যে গড়া পুরো অবকাঠামোটিই এখন ধ্বংসের সম্মুখীন। একসময় এ মন্দিরের উচ্চ শিখর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের শহর-গ্রামও দেখা যেত বলে জানায় এলাকাবাসী। কথিত রয়েছে, মন্দিরের মাথায় একটি মূল্যবান কষ্টিপাথর ও ভেতরে মূল্যবান সামগ্রী ছিল, যা কয়েক বছর আগে রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যায়।[2]
বর্তমান অবস্থা
রাজ প্রাসাদের শেষ চিহ্নটুকুও এখন আর অবশিষ্ট নেই। তবে ঐতিহ্যের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে মাথা উঁচিয়ে এখনও কালের সাক্ষী বহন করছে ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দিরটি।[3]
তথ্যসূত্র
- "ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ির ইতিহাস"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৩।
- "ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দির ইতিহাস"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৩।
- "ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ি"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৩।