গ্রেইম ওয়াটসন
গ্রেইম ডোনাল্ড ওয়াটসন (ইংরেজি: Graeme Watson; জন্ম: ৮ মার্চ, ১৯৪৫ - মৃত্যু: ২৪ এপ্রিল, ২০২০) ভিক্টোরিয়ার কিউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন গ্রেইম ওয়াটসন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্রেইম ডোনাল্ড ওয়াটসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিউ, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ৮ মার্চ ১৯৪৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৪ এপ্রিল ২০২০ ৭৫) বারাডু, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪১) | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ আগস্ট ১৯৭২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬) | ২৪ আগস্ট ১৯৭২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৬ আগস্ট ১৯৭২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৪/৬৫ | ভিক্টোরিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭১/৭২ - ১৯৭৪/৭৫ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬/৭৭ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ জুন ২০১৯ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
জাতীয় সেবায় অংশ নেন। কিন্তু ছাত্র অবস্থায় থাকায় তাকে এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম পর্যন্ত গ্রেইম ওয়াটসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ভিক্টোরিয়ায় খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান ও দ্রুত দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌসুমে ব্যাট ও বল হাতে যথেষ্ট সফল হন।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে মেলবোর্নে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৬/৬১।[2] এরপর ১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলেন। এরফলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শেফিল্ড শিল্ডে তিনটি ভিন্ন রাজ্য দলের পক্ষে খেলার গৌরব অর্জন করেন।[3]
১৯৭১-৭২ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। ১৯৭১-৭২, ১৯৭২-৭৩ ও ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে তিনবার শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা জয়ে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক দুই টেস্টে খেলেন। ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন তিনি। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় খেলায় টনি গ্রেগের বল মোকাবেলা করতে গিয়ে মুখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। চিকিৎসকের অবসর গ্রহণের উপদেশকে অগ্রাহ্য করে ছয় সপ্তাহ পরই পুনরায় খেলার জগতে ফিরে আসেন।
অংশগ্রহণকৃত সকল প্রথম-শ্রেণীর খেলায় আট সেঞ্চুরি সহযোগে ৩২.৬৮ গড়ে ৪,৬৭৪ রান তুলেন। এছাড়াও, ২৫.৩১ গড়ে ১৮৬ উইকেট পান। আটবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন গ্রেইম ওয়াটসন। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৬ তারিখে কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ আগস্ট, ১৯৭২ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর খেলা প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজের তিনটিতে অংশ নেন তিনি। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড গমন করেন।
১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ সফরে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান তুলেন। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে কিথ স্ট্যাকপোলের সাথে ৩০১ রান করেন। এ পর্যায়ে ২৩৪ মিনিটে ২৬ চার ও ৫ ছক্কা সহযোগে ২৩৪ রান তুলেছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে অস্ট্রেলিয়া একাদশ নয় উইকেটে জয় তুলে নেয়।[4] ফলশ্রুতিতে, প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ পান। খেলায় তিনি ০ ও ২ রান তুলেন। এরফলে দলের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাকে। পঞ্চম টেস্টে পুনরায় অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয় তার। সর্বোপরি, এ সফরটি চমৎকারভাবে কাটিয়েছিলেন।
অবসর
১৯৭৫ সালে সিডনিতে চলে যান। সেখানে তিনি বিপণন নির্বাহী হিসেবে কাজ করতে থাকেন। এ সময়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে ক্যারি প্যাকারের পরিচালনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ১৯৭৭-৭৮ ও ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে গুরুত্বহীন খেলায় অংশ নিয়েছিলেন গ্রেইম ওয়াটসন। এরফলে কার্যতঃ তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটে।
খেলার ধরন
সর্বক্রীড়ায় পারদর্শী হিসেবে গ্রেইম ওয়াটসন এএফএলে মেলবোর্নের পক্ষে খেলেন। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। ১৯৬৫ ও ১৯৬৬ সালের ভিক্টোরিয়ান ফুটবল লীগে (ভিএফএল) মেলবোর্নে পক্ষে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল খেলেছেন।[5] তিনটি রাজ্য দলের পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে তার সুনাম ছিল। মূলতঃ ভেজা উইকেটে তিনি কাটের মারে সবিশেষ দক্ষ ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
প্রশিক্ষিত স্থপতি ছিলেন। ক্রীড়া স্টেডিয়াম ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছেন। তন্মধ্যে, সিডনি অলিম্পিকের আশেপাশের এলাকা অন্যতম। ব্যক্তিগত জীবনে চারবার পাণিগ্রহণ করেছিলেন।[1]
২৪ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে ৭৫ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের বারাডু এলাকায় গ্রেইম ওয়াটসনের দেহাবসান ঘটে।[6]
তথ্যসূত্র
- Chappell, Ian। "Former Aussie cricketer passes away after cancer battle"। wwos.nine.com.au (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৫।
- "Victoria v South Australia in 1965/66"। CricketArchive।
- Cashman, p. 566.
- Wisden 1973, p. 308.
- The Encyclopedia of AFL 2005, p. 759.
- "Former Australia allrounder Graeme Watson dies at 75"। ESPNcricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০২০।
আরও দেখুন
গ্রন্থপঞ্জি
- Cashman, R. (ed.) (1996) The Oxford Companion to Australian Cricket, Oxford: Melbourne. আইএসবিএন ০১৯৫৫৩৫৭৫৮.
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গ্রেইম ওয়াটসন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে গ্রেইম ওয়াটসন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- এএফএল টেবিল পরিসংখ্যানে গ্রেইম ওয়াটসন (ইংরেজি)
- Brydon Coverdale, "Australia's Winter Allrounders: XI Test Cricketers who played Australian rules football at the highest level", Cricinfo, 28 May 2007