গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জে
গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জে (তিব্বতি: གཙོ་སྐྱེས་རྡོ་རྗེ, ওয়াইলি: gtso skyes rdo rje) (?- ১৫১০) তিব্বতের রিং-স্পুংস-পা রাজবংশের এক রাজপুরুষ ছিলেন, যিনি ১৪৯১ থেকে ১৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের উত্তরাধিকারীর নাবালকত্বের জন্য মধ্য তিব্বত শাসনের সুযোগ পান।
রাজত্ব
গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জে ছিলেন রিং-স্পুংস-পা রাজবংশের প্রথম রাজা নোর-বু-ব্জাং-পোর চতুর্থ পুত্র ছিলেন। নোর-বু-ব্জাং-পোর অপর এক পুত্র কুন-তু-ব্জাং-পো রিং-স্পুংস-পা রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা হিসেবে ক্ষমতালাভ করলে তিনি ইয়ার্লুং উপত্যকার খার্তোগ অঞ্চলটি শাসনের অধিকার পান।[1][2] ১৪৯১ খ্রিষ্টাব্দে রিং-স্পুংস-পা রাজবংশের তৃতীয় রাজা দোন-য়োদ-র্দো-র্জের আমলে ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের নবম রাজা ঙ্গাগ-গি-দ্বাং-পোর মৃত্যু হলে গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জে ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্ক্রা-শিস-গ্রাগ্স-পার নাবালকত্বের সুযোগে ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজ্যের অভিভাবক হয়ে যান।[3][4] রিং-স্পুংস-পা রাজবংশের রাজা দোন-য়োদ-র্দো-র্জে এবং ঐ বংশের রাজপুরুষ গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জে মধ্য তিব্বতের দ্বুস ও গ্ত্সাং উভয় অঞ্চলের শাসন করলেও ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতেই থাকে। গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জে দ্বস শাসন চলাকালীন দোন-য়োদ-র্দো-র্জে লাসা অধিকার করেন এবং কার্মা-ব্কা'-ব্র্গ্যুদ ধর্মসম্প্রদায়ের বৌদ্ধরা দ্গে-লুগস সম্প্রদায়ের বৌদ্ধদের লো-গ্সার বা তিব্বতী নববর্ষের দিনে উদ্যাপন করার জন্য স্মোন-লাম-ছেন-মো নামক উৎসব পালনে বাধা সৃষ্টি করে।[5] ১৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে দোন-য়োদ-র্দো-র্জের অনুমতিক্রমে ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্ক্রা-শিস-গ্রাগ্স-পা ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের পরবর্তী রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসলে গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জে অভিভাবকত্ব থেকে সরে আসেন। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে গ্ত্সো-স্ক্যেস-র্দো-র্জের মৃত্যু হলে দোন-য়োদ-র্দো-র্জের সঙ্গে ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্ক্রা-শিস-গ্রাগ্স-পার মধ্যে একটি সামরিক লড়াই শুরু হলেও দ্রুত তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র
- Giuseppe Tucci, Deb T'er Dmar Po Gsar Ma. Rome 1971, p. 223
- Giuseppe Tucci, Tibetan Painted Scrolls. Rome 1949, p. 642.
- Giuseppe Tucci, Tibetan Painted Scrolls. Rome 1949, p. 693.
- Tsepon W.D. Shakabpa, Tibet. A Political History. Yale 1967, p. 87-8.
- Per K. Sorensen & Guntram Hazod, Rulers on the Celestial Plain, Wien 2007, p. 502.