গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় বা গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ( ইংরেজি: Gauhati University; অসমীয়া: গুৱাহাটী বিশ্ববিদ্যালয় বা গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয়) ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অগ্রগামী ও প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। অসমের শিক্ষা, বৌদ্ধিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।

গুয়াহাটী বিশ্ববিদ্যালয়
নীতিবাক্যবিদ্যয়া সাধয়েৎ
ধরনসরকারী
স্থাপিত১৯৪৮ (1948)
আচার্যঅসমের রাজ্যপাল
উপাচার্যঅধ্যাপক মৃদুল হাজরিকা
অবস্থান, ,
ওয়েবসাইটhttp://www.gauhati.ac.in/

ইতিহাস

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘’’গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় অধিনিয়ম ১৯৪৭’’ ও অসম বিধান সভার বিধায়ক দ্বারা ১৯৪৮ সনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় অনুনয় আয়োগ ও অসম সরকারের যুগ্ম প্রচেষ্টার ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হয়েছিল। ১৯৪৮ সনের ২৬ জানুয়ারি সনে গুয়াহাটি কটন কলেজের সুডমার্সন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[1] কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন।

পরিসীমা

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন

গুহাহাটি বিশ্ববিদ্যালয় অসমের রাজধানী গুয়াহাটি শহরের জালুকবারী নামক স্থানে অবস্থিত। লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ বিমান বন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ও কামাখ্যা রেল স্টেশন থেক ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত । এই বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭ নং রাষ্ট্রীয় ঘাইপথ দ্বারা সংযুক্ত। এখানে ৩০০০ ছাত্র-ছাত্রী থাকার জন্য আবাস গৃহ এবং শিক্ষার্থী ও কর্মচারী থাকার জন্য সু-ব্যবস্থা আছে।

স্বীকৃতি

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় National Assessment and Accreditation Council (NAAC), Bangalore দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত ও ৪ষ্টার প্রাপ্ত ।

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীতটি ভূপেন হাজরিকা রচনা করেছেন৷ এই সংগীতটি প্রতেকটি অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পরিবেশন করা হয়। সংগীতটি নিচে উল্লেখ করা হ'ল-

জিলিকাব লুইতরে পার
এন্ধারর ভেটা ভাঙি প্রাগজ্যোতিষত বয়
জেউতি নিজরারে ধার
শত শত বন্তিরে জ্ঞানরে দীপালীয়ে
জিলিকাব লুইতরে পার

সাঁচিপাতে ভাষা দিব
চিফুঙে আশা দিব
রংঘরে মেলিব দুয়ার
সমাজে সাবটিব মহান মানবতা
বিজ্ঞানে আনিব জোঁয়ার

নতুনর গতি খেদি ডেকা গাভরু আমি
নির্ভীক কুরি শতিকার
অজ্ঞান চাকনৈয়া এফলীয়া করি থৈ
মারি যাওঁ জীবনর ডার
জিলিকাব লুইতরে পার ৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং অধ্যয়ন কেন্দ্র

কলা

  1. অসমীয়া বিভাগ
  2. অর্থনীতি বিভাগ
  3. শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগ
  4. ইংরেজি বিভাগ
  5. বুরঞ্জী বিভাগ
  6. রাজনীতি-বিজ্ঞান বিভাগ
  7. সমাজতত্ত্ব বিভাগ
  8. আরবিক বিভাগ
  9. বাংলা বিভাগ
  10. বড়ো বিভাগ
  11. ইংরেজি ভাষা শিক্ষণ বিভাগ
  12. বিদেশী ভাষা বিভাগ
  13. হিন্দী বিভাগ
  14. ভাষাতত্ত্ব বিভাগ
  15. গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান বিভাগ
  16. আধুনিক ভারতীয় ভাষা বিভাগ
  17. পার্সি বিভাগ
  18. দর্শন বিভাগ
  19. মনোবিজ্ঞান বিভাগ
  20. সংস্কৃত বিভাগ
  21. সাংবাদিকতা এবং গণ-সংযোগ অধ্যয়ন কেন্দ্র

বিজ্ঞান বিভাগ

  1. রসায়ন-বিজ্ঞান বিভাগ
  2. জীব-বিজ্ঞান বিভাগ
  3. গণিত বিভাগ
  4. পেট্রলিয়াম প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগ
  5. ভেষজ বিজ্ঞান বিভাগ
  6. পদার্থ-বিজ্ঞান বিভাগ
  7. পরিসংখ্যা বিভাগ
  8. পরিকলন অধ্যয়ন কেন্দ্র
  9. ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন কেন্দ্র
  10. জৈব-প্রযুক্তি অধ্যয়ন কেন্দ্র
  11. জৈব-তথ্যপ্রযুক্তি অধ্যয়ন কেন্দ্র
  12. ভূগোল অধ্যয়ন কেন্দ্র
  13. নৃতত্ত্ব বিভাগ
  14. কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ
  15. লোকসংস্কৃতি
  16. Department of Electronics and Communication Technology

গ্রন্থাগার

১৯৪৮ সনে গুয়াহাটির চান্দমারীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৬২ সনে চান্দমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নানান্তর হয়েছিল। ১৯৮২ সনে গ্রন্থগারটি প্রথম উপাচার্যের নামে কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ গ্রন্থগার নামকরণ করা হয়। বর্ত্তমান গ্রন্থগারটিতে ২৫৯৪৯০ টি গ্রন্থ সংগৃহিত করা আছে যার মধ্যে ১০২২১২টি BOUND PERIODICALS, ২২৫০টি গবেষণা গ্রন্থ, ৬৯০৮টি প্রতিবেদন ও নিবন্ধ এবং ৩০৬ টি মানচিত্র পুস্তকের অন্তর্গত। এই গ্রন্থগারে কম্পিউটার দ্বারা গ্রন্থ অনুসন্ধান করার সুবিধা আছে ও দৈনিক খবরের কাগজ ও পত্রিকা পাঠ করার ব্যবস্থা আছে।

তথ্যসূত্র

  1. "A d m i n i s t r a t i o n"। Gauhati.ac.in। ২০১২-০২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.