গোলাম ইসহাক খান
গোলাম ইসহাক খান (উর্দু: غلام اسحاق خان; জন্ম: ২০ জানুয়ারি, ১৯১৫ - মৃত্যু: ২৭ অক্টোবর, ২০০৬) বান্নুতে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের বিশিষ্ট সরকারি চাকুরীজীবি ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ মেয়াদে পাকিস্তানের ৭ম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাকে পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাধর বেসরকারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনে করা হয়।[1]
গোলাম ইসহাক খান غلام اسحاق خان | |
---|---|
পাকিস্তানের ৭ম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৭ আগস্ট, ১৯৮৮ – ১৮ জুলাই, ১৯৯৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | বেনজীর ভুট্টো (১৯৮৮-৯০) নওয়াজ শরীফ (১৯৯০-৯৩) |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক |
উত্তরসূরী | ফারুক লেঘারি |
২য় সিনেট সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ২১ মার্চ, ১৯৮৫ – ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | হাবিবুল্লাহ খান |
উত্তরসূরী | ওয়াসিম সাজ্জাদ |
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৮ – ২১ মার্চ, ১৯৮৫ | |
রাষ্ট্রপতি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
পূর্বসূরী | আব্দুল হাফিজ পিরজাদা |
উত্তরসূরী | মাহবুব উল হক |
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব | |
কাজের মেয়াদ ১২ অক্টোবর, ১৯৭৫ – ৫ জুলাই, ১৯৭৭ | |
রাষ্ট্রপতি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
প্রধানমন্ত্রী | জুলফিকার আলী ভুট্টো |
পূর্বসূরী | ফজল মুকীম খান |
উত্তরসূরী | গোলাম জিলানী খান |
পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ২২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ – ৩০ নভেম্বর, ১৯৭৫ | |
রাষ্ট্রপতি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
প্রধানমন্ত্রী | জুলফিকার আলী ভুট্টো |
পূর্বসূরী | শাকুর দুররানী |
উত্তরসূরী | উসমান আলী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গোলাম ইসহাক খান ২০ জানুয়ারি ১৯১৫ ইসমাইল খেল, নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে - খাইবার পাখতুনখা, পাকিস্তান) |
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ৯১) পেশোয়ার, খাইবার পাখতুনখা, পাকিস্তান | (বয়স
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
রাজনৈতিক দল | স্বতন্ত্র |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসসি) সিভিল সার্ভিস একাডেমি |
ধর্ম | ইসলাম |
প্রারম্ভিক জীবন
ব্রিটিশ ভারত সাম্রাজ্যের নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রদেশের বান্নু জেলার ইসমাইল খেল এলাকায় তার জন্ম।[2][3] তিনি বাঙ্গাস পশতুন জনগোষ্ঠীর লোক। অদ্যাবধি তার পরিবার রাজনীতি সক্রিয় রয়েছে। ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যায় দ্বৈত স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[2][4]
কর্মজীবন
শুরুতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীর সন্ধান করলেও ১৯৪১ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ব্রিটিশ ভারতের পক্ষে বিভিন্ন প্রাদেশিক দায়িত্ব পালন করেন।[4] ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর ১৯৫৫ পর্যন্ত সেচ অধিদপ্তরের সচিব ছিলেন।[2] ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সভাপতি মনোনীত হন। এরপর ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ মেয়াদে অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।[5] ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সকল পদের প্রধান হিসেবে রাখা হয়।[6] ঐ একই সালে রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো কর্তৃক সাম্যবাদের ছোঁয়া থেকে দূরে রাখতে স্টেট ব্যাংকের গভর্নর মনোনীত হন।[7] ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের পরমাণু পরিকল্পনায় তাকে প্রতিরক্ষা সচিব পদে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়া-উল-হক সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রধান হন। ১৯৮৫ সালে সিনেট সভাপতি হন। জিয়ার মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন ও ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে ইসলামী জাহুরি ইত্তেহাদ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ল্যাবেরেটরিজ গঠনে তার সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা লাভের ফলে মার্কিন কূটনীতিবিদদের কাছ থেকে তিনি ‘মি. ন্যুক’ নাম ডাকনামে[2][7] ও প্রকাশনা জগতে তাকে ‘বাবা এটম বোম’ নামে পরিচিতি ঘটানো হয়।[3]
অবসর
১৯৯৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিপিপি’র পক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর আগ্রহ প্রকাশ করলেও ফারুক লেঘারি এতে সম্পৃক্ত হন।[7] এরপর তিনি জাতীয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন এবং আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া প্রচার মাধ্যমে থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটান।[8] এরপর নিজ প্রদেশের জিআইকে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সের এন্ড টেকনোলজিতে রেক্টর হিসেবে কাজ করেন। নিউমোনিয়ায় ভোগে ২৭ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে।[9]
তথ্যসূত্র
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৫।
- Staff report (২৮ অক্টোবর ২০০৬)। "Obituary: Ghulam Ishaq Khan"। Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১২।
- Herald, Pakistan। "Ghulam Ishaq Khan"। Press biographical sketch of Pakistan Herald। Pakistan Herald। ২৯ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১২।
- Khan, A. Q. (২৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "An indomitable man"। Special biographical accounts by Dr. A. Q. Khan, published at the News International। News International, 2015। News International, 2015। ২৬ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৫।
- Talbot, Ian (১৯৯৮)। "Ghulam Ishaq Khan"। Pakistan : a modern history (google books) (3rd সংস্করণ)। New York, N.Y.: Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 386–387। আইএসবিএন 978-0230623040। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১২।
- Intikhab Amir (২৮ অক্টোবর ২০০৬)। "Ghulam Ishaq Khan passes away"। Dawn News Group। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১২।
- Staff (৩০ অক্টোবর ২০০৬)। "Quiet' president of Pakistan who sacked two prime ministers"। Independent, UK। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১২।
- Story of Pakistan Press Foundation। "Ghulam Ishaq Khan becomes President"। http://storyofpakistan.com/। Story of Pakistan Press Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৫।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - Intikhab Amir। "Ghulam Ishaq Khan passes away"। Dawn Newspaper, Pakistan। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০০৬।
বহিঃসংযোগ
- Ghulam Ishaq Khan Profile Story of Pakistan
- Ghulam Ishaq Khan taking oath as the President of Pakistan
- In depth history of Khan's presidency
- BBC News report of his death
- "Ghulam Ishaq Khan passes away" Report on the Dawn Newspaper website
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফজল মুকিম খান |
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব ১৯৭৫-১৯৭৭ |
উত্তরসূরী গুলাম জিলানী খান |
পূর্বসূরী আ্বদুল হাফিজ পিরজাদা |
অর্থমন্ত্রী ১৯৭৭-১৯৮৫ |
উত্তরসূরী মাহবুব উল হক |
পূর্বসূরী খান হাবিবুল্লাহ খান |
সিনেট সভাপতি ১৯৮৫-১৯৮৮ |
উত্তরসূরী ওয়াসিম সাজ্জাদ |
পূর্বসূরী মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক |
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ১৯৮৮-১৯৯৩ |